ঢাকা ০২:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবিধান থেকে সকল কালাকানুন তুলে দিতে হবে”এনডিপি

  • রাজু আহমেদ, ঢাকা
  • আপডেট সময় ১০:০৭:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ নভেম্বর ২০২২
  • ৬৪৩ বার পড়া হয়েছে

জাতীয় সংবিধান দিবস আজ। দীর্ঘ ৫০ বছর পর আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় সংবিধান দিবস পালিত হচ্ছে, এ বিষয়ে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি -এনডিপি’র চেয়ারম্যান, খন্দকার গোলাম মোর্তুজা বলেন – ৫০ বছরের মধ্যে জাতীয় সংবিধান দিবস উপলক্ষে আমি দুটি কথা বলতে চাই ।

রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে সংবিধান রচিত হয়েছিল কিন্তু এরপর ১৯৭৪ সাল থেকে এই সংবিধানের কাটা ছেঁড়া শুরু হয়। আমি মনে করি এই সংবিধানে দুটি অংশ বড়ই মারাত্মকভাবে সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে, ( ১) ১৯৭৪ এর এর বিশেষ ক্ষমতা আইন এবং মানুষের কথা বলা অধিকার সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করা হয়েছে ।

(২) ১৯৭৫ এ বাকশাল গঠনের পর আমূল পরিবর্তন হয়েছিল। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা শুধু নয় সংবাদপত্রই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, যার ফলে অনেক সাংবাদিক বন্ধুরা বেকার হয়ে গিয়েছিলেন, হকার ফুটপাতে দাঁড়িয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন।

আমি মনে করি সংবিধান পরিবর্তনের প্রয়োজন নাই সংবিধান থেকে সকল কালাকানুন তুলে দিতে হবে তাহলে রক্তের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতা ও পবিত্র সংবিধান তার পবিত্রতা নিয়ে টিকে থাকবে।

কোন বিশেষ কালাকানুন নয়, সকল কালাকানুন বাতিল করতে হবে এটাই আজকের এদেশের মানুষের প্রত্যাশা। তাহলেই লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র স্বাধীন ভাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সংবিধান থেকে সকল কালাকানুন তুলে দিতে হবে”এনডিপি

আপডেট সময় ১০:০৭:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ নভেম্বর ২০২২

জাতীয় সংবিধান দিবস আজ। দীর্ঘ ৫০ বছর পর আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় সংবিধান দিবস পালিত হচ্ছে, এ বিষয়ে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি -এনডিপি’র চেয়ারম্যান, খন্দকার গোলাম মোর্তুজা বলেন – ৫০ বছরের মধ্যে জাতীয় সংবিধান দিবস উপলক্ষে আমি দুটি কথা বলতে চাই ।

রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে সংবিধান রচিত হয়েছিল কিন্তু এরপর ১৯৭৪ সাল থেকে এই সংবিধানের কাটা ছেঁড়া শুরু হয়। আমি মনে করি এই সংবিধানে দুটি অংশ বড়ই মারাত্মকভাবে সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে, ( ১) ১৯৭৪ এর এর বিশেষ ক্ষমতা আইন এবং মানুষের কথা বলা অধিকার সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করা হয়েছে ।

(২) ১৯৭৫ এ বাকশাল গঠনের পর আমূল পরিবর্তন হয়েছিল। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা শুধু নয় সংবাদপত্রই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, যার ফলে অনেক সাংবাদিক বন্ধুরা বেকার হয়ে গিয়েছিলেন, হকার ফুটপাতে দাঁড়িয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন।

আমি মনে করি সংবিধান পরিবর্তনের প্রয়োজন নাই সংবিধান থেকে সকল কালাকানুন তুলে দিতে হবে তাহলে রক্তের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতা ও পবিত্র সংবিধান তার পবিত্রতা নিয়ে টিকে থাকবে।

কোন বিশেষ কালাকানুন নয়, সকল কালাকানুন বাতিল করতে হবে এটাই আজকের এদেশের মানুষের প্রত্যাশা। তাহলেই লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র স্বাধীন ভাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করবে।