শীত আসছে। এসময় অনেক তাজা শাক-সবজি পাওয়া যায় বাজারে। এসময় খাবারের বৈচিত্র্য বেশি থাকলেও খাবারের প্রতি আমাদের আগ্রহ অনেকটাই কমে যায়। মূলত দুটি কারণে এমনটা ঘটে। তিনবেলা পর্যাপ্ত সময় নিয়ে খাবার হজম করার জন্য দিন অনেকটাই ছোট। সেইসঙ্গে আরেকটি কারণ হলো কম নড়াচড়া করা। শীতের সময়ে আমরা একটু অলস সময় কাটাতেই পছন্দ করি। বিছানার উষ্ণতা ছেড়ে সহজে উঠতে চাই না। এক জায়গায় দীর্ঘ সময় বসে থাকার অভ্যাস আমাদের মেটাবলিজম প্রক্রিয়া ধীর করে দেয়।
কম হাঁটাচলার কারণে আমাদের বদ হজম, পেট ফাঁপা, প্রদাহ ও কখনো কখনো মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। শীতে এ ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা এড়াতে খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন ভিটামিন বি৬ যুক্ত সাতটি খাবার। এই ভিটামিন কিছু খাবারে প্রাকৃতিকভাবেই পাওয়া যায় আবার চাইলে সাপ্লিমেন্ট হিসেবেও যোগ করা যায়। ভিটামিন বি৬ শরীরের অনেক সমস্যার সমাধানে কাজ করে। এটি মেজাজের উন্নতি করে, দূর করে ডিপ্রেশন। এটি শরীরকে ঠিক রাখতে কাজ করে। এই খাবারগুলোতে আপনি প্রয়োজনীয় ভিটামিন বি৬ পাবেন-
দুধ
ভিটামিন বি৬ এর অন্যতম ভালো উৎস হলো দুধ। তরল দুধ পান করতে পারেন অথবা প্রতিদিনের নাস্তার সঙ্গেও যোগ করতে পারেন। দুধের সঙ্গে ওটস বা কর্নফ্লেক্স মিশিয়ে খেতেও ভালোলাগবে। পুষ্টিকর এই খাবার সব বয়সীদের জন্যই উপকারী। বিশেষ করে বয়স্কদের খাবারের তালিকায় দুধ রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। দুধ বা দুধ জাতীয় খাবার খেলে যদি কোনো ধরনের সমস্যা হয় তবে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
গাজর
ভিটামিন বি৬ সমৃদ্ধ গাজর শীতের মৌসুমে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। একটি মাঝারি মাপের গাজরে এক গ্লাস দুধের চেয়েও বেশি ভিটামিন ৬ থাকে। সেইসঙ্গে গাজরে থাকে প্রচুর ফাইবার ও ভিটামিন এ। তাই এসময় অসুখ-বিসুখ থেকে বাঁচতে নিয়মিত গাজর খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
কলা
ওজন কমানোর চেষ্টা করলে প্রতিদিন একটি করে কলা খাওয়ার অভ্যাস করুন। ভিটামিন বি৬ এর পাশাপাশি কলায় থাকে বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার। তাই শীতের এই সময়ে উপকারী একটি খাবার হতে পারে কলা।
পালং শাক
সবুজ পাতাযুক্ত এই শাকে আছে আয়রন, ফোলেট ও পটাশিয়াম। শীতের এই মৌসুমে উপকারী এই শাক আপনার প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখতে চেষ্টা করুন। এতে শরীর সুস্থ রাখা সহজ হবে।
মুরগির কলিজা
মুরগির কলিজা খেতে ভালোবাসেন অনেকেই। এই খাবার শীতের সময়ে আপনার জন্য আরও বেশি উপকারী হয়ে উঠবে। ভিটামিন বি৬ ছাড়াও এতে আছে প্রচুর ফোলেট ও আয়রন। এই খাবারের আছে অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা।
ডিম
শীতের সময়ে ডিম খেলে তা কেবল আমাদের ভেতর থেকে উষ্ণই রাখে না, সেইসঙ্গে এটি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকরও। ডিমের অমলেট কিংবা সেদ্ধ ডিম খেতে পারেন। প্রতিদিন একটি করে ডিম খেলে মিলবে অনেক রকম উপকারিতা। এটি সকালের নাস্তায়ও একটি ভালো খাবার হিসেবে কাজ করে।
মটরশুঁটি
শীতের সময়ের আরেকটি সহজলভ্য সবজি হলো মটরশুঁটি। মটরশুঁটিতেও থাকে প্রচুর ভিটামিন বি৬। এই সবজি খেলে পাওয়া যায় আরও অনেক উপকারিতা। সালাদের সঙ্গে রাখতে পারেন এটি। কিংবা আলু, গাজরের সঙ্গে ভেজেও পরিবেশন করা যায়। সেদ্ধ মটরশুঁটি আরও অনেক খাবার তৈরিতে ব্যবহার করতে পারেন।