ঢাকা ১২:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গোয়াইনঘাটে পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করলেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মুরাদনগরে ঘাতকের ছুরিকাঘাতে নিহত : ১ আহত-৩ বেলাবতে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল। কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিংয়ে শিক্ষার্থীরা কুমিল্লায় পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে মঠবাড়িয়ায় যৌথ অভিযান পরিচালনা। চট্টগ্রামের নগরী ঝাউতলা বাজার ও কর্ণফুলী বাজার সবজি আসছে না। ফলে দাম বেড়েছে দ্বিগুণের মতো। 1Win официальный сайт БК: 1Вин ставки на спорт Casibom’da Hızlı Para Yatırma ve Çekme İşlemleri কাশিমপুর কারাগারে নারী কেলেঙ্কারি ঘটনায় আজিজুলের শাস্তির নয়ছয় (প্রথম পর্ব)

রাজশাহীর যেভাবে বদলে গেছে বাগমারা উপজেলা

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার আগে বাগমারায় রাজত্ব কায়েম করেছে সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনী। সে সময় বাগমারা ছিল অন্ধকার জনপদ। মানুষ চাইলেও দিনের বেলাতেও রাস্তা-ঘাটে চলাচল করতে পারতো না। ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত বিশাল উপজেলা বাগমারা। এখানে প্রায় চার লক্ষাধিক লোকের বসবাস। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনেও রয়েছে এ জনপদের অবদান। ১৯৮৩ সালে বৃহত্তর এই জনপদটি উপজেলার মর্যাদা পেলেও দীর্ঘদিন উন্নয়নের ছোঁয়া বঞ্চিত রয়ে যায়। বিএনপি ও জামায়াত জোট সরকারের সময়ে দুঃশাসনের উত্থান ঘটে বাগমারায়।
সেই সাথে বাগমারাকে একটি রক্তাক্ত ও সন্ত্রাসীর জনপদ হিসাবে পরিচিতি দান করে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইঞ্জিঃ এনামুল হক সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পর বাগমারার মানুয়ের আশা-আকাংখার লালিত স্বপ্নকে সুখি ও সমৃদ্ধ বাসযোগ্য ‘বাগমারা বিনির্মাণে’ কাজ করে যাচ্ছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদে জননেত্রী শেখ হাসিনার সদয় নির্দেশনায়, নিরলস প্রচেষ্টা ও বাগমারাবাসীর সহযোগিতায় বিভিন্ন জনকল্যাণ মূলক কর্মসূচী বাস্তাবায়ন করা হচ্ছে। সেই সাথে রাস্তাঘাট নির্মাণ, বিদ্যুতায়ণ, শিক্ষা, ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন এবং জনগণের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাকরণ সহ সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ড। সকলের সম্মিলিত ও সার্বিক প্রচেষ্টায় বাগমারা আজ তার রক্তাক্ত অতীত ইতিহাস থেকে শিক্ষা ও শান্তির জনপদে পরিণত হয়েছে। বাগমারা উপজেলা এখন জাতীয় পর্যায়ে উন্নয়নের ‘রোল মডেল’ স্বীকৃতি পেয়েছে।
দেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার সংগ্রামে বাগমারার রয়েছে গৌরবময় অবদান। জোট সরকারের স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকান্ডের ফলে স্বাধীনতার চেতনা অনেকটাই ম্লান হতে চলেছিল। এ উপলব্ধি থেকে বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি, আদর্শ ও রাজনৈতিক দর্শন সহ স্বাধীনতার ইতিহাসকে ভবিষ্যত প্রজন্মের নিকট সঠিক ভাবে তুলে ধরা সহ জাতির জনকের অবদানকে স্মৃতিতে অম্লান করে রাখতে ব্যক্তিগত অর্থায়নে ভবানীগঞ্জে ছয়তলা বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মাণ করেছি। স্মৃতি কমপ্লেক্সটিতে রয়েছে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিস। কমপ্লেক্সটি ইতিমধ্যে দেশের বুদ্ধিজীবী মহল সহ সর্বস্তরের জনগণ কর্তৃক ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পদচারনায় মুখরিত হয়েছে। গত ১৫ বছরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানা মুখী উন্নয়নে যে ভাবে পরিবর্তন হয়েছে।
