ঢাকা ০৬:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাকিবের বিকল্প খুঁজে নিলো বাংলাদেশ যেভাবে দেশ-বিদেশে ৫৮০ বাড়ির মালিক সাবেক ভূমিমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান রিফাত মহিউদ্দিন খান রিফাত শরীয়তপুরের জাজিরায় কালবেলার দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান উদযাপন ঈশ্বরদীতে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত ফরিদপুরের জাকারিয়া সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত, হেলিকপ্টারে ঢাকায় স্থানান্তর মানবজাতির মুক্তির দিশারি মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আবুল হাশেম বক্কর বি আর টি সির চেয়ারম্যানের অপসারণ ও গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন। ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে সেমিনারে অধ্যাপক ডা. এম এ হাসান চৌধুরী ভুয়া ঠিকানায় নিরাপত্তা ছাড়পত্রের চেষ্টা গণপূর্তের প্রকৌশলী রাজু আহমেদের পটুয়াখালীতে এক মাদক ব্যবসায়ীকে ২০ দিন কারাদন্ড

আমি তো অপরাধ করিনি, শংকিত কেন হবো: ড. ইউনূস

ঢাকা: গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমি তো অপরাধ করিনি, শংকিত কেন হবো।

বৃহস্পতিবার (০৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটে দুদক কার্যালয়ে প্রবেশ করেন ড. ইউনূস।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ১১টার দিকে দুদক কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় সাংবাদিকরা ড. ইউনূসের কাছে নানা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি তো অপরাধ করিনি, শংকিত কেন হবো? আমাকে ডেকেছেন, আমি এসেছি, যেহেতু এটা লিগ্যাল মেটার, আমার আইনজীবী আছেন তিনি ব্যাখ্যা দেবেন।

ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমি ডক্টর ইউনূস সাহেবের আইনজীবী হিসেবে ভেতরে (দুদক কার্যালয়ে) গিয়েছিলাম এবং আমি আইনের সমস্ত ব্যাখ্যা ওইখানে দিয়েছি। উনারা বলেছেন, ওই সমঝোতা চুক্তিটি জাল। আমি বলেছি, আপনারা জাল বলতে পারেন না, কারণ দুই পক্ষের সমঝোতা যখন হয়, তখন আর সেটা জাল থাকে না এবং এটা হাইকোর্টের অনুমোদন পাওয়া সুতরাং এটা জাল না। ওই চুক্তিতে ছিল, শ্রমিকদের সঙ্গে ৭ দিনের মধ্যে অ্যাকাউন্ট করতে হবে। সাত দিনের মধ্যে আমরা অ্যাকাউন্ট করেছি। হাঁ, আমরা টেলিফোনে অনুমতি নিয়েছি, কারণ সবাই একসঙ্গে থাকে না। আমরা ৯ তারিখের জুম মিটিংয়ের মাধ্যমেও সবার অনুমতি নিয়েছি। দুদক বলেছে, আপনারা অনুমতিটা পরে নিয়েছেন। আমি বলেছি, দেরি হওয়ার ঘটনা যদি ঘটে থাকে তাহলে এটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই মামলা অবশ্যই ভিত্তিহীন এবং কাল্পনিক অভিযোগে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

দুদক তলব করায় অর্থ আত্মসাৎ মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয়ে আসেন।

ড. ইউনূসের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন গণমাধ্যমকে জানান, উনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দুদক থেকে নোটিশ পাওয়ার পর জবাব দিতে তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছেন।

এর আগে গত বুধবার গ্রামীণ টেলিকমের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির তিন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ ও অর্থপাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনকে তলব করে দুদক। দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান আনোয়ার প্রধানের সই করা এক চিঠিতে বলা হয়, ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আপনার বক্তব্য শোনা ও নেওয়া প্রয়োজন। বক্তব্য দেওয়ার জন্য দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তদন্ত কাজে সহযোগিতার জন্য আপনাকে অনুরোধ করা হলো।

