নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার ধামনপাড়ায় লাউয়ের চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছে তিন বন্ধু।
উপজেলার একই গ্রামের তিন বন্ধু বেকার ছিলেন সংসারের গ্লানি টানতে বেছেনেন কৃষি কাজ, মৎসচাষ, কোথাও সফলতা না এলেও বর্তমানে লাউ চাষে সফলতা পয়েছেন।
বর্তমানে তিন বন্ধু অন্যান্য কৃষি আবাদের পাশা পাশি লাউ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। সরজমিনে কথা হয় তিন বন্ধুর সাথে তারা জানান লাউ চাষে তাদের দের বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। এপর্যন্ত লাউ বিক্রয় করে খরচের টাকা উঠেছে এখন লাভের মুখ দেখছেন।
উপজেলার একই এলাকার মৃত মকছেদ মন্ডলের ছেলে মমিনুল ইসলাম (মুন্না), মফি মীর এর বড় ছেলে সুজন মীর, ও একই গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে ওয়াসিম , তারা সকলেই একই গ্রামের যুবক একই সাথে বাল্যকাল থেকে বেড়ে ওঠা খেলা ধুলা ও লেখাপড়া করেছেন।
কথা হয় তিন বন্ধুর একজন মোঃ সুজন মীর তিনি বলেন আমরা প্রথমে তিন বন্ধু মোবাইলে ইউটিউব থেকে ভিডিও দেখে লাউ চাষে উদ্বুদ্ধ হই। সেই মোতাবেক লাউ চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছি আমরা তিন বন্ধু ।তারা আরও বলেন কোন প্রকার কীটনাশক ব্যাবহার না করেই, ফেরোমন ফাঁদের মাধ্যমে পোকা মাকড় দমন করে, বালাইনাশক মুক্ত লাউ চাষ করে, যেমন খরচ কম তেমনই স্বাস্থ্য সম্মত।
তিনি আরো বলেন লাউ সবজি হিসাবে মানুষের কাছে অতি প্রিয়। স্থানীয় পাইকাররা মাঠে পর্যায়ে এসে লাউ কিনে এই অঞ্চলের চাহিদা মিটিয়ে সারা দেশের বিভিন্ন বাজারে মানুষের চাহিদা মিটাচ্ছে। প্রতি সপ্তাহে এই লাউ উত্তোলন করে ৪/৫ হাজার টাকা বিক্রয় হয়।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অফিসার অতিরিক্ত মোঃ কিষোয়ার বলেন আমরা জানতে পেরেছি তিন বন্ধুর লাউ চাষের কথা আমরা প্রাথমিক ভাবে তাদের একটি প্রদর্শনী দিয়ে তাদের অন্যান্য কৃষিকাজের উপরে ট্রেনিং ও সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে। তিনি আরো বলেন এবার নশরৎপুর,ধামনপাড়া এলাকায় ৩৩/৪০হেক্টর জমিতে লাউয়ের চাষ হয়েছে তাতে লাভবান হবে ঐ এলাকার কৃষকেরা