ঢাকা ১০:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
1Win официальный сайт БК: 1Вин ставки на спорт Casibom’da Hızlı Para Yatırma ve Çekme İşlemleri কাশিমপুর কারাগারে নারী কেলেঙ্কারি ঘটনায় আজিজুলের শাস্তির নয়ছয় (প্রথম পর্ব) পাবনার দুই শহীদের কবর যিয়ারত ও পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন এডওয়ার্ড কলেজের নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর মো আব্দুল আউয়াল পূজার ডিউটিতে আনসার থেকে লাখ টাকার বাণিজ্য তজুমউদ্দিন মেঘনায় জালপাতা নিয়ে দ্বন্দ্ব, ট্রলার ছিনতাই ভোলায় পিস্তল নিয়ে প্যানেল চেয়ারম্যানসহ আটক-২ সনি’র নতুন ব্রাভিয়া টিভি ও আল্ট এফওয়াই টুফোর বাজারজাত শুরু সীমান্তে মিয়ানমারের গুলিতে ১ বাংলাদেশি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩ বিএনপি কোনো ধর্মকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে না : প্রিন্স

তফসিলের পর এ সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার: আইনমন্ত্রী

ঢাকা: নির্বাচন কমিশন যখনই তফসিল ঘোষণা করবে, তখন থেকে বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার- এমনটি জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

সংবিধান সংশোধনের জন্য ৩০ অক্টোবর আইন মন্ত্রণালয় অভিমুখে ঘেরাও কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, এ নিয়ে শুধু আমি একটি কথাই বলতে চাই, রাজনৈতিক কর্মসূচি দেওয়ার অধিকার তাদের আছে। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে একটি বিষয় আমি পরিষ্কার বলে দিতে চাই। সর্বোচ্চ আদালত রায় দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও অবৈধ বলে ঘোষণা করেছেন। ওই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সংসদ পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করেছে। এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারা ফিরিয়ে আনার কোনো সম্ভাবনা নেই, সংবিধান সংশোধনেরও কোনো সম্ভাবনা নেই।

সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকারের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু ২০১৪ সালে মন্ত্রিসভা ছোট হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য সেই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তিনি সবাইকে নিয়ে একটি নির্বাচন করার চেষ্টা করছিলেন। সেই সময়ের ইতিহাস আপনারা জানেন। বিরোধী দলীয় নেতাকে প্রধানমন্ত্রী টেলিফোন করেছিলেন। কিন্তু তিনি তা ধরেননি। সেক্ষেত্রে ২০১৮ সালেও তিনি আলোচনা করেন। আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি নির্বাচনে যান। কিন্তু প্রতিবারই বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন নষ্ট করার সব পদক্ষেপ নিয়েছে।

তিনি বলেন, সংবিধানে বলা আছে, নির্বাচন কখন হবে। সে অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে। আমরা চাই, সবাই নির্বাচনে আসুক এবং নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হোক।

সংবিধান অনুযায়ী ৩০ অক্টোবর থেকে ৩০ জানুয়ারি- এ ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে হিসাবে অক্টোবরের ৩০ থেকে থেকেই নির্বাচনকালীন সরকার কি না, সংবিধান কী বলে- এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি পরিষ্কারভাবে বলেছি, সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকার বলে কিছু নেই। এখন কথা হলো, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালেও এটি করেছিলেন। তিনি গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে করেছিলেন। এখন তার ওপর নির্ভর করে, তিনি কীভাবে নির্বাচনকালীন সরকার দেবেন বা কী করবেন, কী করবেন না। আবার সংবিধান অনুযায়ী যদি আমরা বলি, যখন নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে, সেই মুহূর্ত থেকে এ সরকার নির্বাচনকালীন সরকার।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

1Win официальный сайт БК: 1Вин ставки на спорт

তফসিলের পর এ সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার: আইনমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৪:১১:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৩

ঢাকা: নির্বাচন কমিশন যখনই তফসিল ঘোষণা করবে, তখন থেকে বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার- এমনটি জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

সংবিধান সংশোধনের জন্য ৩০ অক্টোবর আইন মন্ত্রণালয় অভিমুখে ঘেরাও কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, এ নিয়ে শুধু আমি একটি কথাই বলতে চাই, রাজনৈতিক কর্মসূচি দেওয়ার অধিকার তাদের আছে। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে একটি বিষয় আমি পরিষ্কার বলে দিতে চাই। সর্বোচ্চ আদালত রায় দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও অবৈধ বলে ঘোষণা করেছেন। ওই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সংসদ পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করেছে। এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারা ফিরিয়ে আনার কোনো সম্ভাবনা নেই, সংবিধান সংশোধনেরও কোনো সম্ভাবনা নেই।

সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকারের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু ২০১৪ সালে মন্ত্রিসভা ছোট হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য সেই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তিনি সবাইকে নিয়ে একটি নির্বাচন করার চেষ্টা করছিলেন। সেই সময়ের ইতিহাস আপনারা জানেন। বিরোধী দলীয় নেতাকে প্রধানমন্ত্রী টেলিফোন করেছিলেন। কিন্তু তিনি তা ধরেননি। সেক্ষেত্রে ২০১৮ সালেও তিনি আলোচনা করেন। আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি নির্বাচনে যান। কিন্তু প্রতিবারই বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন নষ্ট করার সব পদক্ষেপ নিয়েছে।

তিনি বলেন, সংবিধানে বলা আছে, নির্বাচন কখন হবে। সে অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে। আমরা চাই, সবাই নির্বাচনে আসুক এবং নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হোক।

সংবিধান অনুযায়ী ৩০ অক্টোবর থেকে ৩০ জানুয়ারি- এ ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে হিসাবে অক্টোবরের ৩০ থেকে থেকেই নির্বাচনকালীন সরকার কি না, সংবিধান কী বলে- এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি পরিষ্কারভাবে বলেছি, সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকার বলে কিছু নেই। এখন কথা হলো, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালেও এটি করেছিলেন। তিনি গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে করেছিলেন। এখন তার ওপর নির্ভর করে, তিনি কীভাবে নির্বাচনকালীন সরকার দেবেন বা কী করবেন, কী করবেন না। আবার সংবিধান অনুযায়ী যদি আমরা বলি, যখন নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে, সেই মুহূর্ত থেকে এ সরকার নির্বাচনকালীন সরকার।