ঢাকা ০৮:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি না থাকা বড় ভুল পটুয়াখালীতে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিশাল জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত শহীদ জিয়া স্মৃতি পদক পেলেন জাতীয়তাবাদী বিএনপির রাজশাহী জেলার সদস্য সচিব গণতন্ত্রের স্বার্থেই নির্বাচন জরুরি : যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না তাঁতীলীগের সভাপতি ইকবালের যত কান্ড, জনমনে প্রশ্ন কে এই ইকবাল? সিএমপির পাহাড়তলী থানার মাদক বিরোধী অভিযানে ভুয়া সাংবাদিক ফারুক মাদকসহ গ্রেফতার অন্তর্বতী সরকারের ১শ দিন পার হলেও সচিবালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরের এখনও আওয়ামী লীগের দোসরা বহাল পূর্বাচলে দুর্নীতির রাজত্ব গড়েছেন নায়েব আলী শরীফ ডঃ মোশাররফ ফাউন্ডেশন কলেজ নবীনবরণ উৎসব ২০২৪ পালিত। মুগদায় ১০ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উত্তোলন বন্ধ

নীলফামারী: দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়া দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল কয়লা খনির ভূগর্ভের ১১১৩ কোল ফেসের (কয়লা উত্তোলন বা নির্গমন মুখ) মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় উত্তোলন বন্ধ হয়ে গেছে।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়।

ফলে বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট চালু রেখে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদন কমিয়ে আনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওই কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক।
খনির একটি সূত্র জানিয়েছে, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদনশীল ১১১৩ নম্বর ফেসে কয়লার মজুত শেষ হয়ে গেছে। এতে ২৯ আগস্ট (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা ৬টা থেকে কয়লা উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ১১১৩ ফেস থেকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হয়েছে। এখন নতুন ফেস থেকে কয়লা উত্তোলন করা হবে। নতুন এই ফেসে ২ লাখ ১৬ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুদ রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে ১১১৩ নম্বর ফেজে ব্যবহৃত উৎপাদন যন্ত্রপাতি সরিয়ে ১৪১২ নম্বর ফেজে স্থাপনের কাজ চলছে। নতুন ফেজটি থেকে উৎপাদনে যেতে প্রায় দুই মাস সময় লেগে যাবে। আশা করা হচ্ছে আগামী নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে কয়লা উত্তোলন হতে পারে।

মঙ্গলবার রাত ১১টায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, নতুন ১৪১২ নম্বর ফেসটি আগামী নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হতে পারে। এছাড়া ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরা পড়লে মেরামতের জন্য বাড়তি সময়ের প্রয়োজন হতে পারে।

বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক বলেন, খনিতে কয়লার উত্তোলন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনটি ইউনিটের মধ্যে ১ ও ২ নম্বর ইউনিট দুটি বন্ধ রেখে ৩ নম্বর ইউনিট চালু রেখে ১৮০-২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। ৩ নম্বর ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ২৭৫ মেগাওয়াট। এটি উৎপাদন রাখতে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার মেট্রিক টন কয়লা প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত পিডিপির কোল ইয়ার্ডে ১ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুত রয়েছে। এ কয়লা দিয়ে আগামী অক্টোবর মাস পর্যন্ত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিট অর্থাৎ ৩য় ইউনিট উৎপাদন চালু রাখতে হবে। তবে, নভেম্বর মাসে কয়লা উত্তোলন সম্ভব না হলে জ্বালানির অভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে গেলে পুরো উত্তরাঞ্চল বিদ্যুৎবিহীন অথবা লো ভোল্টেজের কবলে পড়তে পারে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি না থাকা বড় ভুল

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উত্তোলন বন্ধ

আপডেট সময় ১১:২৯:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৩

নীলফামারী: দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়া দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল কয়লা খনির ভূগর্ভের ১১১৩ কোল ফেসের (কয়লা উত্তোলন বা নির্গমন মুখ) মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় উত্তোলন বন্ধ হয়ে গেছে।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়।

ফলে বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট চালু রেখে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদন কমিয়ে আনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওই কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক।
খনির একটি সূত্র জানিয়েছে, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদনশীল ১১১৩ নম্বর ফেসে কয়লার মজুত শেষ হয়ে গেছে। এতে ২৯ আগস্ট (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা ৬টা থেকে কয়লা উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ১১১৩ ফেস থেকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হয়েছে। এখন নতুন ফেস থেকে কয়লা উত্তোলন করা হবে। নতুন এই ফেসে ২ লাখ ১৬ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুদ রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে ১১১৩ নম্বর ফেজে ব্যবহৃত উৎপাদন যন্ত্রপাতি সরিয়ে ১৪১২ নম্বর ফেজে স্থাপনের কাজ চলছে। নতুন ফেজটি থেকে উৎপাদনে যেতে প্রায় দুই মাস সময় লেগে যাবে। আশা করা হচ্ছে আগামী নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে কয়লা উত্তোলন হতে পারে।

মঙ্গলবার রাত ১১টায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, নতুন ১৪১২ নম্বর ফেসটি আগামী নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হতে পারে। এছাড়া ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরা পড়লে মেরামতের জন্য বাড়তি সময়ের প্রয়োজন হতে পারে।

বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক বলেন, খনিতে কয়লার উত্তোলন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনটি ইউনিটের মধ্যে ১ ও ২ নম্বর ইউনিট দুটি বন্ধ রেখে ৩ নম্বর ইউনিট চালু রেখে ১৮০-২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। ৩ নম্বর ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ২৭৫ মেগাওয়াট। এটি উৎপাদন রাখতে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার মেট্রিক টন কয়লা প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত পিডিপির কোল ইয়ার্ডে ১ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুত রয়েছে। এ কয়লা দিয়ে আগামী অক্টোবর মাস পর্যন্ত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিট অর্থাৎ ৩য় ইউনিট উৎপাদন চালু রাখতে হবে। তবে, নভেম্বর মাসে কয়লা উত্তোলন সম্ভব না হলে জ্বালানির অভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে গেলে পুরো উত্তরাঞ্চল বিদ্যুৎবিহীন অথবা লো ভোল্টেজের কবলে পড়তে পারে।