চলতি বছরের জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করে। যেসব শর্তে এই ঋণ অনুমোদন করা হয় তার মধ্যে একটি শর্ত ছিল চলতি বছরের জুনের মধ্যে নিট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ (এনআইআর) ২৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ধরে রাখা।
কিন্তু বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় সেই শর্ত পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের আগে শর্তের অগ্রগতি নিয়ে বুধবার (৪ অক্টোবর) সকালে আইএমএফ সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক বৈঠকে বসলে রিজার্ভ সংরক্ষণে ব্যর্থতার কথা তাদের জানানো হয়।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো: মেজবা উল হক সাংবাদিকদের বলেন, আইএমএফ’র সাথে বৈঠকে ঋণের শর্ত অনুযায়ী যেসব সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে সে বিষয়ে অবহিত করে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর যে সব শর্ত পূরণ করতে পারেনি তার কারণও ব্যাখ্যা করা হয়।
তিনি বলেন, আইএমএফ-এর সাথে প্রতিশ্রুত শর্তগুলো পুরনো, বাংলাদেশ যেসব উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি আগে থেকেই তা পর্যবেক্ষণ করছে। আইএমমএফকে প্রতিশ্রুত শর্তগুলো পূরণে বাংলাদেশ ব্যাংক যেসব উদ্যোগ নিয়েছি এসব বিষয় শুনলেন। আইএমএফ প্রতিনিধি দল দুই সপ্তাহ ঢাকাতে থাকবেন আরো পর্যালোচনার পর তাদের মতামত জানাবে।
জানা যায়, নিট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ (এনআইআর) ছাড়া বাংলাদেশ অন্য যে শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে- তা হলো ন্যূনতম রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা। গত অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আইএমএফ নির্ধারিতে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা কম আদায় করেছে। এ জন্য চলতি অর্থবছর জিডিপির অনুপাতে ০.৫% বাড়তি রাজস্ব আদায় করতে হবে এনবিআরকে। আইএমএফের শর্ত অনুসারে, নতুন অর্থবছরে এনবিআরের যে স্বাভাবিক লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, তার চেয়ে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করতে হবে।