ঢাকা ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

হবিগঞ্জের মাধবপুরে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

হবিগঞ্জের মাধবপুরের আান্দিউরা ইউনিয়নের বাড়া চান্দুরা গ্রামের বিল্লাল হোসেনের পুত্র ইসমাইল হোসেন (১৭) সহ আরো ৩ জনের বিরুদ্ধে ঐ গ্রামের স্থানীয় ঈদগাহ মাঠে মিথ্যা ও হয়রানি মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ৩ (নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে মামলার অন্যতম আসামি ইসমাইল হোসেন জানায়, ভিকটিম জান্নাতুল ফেরদৌস সামান্তা আমাকে খুব ভালোবাসে। সে আমাকে ছাড়া বাঁচবে না বলে জানায়। সে বেশ কয়েকবার আমার বাড়িতেও চলে আসছে। কিন্তু আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার কারণে পুলিশ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে সাথে নিয়ে মেয়ের অভিভাবকের নিকট ফেরত দিয়েছি। এখন মেয়ের বাবা মোঃ আব্দুস সাত্তার বাদী হয়ে নারী ও অপহরণের অভিযোগে জিআর ৪৮৪/২২ নং দায়ের করে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট ।

জান্নাতুল ফেরদৌস সামান্তা বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় যে বক্তব্য দিয়েছে সেখানেও আমাদেরকে নির্দোষ মর্মে জবানবন্দী প্রদান করেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ সামছূ মিয়া বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর তাদের মধ্যে একটি গভীর সম্পর্ক আছে বলে আমি ও এলাকাবাসীর নজরে আসে। এখানে একতরফাভাবে মামলা দিয়ে ছেলেটিকে হয়রানি করা ছাড়া আর কিছুই না। মাধবপুর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ হাকিম বলেন, তার ও তার পরিবারকে হয়রানি করার জন্যই মূলত এ ধরনের মিথ্যা মামলার আশ্রয় নিয়েছে।

মামলার অপর আসামি মর্জিনা আক্তার জানায়, আমাকে সম্পূর্ণ অন্যায় ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই এস এম বুলবুল আহমেদ বিভিন্নভাবে আমাদের কাছ থেকে নগদ ৭ হাজার টাকা নিয়েও কান্ত হয়নি। সে আরো ৮০ হাজার টাকা ভিকটিম ও তার পরিবারের কাছে মামলা সুরাহা করে দিবে বলে টাকা দাবি করে আসছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে মোটো ফোনে মামলার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি ঘুষের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, মামলার চার্জশিট কোর্টে দাখিল করা হয়েছে এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সুশীল সমাজের দাবি বিষয়টির সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে সত্য উদঘাটন করে মিথ্যা মামলা ও হয়রানি মূলক মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানিয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

হবিগঞ্জের মাধবপুরে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় ০৮:৩৪:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর ২০২২

হবিগঞ্জের মাধবপুরের আান্দিউরা ইউনিয়নের বাড়া চান্দুরা গ্রামের বিল্লাল হোসেনের পুত্র ইসমাইল হোসেন (১৭) সহ আরো ৩ জনের বিরুদ্ধে ঐ গ্রামের স্থানীয় ঈদগাহ মাঠে মিথ্যা ও হয়রানি মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ৩ (নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে মামলার অন্যতম আসামি ইসমাইল হোসেন জানায়, ভিকটিম জান্নাতুল ফেরদৌস সামান্তা আমাকে খুব ভালোবাসে। সে আমাকে ছাড়া বাঁচবে না বলে জানায়। সে বেশ কয়েকবার আমার বাড়িতেও চলে আসছে। কিন্তু আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার কারণে পুলিশ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে সাথে নিয়ে মেয়ের অভিভাবকের নিকট ফেরত দিয়েছি। এখন মেয়ের বাবা মোঃ আব্দুস সাত্তার বাদী হয়ে নারী ও অপহরণের অভিযোগে জিআর ৪৮৪/২২ নং দায়ের করে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট ।

জান্নাতুল ফেরদৌস সামান্তা বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় যে বক্তব্য দিয়েছে সেখানেও আমাদেরকে নির্দোষ মর্মে জবানবন্দী প্রদান করেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ সামছূ মিয়া বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর তাদের মধ্যে একটি গভীর সম্পর্ক আছে বলে আমি ও এলাকাবাসীর নজরে আসে। এখানে একতরফাভাবে মামলা দিয়ে ছেলেটিকে হয়রানি করা ছাড়া আর কিছুই না। মাধবপুর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ হাকিম বলেন, তার ও তার পরিবারকে হয়রানি করার জন্যই মূলত এ ধরনের মিথ্যা মামলার আশ্রয় নিয়েছে।

মামলার অপর আসামি মর্জিনা আক্তার জানায়, আমাকে সম্পূর্ণ অন্যায় ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই এস এম বুলবুল আহমেদ বিভিন্নভাবে আমাদের কাছ থেকে নগদ ৭ হাজার টাকা নিয়েও কান্ত হয়নি। সে আরো ৮০ হাজার টাকা ভিকটিম ও তার পরিবারের কাছে মামলা সুরাহা করে দিবে বলে টাকা দাবি করে আসছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে মোটো ফোনে মামলার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি ঘুষের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, মামলার চার্জশিট কোর্টে দাখিল করা হয়েছে এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সুশীল সমাজের দাবি বিষয়টির সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে সত্য উদঘাটন করে মিথ্যা মামলা ও হয়রানি মূলক মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানিয়েছে।