ঢাকা ১০:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শহীদ জিয়া গবেষণা পরিষদের আন্তর্জাতিক সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ বোরহানউদ্দিনে র‍্যাবের অভিযানে ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী আটক সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন সমন্বয়‌কের বাড়ির দেয়া‌লে ‘মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নাও’ লিখে হুমকি কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে বীরমুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছিতের ঘটনায় আটক ৫ ১৬ বছরের জেদ, বিএনপি ক্ষমতায় এলেই চুল কাটবেন সাবু! পর্যটক সীমিত করলেও নির্মাণ হচ্ছে বহুতল ভবনসেন্টমার্টিনে জামালপুরে ফুলকপি ও লাউয়ের মিশ্র চাষে লাভবান আনিস আওয়ামী লীগ ক্ষমতাকে নিজের মনে করে ব্যবহার করেছেন:রংপুরে জামাতের আমীর মঠবাড়িয়ায় আ.লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

পিকে হালদারসহ ১৪ জনের মামলার রায় আজ

ঢাকা: ৪২৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং তা পাচারের অভিযোগে ভারতের কারাগারে বন্দি গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারের বিরুদ্ধে প্রথম রায় হচ্ছে আজ।

রোববার (০৮ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে মামলার রায় ঘোষণার কথা রয়েছে।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে এ পর্যন্ত ৩৬টির মতো মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যার মধ্যে বাকি ৩৫টি তদন্তাধীন বলে জানান আদালতে দুদকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম। এই মামলায় পিকে হালদারসহ মোট আসামি ১৪ জন। যার মধ্যে চারজন কারাগারে আছেন। তারা হলেন অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা।

পিকে হালদারসহ বাকি ১০ আসামি পলাতক। পলাতক অন্য আসামিরা হলেন পিকে হালদারের মা লিলাবতী হালদার, ভাই প্রিতিশ কুমার হালদার, সহযোগী অমিতাভ অধিকারী, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।

আসামিদের বিরুদ্ধে ৪২৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৪ সালের দুদক আইনের ২৭(১) ধারায় এবং সেই সম্পদ পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২)(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। দুটি অভিযোগের মধ্যে দুদক আইনের ২৭(১) ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছর এবং মানি লন্ডারিং আইনের ৪(২) ধারায় সর্বোচ্চ ১২ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

রায়ের বিষয়ে দুদক কৌঁসুলি মীর আহমেদ আলী সালাম বাংলানিউজকে বলেন, পিকে হালদারসহ আসামিদের বিরুদ্ধে ছয় হাজার ৮০ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য আমরা পেয়েছি। এছাড়া এক কোটি ১৭ লাখ কানাডিয়ান ডলার পাচারের অভিযোগ চার্জশিটে এসেছে। আর এই মামলায় তার বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুযায়ী সুনির্দিষ্টভাবে প্রায় ৪৭৬ কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সেগুলো পাচার সংক্রান্ত দালিলিক সাক্ষ্য আমরা আদালতে উপস্থাপন করেছি। অভিযোগ প্রমাণে দুদকের পক্ষে ১১৪ জন সাক্ষী উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা করছি, আইন অনুযায়ী তাদের সর্বোচ্চ সাজা হবে।

এই মামলায় পিকে হালদার পলাতক থাকায় তার পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিল না।

এর আগে গত ৪ অক্টোবর এই মামলায় দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। ওইদিন আদালত রায়ের জন্য ৮ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।

গত ২০ জুলাই এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। চার্জশিট ভুক্ত ১০৬ জন সাক্ষী থাকলেও দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মোট ১১৪ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত। এরপর গত ২৬ জুলাই কারাগারে থাকা চার আসামি ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান। তবে পিকে হালদারসহ বাকিরা পলাতক থাকায় তারা আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেননি। এরপর মামলাটিতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এই দিন ধার্য করা হয়।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।

মামলার এজাহারে বলা হয়, পিকে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন, যা দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ওই অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ উৎস, প্রকৃতি, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ, উৎস গোপন বা আড়াল করতে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করে মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধ করেছেন।

এরপর ২০২২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি মামলাটি তদন্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন। চার্জশিটে তার বিরুদ্ধে প্রায় ৪২৬ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। এছাড়া তিনি কানাডায় এক কোটি ১৭ লাখ কানাডিয়ান ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮০ কোটি টাকা) পাচার করেছেন বলে তথ্য দেওয়া হয়। তদন্তকালে তার বিরুদ্ধে ছয় হাজার কোটি ৮০ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ পায় দুদক।

পিকে হালদার ২০০৮ সালে আইআইডিএফসির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। ২০১৫ সালের জুলাই মাসে তিনি এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হন। ২০১৯ সালের ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের সময় আলোচনায় আসেন তিনি।

২০০৯ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান- পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস লিমিটেড, এফএএস ফাইন্যান্স এবং রিলায়েন্স ফাইন্যান্স থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন পিকে হালদার ও তার সহযোগীরা।

