ঢাকা ০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
1Win официальный сайт БК: 1Вин ставки на спорт Casibom’da Hızlı Para Yatırma ve Çekme İşlemleri কাশিমপুর কারাগারে নারী কেলেঙ্কারি ঘটনায় আজিজুলের শাস্তির নয়ছয় (প্রথম পর্ব) পাবনার দুই শহীদের কবর যিয়ারত ও পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন এডওয়ার্ড কলেজের নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর মো আব্দুল আউয়াল পূজার ডিউটিতে আনসার থেকে লাখ টাকার বাণিজ্য তজুমউদ্দিন মেঘনায় জালপাতা নিয়ে দ্বন্দ্ব, ট্রলার ছিনতাই ভোলায় পিস্তল নিয়ে প্যানেল চেয়ারম্যানসহ আটক-২ সনি’র নতুন ব্রাভিয়া টিভি ও আল্ট এফওয়াই টুফোর বাজারজাত শুরু সীমান্তে মিয়ানমারের গুলিতে ১ বাংলাদেশি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩ বিএনপি কোনো ধর্মকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে না : প্রিন্স

গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুলের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ জব্দ

গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ও হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনিস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. আশরাফুল আলমের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ জব্দ করা হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত থেকে ওই আদেশ দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে গত ২১ জুন অর্ধ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা করেছিল দুদক।

জব্দকৃত স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে বগুড়ার সোনাতলার প্রায় ২৫০ শতাংশ জমি, আইএফআইসি ব্যাংকের লালমাটিয়া, গুলশান ও বনানী শাখায় সাড়ে ৪৮ লাখ টাকা।

দুদকের আবেদন সূত্রে জানা যায়, আসামি আশরাফুল অবৈধ পন্থায় অর্জিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র বিক্রয়, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টায় রয়েছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। সম্পত্তি হস্তান্তর হলে আইনের উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও অস্থাবর সম্পত্তি অবরুদ্ধ বা ফ্রিজ করার আবেদন করেছেন।

এর আগে ২১ জুন হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনিস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. আশরাফুল আলম এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক দুই মামলা দায়ের করেছিল দুদক। সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নুর আলম সিদ্দিকী বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রথম মামলায় মো. আশরাফুল আলম ও তার স্ত্রী সাবিনা আলমকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় স্ত্রীকে প্রধান আসামি করে আশরাফুল আলমকে দ্বিতীয় আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় আসামি সাবিনা আলম দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৬৬ লাখ ২৬ হাজার ৪৬৫ টাকার সম্পদ তথ্য গোপন এবং ৩ কোটি ৭৬ লাখ ২৪ হাজার ৩৩৫ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়।

অন্যদিকে দ্বিতীয় মামলায় মো. আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ২৭ লাখ ৯২ হাজার ৬৩ টাকার সম্পদ গোপন ও ২৩ লাখ ৭৯ হাজার ২৪৬ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২), ২৭(১) ধারা দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

1Win официальный сайт БК: 1Вин ставки на спорт

গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুলের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ জব্দ

আপডেট সময় ১০:৩৪:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৩

গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ও হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনিস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. আশরাফুল আলমের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ জব্দ করা হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত থেকে ওই আদেশ দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে গত ২১ জুন অর্ধ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা করেছিল দুদক।

জব্দকৃত স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে বগুড়ার সোনাতলার প্রায় ২৫০ শতাংশ জমি, আইএফআইসি ব্যাংকের লালমাটিয়া, গুলশান ও বনানী শাখায় সাড়ে ৪৮ লাখ টাকা।

দুদকের আবেদন সূত্রে জানা যায়, আসামি আশরাফুল অবৈধ পন্থায় অর্জিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র বিক্রয়, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টায় রয়েছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। সম্পত্তি হস্তান্তর হলে আইনের উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও অস্থাবর সম্পত্তি অবরুদ্ধ বা ফ্রিজ করার আবেদন করেছেন।

এর আগে ২১ জুন হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনিস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. আশরাফুল আলম এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক দুই মামলা দায়ের করেছিল দুদক। সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নুর আলম সিদ্দিকী বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রথম মামলায় মো. আশরাফুল আলম ও তার স্ত্রী সাবিনা আলমকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় স্ত্রীকে প্রধান আসামি করে আশরাফুল আলমকে দ্বিতীয় আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় আসামি সাবিনা আলম দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৬৬ লাখ ২৬ হাজার ৪৬৫ টাকার সম্পদ তথ্য গোপন এবং ৩ কোটি ৭৬ লাখ ২৪ হাজার ৩৩৫ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়।

অন্যদিকে দ্বিতীয় মামলায় মো. আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ২৭ লাখ ৯২ হাজার ৬৩ টাকার সম্পদ গোপন ও ২৩ লাখ ৭৯ হাজার ২৪৬ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২), ২৭(১) ধারা দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।