গত ৩০ মে অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্তাদি লঙ্ঘনপূর্বক জাল-জালিয়াতির আশ্রয়ে গ্রামীণ টেলিকম থেকে অর্থ আত্মসাৎপূর্বক অপরাধলব্ধ অর্থ স্থানান্তর বা রূপান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করে আত্মসাৎ করার অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন।

মামলার আসামিরা হলেন, গ্রামীণ টেলিকম চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, পরিচালক নাজনীন সুলতানা, পরিচালক মো. শাহজাহান, পরিচালক নূরজাহান বেগম, পরিচালক এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম।

জানা গেছে, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলামসহ গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ডের সদস্যদের উপস্থিতিতে গ্রামীণ টেলিকমের ২০২২ সালের ৯ মে অনুষ্ঠিত ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের গুলশান শাখায় ৮ মে ২০২২ সালে একটি হিসাব খোলা হয়, যার নম্বর: ২১৫১৫০০০০২৫৬৮। গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের পাওনা লভ্যাংশ বিতরণের জন্য গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন এবং গ্রামীণ টেলিকমের সঙ্গে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট চুক্তি ২৭ এপ্রিল, ২০২২ সালে সই হয়। গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ড সভার হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত ৯ মে হলেও তার একদিন আগেই ব্যাংক হিসাব খোলা হয় এবং সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট ২০২২ সালের ২৭ এপ্রিল হলেও এই অ্যাগ্রিমেন্টে ৮ মে খোলা ব্যাংক হিসাব দেখানো আছে, যা বাস্তবে অসম্ভব।

রেকর্ডপত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে প্রকৃতপক্ষে হস্তান্তরিত হয়েছে মাত্র এক কোটি টাকা। বাকি ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বোর্ড সদস্যদের সহায়তায় গ্রামীণ টেলিকমের সিবিএ নেতা এবং অ্যাডভোকেটসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্তাদি লঙ্ঘনপূর্বক জাল-জালিয়াতির আশ্রয়ে গ্রামীণ টেলিকম থেকে আত্মসাৎ করেছেন। এই অপরাধলব্ধ অর্থ স্থানান্তর বা রূপান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করেছেন, যা দণ্ডবিধি এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হওয়ায় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় ২০২৩ সালের ৩০ মে দুদক উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধানের মাধ্যমে একটি মামলা দায়ের করা হয়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাকিবের বিকল্প খুঁজে নিলো বাংলাদেশ

আমি তো অপরাধ করিনি, শংকিত কেন হবো: ড. ইউনূস

আপডেট সময় ১২:৪৫:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩

ঢাকা: গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমি তো অপরাধ করিনি, শংকিত কেন হবো।

বৃহস্পতিবার (০৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটে দুদক কার্যালয়ে প্রবেশ করেন ড. ইউনূস।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ১১টার দিকে দুদক কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় সাংবাদিকরা ড. ইউনূসের কাছে নানা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি তো অপরাধ করিনি, শংকিত কেন হবো? আমাকে ডেকেছেন, আমি এসেছি, যেহেতু এটা লিগ্যাল মেটার, আমার আইনজীবী আছেন তিনি ব্যাখ্যা দেবেন।

ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমি ডক্টর ইউনূস সাহেবের আইনজীবী হিসেবে ভেতরে (দুদক কার্যালয়ে) গিয়েছিলাম এবং আমি আইনের সমস্ত ব্যাখ্যা ওইখানে দিয়েছি। উনারা বলেছেন, ওই সমঝোতা চুক্তিটি জাল। আমি বলেছি, আপনারা জাল বলতে পারেন না, কারণ দুই পক্ষের সমঝোতা যখন হয়, তখন আর সেটা জাল থাকে না এবং এটা হাইকোর্টের অনুমোদন পাওয়া সুতরাং এটা জাল না। ওই চুক্তিতে ছিল, শ্রমিকদের সঙ্গে ৭ দিনের মধ্যে অ্যাকাউন্ট করতে হবে। সাত দিনের মধ্যে আমরা অ্যাকাউন্ট করেছি। হাঁ, আমরা টেলিফোনে অনুমতি নিয়েছি, কারণ সবাই একসঙ্গে থাকে না। আমরা ৯ তারিখের জুম মিটিংয়ের মাধ্যমেও সবার অনুমতি নিয়েছি। দুদক বলেছে, আপনারা অনুমতিটা পরে নিয়েছেন। আমি বলেছি, দেরি হওয়ার ঘটনা যদি ঘটে থাকে তাহলে এটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই মামলা অবশ্যই ভিত্তিহীন এবং কাল্পনিক অভিযোগে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

দুদক তলব করায় অর্থ আত্মসাৎ মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয়ে আসেন।

ড. ইউনূসের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন গণমাধ্যমকে জানান, উনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দুদক থেকে নোটিশ পাওয়ার পর জবাব দিতে তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছেন।

এর আগে গত বুধবার গ্রামীণ টেলিকমের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির তিন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ ও অর্থপাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনকে তলব করে দুদক। দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান আনোয়ার প্রধানের সই করা এক চিঠিতে বলা হয়, ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আপনার বক্তব্য শোনা ও নেওয়া প্রয়োজন। বক্তব্য দেওয়ার জন্য দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তদন্ত কাজে সহযোগিতার জন্য আপনাকে অনুরোধ করা হলো।

গত ৩০ মে অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্তাদি লঙ্ঘনপূর্বক জাল-জালিয়াতির আশ্রয়ে গ্রামীণ টেলিকম থেকে অর্থ আত্মসাৎপূর্বক অপরাধলব্ধ অর্থ স্থানান্তর বা রূপান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করে আত্মসাৎ করার অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন।

মামলার আসামিরা হলেন, গ্রামীণ টেলিকম চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, পরিচালক নাজনীন সুলতানা, পরিচালক মো. শাহজাহান, পরিচালক নূরজাহান বেগম, পরিচালক এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম।

জানা গেছে, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলামসহ গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ডের সদস্যদের উপস্থিতিতে গ্রামীণ টেলিকমের ২০২২ সালের ৯ মে অনুষ্ঠিত ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের গুলশান শাখায় ৮ মে ২০২২ সালে একটি হিসাব খোলা হয়, যার নম্বর: ২১৫১৫০০০০২৫৬৮। গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের পাওনা লভ্যাংশ বিতরণের জন্য গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন এবং গ্রামীণ টেলিকমের সঙ্গে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট চুক্তি ২৭ এপ্রিল, ২০২২ সালে সই হয়। গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ড সভার হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত ৯ মে হলেও তার একদিন আগেই ব্যাংক হিসাব খোলা হয় এবং সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট ২০২২ সালের ২৭ এপ্রিল হলেও এই অ্যাগ্রিমেন্টে ৮ মে খোলা ব্যাংক হিসাব দেখানো আছে, যা বাস্তবে অসম্ভব।

রেকর্ডপত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে প্রকৃতপক্ষে হস্তান্তরিত হয়েছে মাত্র এক কোটি টাকা। বাকি ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বোর্ড সদস্যদের সহায়তায় গ্রামীণ টেলিকমের সিবিএ নেতা এবং অ্যাডভোকেটসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্তাদি লঙ্ঘনপূর্বক জাল-জালিয়াতির আশ্রয়ে গ্রামীণ টেলিকম থেকে আত্মসাৎ করেছেন। এই অপরাধলব্ধ অর্থ স্থানান্তর বা রূপান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করেছেন, যা দণ্ডবিধি এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হওয়ায় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় ২০২৩ সালের ৩০ মে দুদক উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধানের মাধ্যমে একটি মামলা দায়ের করা হয়।