২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে রেড এলার্ট জারি করা হয়। তবে তার কয়েক ঘণ্টা আগে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত হয়ে দেশ ছাড়েন তিনি। এরপর গত বছর ১৪ মে কলকাতায় গ্রেপ্তার হন তিনি। এখন তিনি সেখানেই বন্দি আছেন।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শহীদ জিয়া গবেষণা পরিষদের আন্তর্জাতিক সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ

পিকে হালদারসহ ১৪ জনের মামলার রায় আজ

আপডেট সময় ১১:২৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০২৩

ঢাকা: ৪২৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং তা পাচারের অভিযোগে ভারতের কারাগারে বন্দি গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারের বিরুদ্ধে প্রথম রায় হচ্ছে আজ।

রোববার (০৮ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে মামলার রায় ঘোষণার কথা রয়েছে।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে এ পর্যন্ত ৩৬টির মতো মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যার মধ্যে বাকি ৩৫টি তদন্তাধীন বলে জানান আদালতে দুদকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম। এই মামলায় পিকে হালদারসহ মোট আসামি ১৪ জন। যার মধ্যে চারজন কারাগারে আছেন। তারা হলেন অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা।

পিকে হালদারসহ বাকি ১০ আসামি পলাতক। পলাতক অন্য আসামিরা হলেন পিকে হালদারের মা লিলাবতী হালদার, ভাই প্রিতিশ কুমার হালদার, সহযোগী অমিতাভ অধিকারী, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।

আসামিদের বিরুদ্ধে ৪২৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৪ সালের দুদক আইনের ২৭(১) ধারায় এবং সেই সম্পদ পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২)(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। দুটি অভিযোগের মধ্যে দুদক আইনের ২৭(১) ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছর এবং মানি লন্ডারিং আইনের ৪(২) ধারায় সর্বোচ্চ ১২ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

রায়ের বিষয়ে দুদক কৌঁসুলি মীর আহমেদ আলী সালাম বাংলানিউজকে বলেন, পিকে হালদারসহ আসামিদের বিরুদ্ধে ছয় হাজার ৮০ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য আমরা পেয়েছি। এছাড়া এক কোটি ১৭ লাখ কানাডিয়ান ডলার পাচারের অভিযোগ চার্জশিটে এসেছে। আর এই মামলায় তার বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুযায়ী সুনির্দিষ্টভাবে প্রায় ৪৭৬ কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সেগুলো পাচার সংক্রান্ত দালিলিক সাক্ষ্য আমরা আদালতে উপস্থাপন করেছি। অভিযোগ প্রমাণে দুদকের পক্ষে ১১৪ জন সাক্ষী উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা করছি, আইন অনুযায়ী তাদের সর্বোচ্চ সাজা হবে।

এই মামলায় পিকে হালদার পলাতক থাকায় তার পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিল না।

এর আগে গত ৪ অক্টোবর এই মামলায় দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। ওইদিন আদালত রায়ের জন্য ৮ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।

গত ২০ জুলাই এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। চার্জশিট ভুক্ত ১০৬ জন সাক্ষী থাকলেও দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মোট ১১৪ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত। এরপর গত ২৬ জুলাই কারাগারে থাকা চার আসামি ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান। তবে পিকে হালদারসহ বাকিরা পলাতক থাকায় তারা আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেননি। এরপর মামলাটিতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এই দিন ধার্য করা হয়।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।

মামলার এজাহারে বলা হয়, পিকে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন, যা দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ওই অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ উৎস, প্রকৃতি, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ, উৎস গোপন বা আড়াল করতে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করে মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধ করেছেন।

এরপর ২০২২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি মামলাটি তদন্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন। চার্জশিটে তার বিরুদ্ধে প্রায় ৪২৬ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। এছাড়া তিনি কানাডায় এক কোটি ১৭ লাখ কানাডিয়ান ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮০ কোটি টাকা) পাচার করেছেন বলে তথ্য দেওয়া হয়। তদন্তকালে তার বিরুদ্ধে ছয় হাজার কোটি ৮০ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ পায় দুদক।

পিকে হালদার ২০০৮ সালে আইআইডিএফসির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। ২০১৫ সালের জুলাই মাসে তিনি এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হন। ২০১৯ সালের ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের সময় আলোচনায় আসেন তিনি।

২০০৯ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান- পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস লিমিটেড, এফএএস ফাইন্যান্স এবং রিলায়েন্স ফাইন্যান্স থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন পিকে হালদার ও তার সহযোগীরা।

২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে রেড এলার্ট জারি করা হয়। তবে তার কয়েক ঘণ্টা আগে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত হয়ে দেশ ছাড়েন তিনি। এরপর গত বছর ১৪ মে কলকাতায় গ্রেপ্তার হন তিনি। এখন তিনি সেখানেই বন্দি আছেন।