ঢাকা ০৭:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি শরীয়তপুরে ছেলের গাছের গোড়ার আঘাতে বাবা নিহত সেই ছেলে গ্রেফতার। ঢাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি কে এই সাদিক শিগগিরই ঢাবি শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা: শিবির সভাপতি চট্টগ্রাম নগর যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত, ২ নেতা বহিষ্কার সরকার পতনের পর এই প্রথম মুখ খুললেন সাদ্দাম-ইনান কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গরু ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন এনজিও মাঠকর্মীরা রংপুরের মিঠাপুকুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত ভোলায় শহীদ পরিবারদের কোটি টাকার সহায়তা দিল- জামায়াতে ইসলাম জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশন যোগ দিতে নিউইয়র্কে দৈনিক তরুণ কণ্ঠ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শান্ত

আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে কোনও ক্ষমা নেই: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে কোনও ক্ষমা নেই। সোমবার (২ অক্টোবর) লন্ডনের হোটেল তাজে প্রবাসীদের আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নির্বাচনের আগে আন্দোলনের নামে মানুষের ওপর হামলা করলে রেহাই দেওয়া হবে না। কারণ, তথাকথিত আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াত জোট অতীতে যাত্রীবাহী বাস, ট্রেন ও লঞ্চসহ বহু ধরনের যানবাহনে আগুন দিয়ে মানুষ মেরেছে।”

তিনি বলেন, “২০১৩-১৪ সালে তারা সারাদেশে তান্ডব চালিয়েছিল। অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নারীসহ অনেক মানুষ গুরুতরভাবে দগ্ধ হয়েছিল এবং তারা তাদের আঘাত নিয়ে অমানবিক জীবনযাপন করছে।”

সরকারপ্রধান বলেন, “আন্দোলনে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু আন্দোলনের নামে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ হত্যা এবং দেশের সম্পত্তি নষ্ট করলে কোনো ক্ষমা করা হবে না।”

শেখ হাসিনা বলেন, “গণতন্ত্রের কথা বলা বিএনপির পক্ষে শোভা পায় না। কারণ, তারা জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে ধোঁকাবাজি খেলেছে। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি একটি প্রহসনমূলক নির্বাচন করে এবং নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার দেড় মাসের মধ্যেই দেশের জনগণ তাদের ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে।

তিনি বলেন, “বিএনপি-জামায়াত জোট ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার নিয়ে ভোটার তালিকা তৈরি করে এবং সেই তালিকা দিয়ে নির্বাচন করার চেষ্টা করে। দেশের জনগণ কখনই ভোট কারচুপিকারীদের ক্ষমতায় বসতে দেয় না।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম করেছে। তাদের অনেকেই তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন।”

তিনি বলেন, “সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ জন্য নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইন প্রণয়নের পাশাপাশি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার জন্য সব ধরনের সংস্কার করা হয়েছে। স্বচ্ছ ব্যালট বক্স চালু এবং ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরি করা হয়েছে।”

খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “বিএনপি খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর আন্দোলন করছে। তাকে বিদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে আমার কিছুই করার নেই। নির্বাহী ক্ষমতা দিয়ে দণ্ড স্থগিত করে তাকে বাড়িতে থাকতে দিয়েছি। আইন অনুযায়ী যতটুকু করতে পারি তাই করেছি।”

তিনি বলেন, “খাদ্যের জন্য অন্যের ওপর নির্ভরতা কমাতে এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে না দেওয়া যাবে না। প্রতি ইঞ্চি জমি ব্যবহার করে উৎপাদন করতে হবে।”

প্রধানন্ত্রী বলেন, “সরকার বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল ও ডিজিটাল দেশে রূপান্তরিত করেছে এবং এখন ২০৪১ সালের মধ্যে এটিকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে।”

এ সময় প্রবাসী বাংলাদেশিদের ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি

আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে কোনও ক্ষমা নেই: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ১২:৫৯:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে কোনও ক্ষমা নেই। সোমবার (২ অক্টোবর) লন্ডনের হোটেল তাজে প্রবাসীদের আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নির্বাচনের আগে আন্দোলনের নামে মানুষের ওপর হামলা করলে রেহাই দেওয়া হবে না। কারণ, তথাকথিত আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াত জোট অতীতে যাত্রীবাহী বাস, ট্রেন ও লঞ্চসহ বহু ধরনের যানবাহনে আগুন দিয়ে মানুষ মেরেছে।”

তিনি বলেন, “২০১৩-১৪ সালে তারা সারাদেশে তান্ডব চালিয়েছিল। অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নারীসহ অনেক মানুষ গুরুতরভাবে দগ্ধ হয়েছিল এবং তারা তাদের আঘাত নিয়ে অমানবিক জীবনযাপন করছে।”

সরকারপ্রধান বলেন, “আন্দোলনে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু আন্দোলনের নামে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ হত্যা এবং দেশের সম্পত্তি নষ্ট করলে কোনো ক্ষমা করা হবে না।”

শেখ হাসিনা বলেন, “গণতন্ত্রের কথা বলা বিএনপির পক্ষে শোভা পায় না। কারণ, তারা জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে ধোঁকাবাজি খেলেছে। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি একটি প্রহসনমূলক নির্বাচন করে এবং নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার দেড় মাসের মধ্যেই দেশের জনগণ তাদের ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে।

তিনি বলেন, “বিএনপি-জামায়াত জোট ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার নিয়ে ভোটার তালিকা তৈরি করে এবং সেই তালিকা দিয়ে নির্বাচন করার চেষ্টা করে। দেশের জনগণ কখনই ভোট কারচুপিকারীদের ক্ষমতায় বসতে দেয় না।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম করেছে। তাদের অনেকেই তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন।”

তিনি বলেন, “সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ জন্য নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইন প্রণয়নের পাশাপাশি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার জন্য সব ধরনের সংস্কার করা হয়েছে। স্বচ্ছ ব্যালট বক্স চালু এবং ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরি করা হয়েছে।”

খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “বিএনপি খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর আন্দোলন করছে। তাকে বিদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে আমার কিছুই করার নেই। নির্বাহী ক্ষমতা দিয়ে দণ্ড স্থগিত করে তাকে বাড়িতে থাকতে দিয়েছি। আইন অনুযায়ী যতটুকু করতে পারি তাই করেছি।”

তিনি বলেন, “খাদ্যের জন্য অন্যের ওপর নির্ভরতা কমাতে এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে না দেওয়া যাবে না। প্রতি ইঞ্চি জমি ব্যবহার করে উৎপাদন করতে হবে।”

প্রধানন্ত্রী বলেন, “সরকার বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল ও ডিজিটাল দেশে রূপান্তরিত করেছে এবং এখন ২০৪১ সালের মধ্যে এটিকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে।”

এ সময় প্রবাসী বাংলাদেশিদের ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।