শিক্ষা ক্ষেত্রে ঃ বর্তমান সরকারের আমলে বাগমারায় শিক্ষার মান উন্নয়ন ও বিস্তারে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। শিক্ষার প্রসারে নতুন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন এবং বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন সম্পন্ন হয়েছে। ভবানীগঞ্জ কলেজকে সরকারী করণ ও তাহেরপুর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এবং সালেহা ইমারত কলেজ, বাগমারা কলেজ ও নাসিরগঞ্জ কলেজকে ডিগ্রি পর্যায়ে উন্নীতকরণ, বালানগর ফাজিল মাদ্রাসাকে কামিল পর্যায়ে উন্নীতকরণ। তিন ধাপে মোট ১৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে।
উপজেলায় ৪৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন, ১০টি মাদ্রাসা ভবন, ৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। সেই সাথে বেশ কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কলেজ ও মাদ্রাসার নির্মাণ করা ও সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া, ১০৬টি রেজিষ্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করা হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে তথ্য ও প্রযুক্তি শিক্ষার প্রসারে মাধ্যমিক শিক্ষাস্তরে ‘ডিজিটালাইজেশন’ পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় উপজেলায় একটি দ্বিতল বিশিষ্ট আইসিটি ভবন (ডিজিটাল ট্রেনিং ও রিসোর্স সেন্টার) নির্মাণ করা হয়েছে। প্রযুক্তিগত শিক্ষায় গতি আনতে ২২ টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাব এবং ১টিতে স্কুল অব ফিউচার স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া, শিক্ষা প্রণোদনা কর্মসূচী যেমন বৃত্তি ও উপবৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে দারিদ্র ও অবহেলিত শিশুদের বিদ্যালয়মূখী করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়িত হচ্ছে। বাগমারার বর্তমানে প্রাথমিক পর্যায়ে ১০০ ভাগ এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে ৯৫% ছাত্র/ছাত্রী বিদ্যালয়গামী হয়েছে। উপজেলার শিক্ষার হার জেলার সর্Ÿোচ্চ ৭৯ ভাগ এ দাঁড়িয়েছে। শিক্ষকমন্ডলী ও অভিভাবকদের যৌথ প্রচেষ্টায় শিক্ষা খাতে এ সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে।
সালেহা ইমারত ফাউন্ডেশন ঃ বাগমারায় শিক্ষার সম্প্রসারণ ও জনকল্যাণে ২০০৬ সালে নিজ উদ্যোগে সালেহা ইমারত ফাউন্ডেশন স্থাপন করেন। প্রতিষ্ঠানটি দৃষ্টিহীনদের চিকিৎসা ছাড়াও মেধাবীদের শিক্ষা বৃত্তি প্রদান এবং সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে মানব সেবামূলক কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছে। সেই সাথে সালেহা ইমারত ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে প্রতিবছর এসএসসি ও এইচএসসি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের ফলাফলের ভিত্তিতে সংবর্ধনা দিয়ে থাকে। যা শিক্ষাক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি ও গুনগত মান বৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন করছে। সালেহা ইমারত ফাউন্ডেশন এ পর্যন্ত ২০ হাজার রোগীকে বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা প্রদান করেছে।
কৃষি ক্ষেত্রে ঃ জাতির জনকের কথায় বলতে গেলে বলতে হয় “কৃষক বাঁচাও, দেশ বাঁচাও”। বাগমারায় উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে গত ১৫ বছরে ৭৩ হাজার ৬২০ জন প্রান্তিক কৃষককে প্রণোদনা সুবিধার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। টাকার অঙ্গে বলতে গেলে সেটার পরিমান ৯১ কোটি ৭ লাখ ১৫ হাজার টাকা। সেই সাথে ৫০% ভর্তুকি মূল্যে ১৪টি কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলা এবং ৪% হারে ব্যাংক থেকে মশলা চাষে ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। শুধু তাই না একই মেয়াদে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ২০ হাজার কৃষককে কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটানোর লক্ষ্যে উন্নত প্রযুক্তি সম্পর্কে আধুনিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়ার কৃষির উন্নয়নে বারনই এবং ফকিন্নী নদীর ৩০ কিলোমিটার পুনঃখনন করা হচ্ছে। এরফলে সারা বছর নদীর পান

