ঢাকা: স্বপ্নের মেট্রোরেলের পরে আজ (শনিবার) এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত নির্মিত হচ্ছে এ এক্সপ্রেসওয়ে।
১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার মোট দূরত্বের মধ্যে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশের ১০ কিলোমিটার উদ্বোধন হবে আজ বিকেলে।
আর রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা থেকে এই অংশ সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ধরনের যানের জন্য আলাদা করে টোল নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
তবে এই টোল অনুযায়ী এ পথে চলাচলকারী বাসের ভাড়া কী হবে তা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। লোকাল বাসগুলো কী নিয়মে চলাচল করবে এ নিয়েও সংশ্লিষ্টদের ঘোর কাটছে না।
এক্সপ্রেসওয়ের এই অংশে যানবাহনকে চার শ্রেণিতে ভাগ করে টোল ঠিক করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। এতে সর্বনিম্ন টোল ৮০ ও সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত ২১ আগস্ট মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের উপসচিব আবুল হাসানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফার্মগেট পর্যন্ত সব ধরনের বাসের (১৬ সিট বা এর বেশি) ক্ষেত্রে ১৬০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে এসব বাসে নতুন ভাড়া কত হবে তা জানেন না মালিকরা। বর্তমানে এই দূরত্বের যাত্রীপ্রতি ভাড়া ৩০ টাকা।
প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার বলেন, যে অংশটুকু উদ্বোধন হবে সেখানে সব ধরনের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। উদ্বোধনের পরেরদিন অর্থাৎ ৩ তারিখ ভোর ৬ টা থেকে যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, একইসঙ্গে বাকি অংশের কাজও চলছে। সবমিলিয়ে ৬৫ শতাংশের ওপরে কাজ হয়েছে। ঢাকা শহরের মধ্যে দিয়ে এমন প্রকল্প বাস্তবায়নে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থাকে। তবে সেসব সমস্যা কাটিয়ে তুলে কাজ হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি এ প্রকল্পের প্রথম চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। এই প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্পের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে সংশোধিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
প্রকল্পটি থাইল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইটালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড ৫১ শতাংশ এবং চায়নাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান শোনডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক গ্র্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপ ৩৪ শতাংশ ও সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড ১৫ শতাংশ যৌথ উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে। প্রকল্পের মূল দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৬ কিলোমিটার। র্যাম্পসহ মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।
প্রকল্পের মোট ব্যয় ৮৯৪০ কোটি টাকা যার ২৭ শতাংশ বাংলাদেশ সরকার ভিজিএফ হিসেবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করবে। তবে ভূমি অধিগ্রহণ, নকশা বদল, অর্থ সংস্থানের জটিলতায় ৪ বার সময় বৃদ্ধির ফলে ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকায়।