ঢাকা ০৯:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি শরীয়তপুরে ছেলের গাছের গোড়ার আঘাতে বাবা নিহত সেই ছেলে গ্রেফতার। ঢাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি কে এই সাদিক শিগগিরই ঢাবি শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা: শিবির সভাপতি চট্টগ্রাম নগর যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত, ২ নেতা বহিষ্কার সরকার পতনের পর এই প্রথম মুখ খুললেন সাদ্দাম-ইনান কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গরু ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন এনজিও মাঠকর্মীরা রংপুরের মিঠাপুকুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত ভোলায় শহীদ পরিবারদের কোটি টাকার সহায়তা দিল- জামায়াতে ইসলাম জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশন যোগ দিতে নিউইয়র্কে দৈনিক তরুণ কণ্ঠ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শান্ত

৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে তৃণমূল বিএনপি, চায় সেনা মোতায়েন

ঢাকা: বিএনপি থেকে বেরিয়ে আসা নেতাদের দল তৃণমূল বিএনপি দ্বাদশ জাতীয় সংসদে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এক্ষেত্রে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে দলটি।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে এমন কথা বলেন দলটির নেতারা।

বৈঠকে সিইসির সঙ্গে অন্য নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী, মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার ও তৃণমূল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা নাজমুল হুদার মেয়ে ও দলটির নির্বাহী চেয়ারপারসন অন্তরা সেলিমা হুদাসহ ১৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের পর শমসের মোবিন চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, তারা ১২ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য বলেছেন এবং ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের কাছে লিখিত দাবির কপি সরবরাহ করেন। এতে বলা হয়েছে, সংবিধানে নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া প্রদত্ত দায়িত্ব ও ক্ষমতা সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে। নির্বাচনের সময় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্বাচন কাজে নিয়োজিত যা নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে এরকম প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নির্বাচন কমিশনের হাতে থাকতে হবে। বিশেষ করে জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) বদলিসহ প্রয়োজনীয় যে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা থাকতে হবে। নির্বাচনকালীন প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের প্রতি সমান সুযোগ সৃষ্টি অর্থাৎ লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। যদি কোনো দল বা প্রার্থী ন্যায্য দাবি বা অভিযোগ করে দ্রুত সময়ে তা সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সমাজের বড় একটি অংশ ভোট বিমুখ হয়ে পড়েছে। তারা ভোটদানে বিরত থাকছে। যা গণতন্ত্রের জন্য খুবই খারাপ দৃষ্টান্ত। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ভোট প্রত্যেক নাগরিকের পবিত্র দায়িত্ব। তাদের ভোটদানে উৎসাহিত করতে হবে এবং ভোটের গুরুত্ব বোঝাতে হবে, প্রয়োজনে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স, প্রিন্ট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম নিতে হবে। নির্বাচনের দিন প্রত্যেকটি কেন্দ্রে সিসি টিভির ব্যবস্থা করতে হবে। নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও জোরদার করতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা যেতে পারে, এতে জনগণের আস্থা অর্জিত হবে।

এছাড়া ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি, প্রত্যেকটি কেন্দ্র যেন ঝুঁকিমুক্ত থাকে তার ব্যবস্থাকরণ, ভোটের ফলাফল প্রতিটি কেন্দ্রে কেন্দ্রে ঘোষণা, প্রিজাইডিং অফিসারের সই করা ফলাফল সিট প্রত্যেক প্রার্থীর প্রতিনিধির কাছে সরবরাহ, দেশি-বিদেশি মিডিয়াসহ প্রত্যেক প্রার্থী বা তার মনোনীত ব্যক্তির সামনে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা, বেশি বেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক যেন আসে সেই ব্যবস্থা নেওয়া, নির্বাচনের কয়েকদিন আগে ও পরে কয়েকদিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও প্রার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি

৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে তৃণমূল বিএনপি, চায় সেনা মোতায়েন

আপডেট সময় ০২:৫৩:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩

ঢাকা: বিএনপি থেকে বেরিয়ে আসা নেতাদের দল তৃণমূল বিএনপি দ্বাদশ জাতীয় সংসদে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এক্ষেত্রে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে দলটি।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে এমন কথা বলেন দলটির নেতারা।

বৈঠকে সিইসির সঙ্গে অন্য নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী, মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার ও তৃণমূল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা নাজমুল হুদার মেয়ে ও দলটির নির্বাহী চেয়ারপারসন অন্তরা সেলিমা হুদাসহ ১৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের পর শমসের মোবিন চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, তারা ১২ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য বলেছেন এবং ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের কাছে লিখিত দাবির কপি সরবরাহ করেন। এতে বলা হয়েছে, সংবিধানে নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া প্রদত্ত দায়িত্ব ও ক্ষমতা সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে। নির্বাচনের সময় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্বাচন কাজে নিয়োজিত যা নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে এরকম প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নির্বাচন কমিশনের হাতে থাকতে হবে। বিশেষ করে জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) বদলিসহ প্রয়োজনীয় যে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা থাকতে হবে। নির্বাচনকালীন প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের প্রতি সমান সুযোগ সৃষ্টি অর্থাৎ লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। যদি কোনো দল বা প্রার্থী ন্যায্য দাবি বা অভিযোগ করে দ্রুত সময়ে তা সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সমাজের বড় একটি অংশ ভোট বিমুখ হয়ে পড়েছে। তারা ভোটদানে বিরত থাকছে। যা গণতন্ত্রের জন্য খুবই খারাপ দৃষ্টান্ত। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ভোট প্রত্যেক নাগরিকের পবিত্র দায়িত্ব। তাদের ভোটদানে উৎসাহিত করতে হবে এবং ভোটের গুরুত্ব বোঝাতে হবে, প্রয়োজনে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স, প্রিন্ট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম নিতে হবে। নির্বাচনের দিন প্রত্যেকটি কেন্দ্রে সিসি টিভির ব্যবস্থা করতে হবে। নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও জোরদার করতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা যেতে পারে, এতে জনগণের আস্থা অর্জিত হবে।

এছাড়া ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি, প্রত্যেকটি কেন্দ্র যেন ঝুঁকিমুক্ত থাকে তার ব্যবস্থাকরণ, ভোটের ফলাফল প্রতিটি কেন্দ্রে কেন্দ্রে ঘোষণা, প্রিজাইডিং অফিসারের সই করা ফলাফল সিট প্রত্যেক প্রার্থীর প্রতিনিধির কাছে সরবরাহ, দেশি-বিদেশি মিডিয়াসহ প্রত্যেক প্রার্থী বা তার মনোনীত ব্যক্তির সামনে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা, বেশি বেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক যেন আসে সেই ব্যবস্থা নেওয়া, নির্বাচনের কয়েকদিন আগে ও পরে কয়েকদিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও প্রার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।