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গোয়াইনঘাটে পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করলেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার

রাজশাহীর যেভাবে বদলে গেছে বাগমারা উপজেলা

আপডেট সময় ১০:৪২:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার আগে বাগমারায় রাজত্ব কায়েম করেছে সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনী। সে সময় বাগমারা ছিল অন্ধকার জনপদ। মানুষ চাইলেও দিনের বেলাতেও রাস্তা-ঘাটে চলাচল করতে পারতো না। ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত বিশাল উপজেলা বাগমারা। এখানে প্রায় চার লক্ষাধিক লোকের বসবাস। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনেও রয়েছে এ জনপদের অবদান। ১৯৮৩ সালে বৃহত্তর এই জনপদটি উপজেলার মর্যাদা পেলেও দীর্ঘদিন উন্নয়নের ছোঁয়া বঞ্চিত রয়ে যায়। বিএনপি ও জামায়াত জোট সরকারের সময়ে দুঃশাসনের উত্থান ঘটে বাগমারায়।
সেই সাথে বাগমারাকে একটি রক্তাক্ত ও সন্ত্রাসীর জনপদ হিসাবে পরিচিতি দান করে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইঞ্জিঃ এনামুল হক সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পর বাগমারার মানুয়ের আশা-আকাংখার লালিত স্বপ্নকে সুখি ও সমৃদ্ধ বাসযোগ্য ‘বাগমারা বিনির্মাণে’ কাজ করে যাচ্ছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদে জননেত্রী শেখ হাসিনার সদয় নির্দেশনায়, নিরলস প্রচেষ্টা ও বাগমারাবাসীর সহযোগিতায় বিভিন্ন জনকল্যাণ মূলক কর্মসূচী বাস্তাবায়ন করা হচ্ছে। সেই সাথে রাস্তাঘাট নির্মাণ, বিদ্যুতায়ণ, শিক্ষা, ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন এবং জনগণের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাকরণ সহ সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ড। সকলের সম্মিলিত ও সার্বিক প্রচেষ্টায় বাগমারা আজ তার রক্তাক্ত অতীত ইতিহাস থেকে শিক্ষা ও শান্তির জনপদে পরিণত হয়েছে। বাগমারা উপজেলা এখন জাতীয় পর্যায়ে উন্নয়নের ‘রোল মডেল’ স্বীকৃতি পেয়েছে।
দেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার সংগ্রামে বাগমারার রয়েছে গৌরবময় অবদান। জোট সরকারের স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকান্ডের ফলে স্বাধীনতার চেতনা অনেকটাই ম্লান হতে চলেছিল। এ উপলব্ধি থেকে বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি, আদর্শ ও রাজনৈতিক দর্শন সহ স্বাধীনতার ইতিহাসকে ভবিষ্যত প্রজন্মের নিকট সঠিক ভাবে তুলে ধরা সহ জাতির জনকের অবদানকে স্মৃতিতে অম্লান করে রাখতে ব্যক্তিগত অর্থায়নে ভবানীগঞ্জে ছয়তলা বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মাণ করেছি। স্মৃতি কমপ্লেক্সটিতে রয়েছে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিস। কমপ্লেক্সটি ইতিমধ্যে দেশের বুদ্ধিজীবী মহল সহ সর্বস্তরের জনগণ কর্তৃক ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পদচারনায় মুখরিত হয়েছে। গত ১৫ বছরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানা মুখী উন্নয়নে যে ভাবে পরিবর্তন হয়েছে।
শিক্ষা ক্ষেত্রে ঃ বর্তমান সরকারের আমলে বাগমারায় শিক্ষার মান উন্নয়ন ও বিস্তারে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। শিক্ষার প্রসারে নতুন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন এবং বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন সম্পন্ন হয়েছে। ভবানীগঞ্জ কলেজকে সরকারী করণ ও তাহেরপুর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এবং সালেহা ইমারত কলেজ, বাগমারা কলেজ ও নাসিরগঞ্জ কলেজকে ডিগ্রি পর্যায়ে উন্নীতকরণ, বালানগর ফাজিল মাদ্রাসাকে কামিল পর্যায়ে উন্নীতকরণ। তিন ধাপে মোট ১৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে।
উপজেলায় ৪৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন, ১০টি মাদ্রাসা ভবন, ৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। সেই সাথে বেশ কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কলেজ ও মাদ্রাসার নির্মাণ করা ও সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া, ১০৬টি রেজিষ্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করা হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে তথ্য ও প্রযুক্তি শিক্ষার প্রসারে মাধ্যমিক শিক্ষাস্তরে ‘ডিজিটালাইজেশন’ পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় উপজেলায় একটি দ্বিতল বিশিষ্ট আইসিটি ভবন (ডিজিটাল ট্রেনিং ও রিসোর্স সেন্টার) নির্মাণ করা হয়েছে। প্রযুক্তিগত শিক্ষায় গতি আনতে ২২ টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাব এবং ১টিতে স্কুল অব ফিউচার স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া, শিক্ষা প্রণোদনা কর্মসূচী যেমন বৃত্তি ও উপবৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে দারিদ্র ও অবহেলিত শিশুদের বিদ্যালয়মূখী করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়িত হচ্ছে। বাগমারার বর্তমানে প্রাথমিক পর্যায়ে ১০০ ভাগ এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে ৯৫% ছাত্র/ছাত্রী বিদ্যালয়গামী হয়েছে। উপজেলার শিক্ষার হার জেলার সর্Ÿোচ্চ ৭৯ ভাগ এ দাঁড়িয়েছে। শিক্ষকমন্ডলী ও অভিভাবকদের যৌথ প্রচেষ্টায় শিক্ষা খাতে এ সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে।
সালেহা ইমারত ফাউন্ডেশন ঃ বাগমারায় শিক্ষার সম্প্রসারণ ও জনকল্যাণে ২০০৬ সালে নিজ উদ্যোগে সালেহা ইমারত ফাউন্ডেশন স্থাপন করেন। প্রতিষ্ঠানটি দৃষ্টিহীনদের চিকিৎসা ছাড়াও মেধাবীদের শিক্ষা বৃত্তি প্রদান এবং সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে মানব সেবামূলক কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছে। সেই সাথে সালেহা ইমারত ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে প্রতিবছর এসএসসি ও এইচএসসি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের ফলাফলের ভিত্তিতে সংবর্ধনা দিয়ে থাকে। যা শিক্ষাক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি ও গুনগত মান বৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন করছে। সালেহা ইমারত ফাউন্ডেশন এ পর্যন্ত ২০ হাজার রোগীকে বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা প্রদান করেছে।
কৃষি ক্ষেত্রে ঃ জাতির জনকের কথায় বলতে গেলে বলতে হয় “কৃষক বাঁচাও, দেশ বাঁচাও”। বাগমারায় উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে গত ১৫ বছরে ৭৩ হাজার ৬২০ জন প্রান্তিক কৃষককে প্রণোদনা সুবিধার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। টাকার অঙ্গে বলতে গেলে সেটার পরিমান ৯১ কোটি ৭ লাখ ১৫ হাজার টাকা। সেই সাথে ৫০% ভর্তুকি মূল্যে ১৪টি কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলা এবং ৪% হারে ব্যাংক থেকে মশলা চাষে ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। শুধু তাই না একই মেয়াদে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ২০ হাজার কৃষককে কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটানোর লক্ষ্যে উন্নত প্রযুক্তি সম্পর্কে আধুনিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়ার কৃষির উন্নয়নে বারনই এবং ফকিন্নী নদীর ৩০ কিলোমিটার পুনঃখনন করা হচ্ছে। এরফলে সারা বছর নদীর পান