ঢাকা ১০:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

কে ছাত্রলীগ বা ছাত্রদলের সেটি মুখ্য বিষয় না: হারুন

ঢাকা: কে ছাত্রলীগ বা ছাত্রদলের সেটি মুখ্য বিষয় নয়, অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। অস্ত্রধারীরা কোনো দলের হতে পারে না।

সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিন্তে পুলিমের পক্ষ থেকে যেটি করা দরকার, করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ।

সোমবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

সম্প্রতি ছাত্রদলের সাত কেন্দ্রীয় নেতাকে ৪টি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ছাত্রদল নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে- সংগঠনটির পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে ডিবি প্রধান বলেন, অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার সাতজন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা বলে যদি কেউ এটাকে হয়রানির উদ্দেশ্যে অভিযান বলে এটা ঠিক না। ডিবি সত্যিকার অর্থে অস্ত্রধারী ও অস্ত্র ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে, এটি চলমান থাকবে।

অস্ত্রধারী কোনো দলের হতে পারে না। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় বরং ছাত্রদলের ওই সাত কেন্দ্রীয় নেতাকে দলীয়ভাবে বহিষ্কার করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

হারুন অর রশীদ বলেন, সম্প্রতি ডিবি গুলশান বিভাগ অস্ত্র-গোলাবারুদসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে। এরই ধারাবাহিকতায় কলাবাগান থানা এলাকা থেকে অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আবুল হাচান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের কাছ থেকে চারটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তারা ফেসবুকে অস্ত্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তাদের মোবাইল থেকে কথোপকথনের প্রমাণ আমার পেয়েছি। কোন কোন অস্ত্র কোথায় তারা ব্যবহার করবেন সেসবও তাদের কথোপকথনে উঠে এসেছে।

অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, কোনো দলের নেতা বা কর্মীকে গ্রেপ্তার করা আমাদের উদ্দেশ্য না। তবে যারা চোরাকারবারি, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসা, অস্ত্র ও মাদক ব্যবসা করবে তাদের বিরুদ্ধেই আমাদের অভিযান। যদিও অনেকেই বলার চেষ্টা করছেন, ইচ্ছাকৃতভাবে রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে, এটা রাজনৈতিক কথাবার্তা। আমরা আমাদের আইনগত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অভিযান পরিচালনা করেছি। ছাত্রদলের গ্রেপ্তার নেতারা যে ১১টি অস্ত্র কেনার জন্য অস্ত্র ব্যবসায়ীদের কাছে অর্ডার করেছে, সেটি প্রমাণিত।

ডিবি প্রধান আরও বলেন, সম্প্রতি গ্রেপ্তাররা হয়তো ছাত্রদলের নেতাকর্মী। কিন্তু এর আগে তো শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকে আমরা অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছি। বাড্ডা থানা অস্ত্র মামলায় নাসির, কাউসার, জীবনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি, তারা সবাই ছাত্রলীগের নেতা। কিছুদিন আগে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার হারুন ও রশিদ হত্যা মামলার আসামি আসাদুজ্জামানকে দুটি অস্ত্রসহ আমরা গ্রেপ্তার করেছি। তখন তো কেউ প্রশ্ন তোলেনি।

সম্প্রতি গ্রেপ্তাররা ছাত্রদলের বলে কেন তবে প্রশ্ন উঠছে? আমাদের উদ্দেশ্যটা রাজনৈতিক নয়। কে ছাত্রলীগ বা ছাত্রদলের সেটি আমাদের মুখ্য বিষয় নয়। মুখ্য বিষয় হচ্ছে, সে অস্ত্র ব্যবসায়ী, চোরাকারবারি। তাই সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিন্তে আমাদের পক্ষ থেকে যা যা করণীয় আমরা করবো। তারা যদি কোনো দলের ছত্র-ছায়ায় এসব করে তাহলেও আমরা ছাড় দেব না।

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার ছাত্রদলের সাত নেতাকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করে জেনেছি তারা ১১ টি অস্ত্র অর্ডার করেছে। এর মধ্যে আমরা মাত্র চারটি উদ্ধার করতে পেরেছি। আরও ৭টি অস্ত্র এখনো উদ্ধার বাকি রয়েছে। সেগুলো উদ্ধার করে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। জিজ্ঞাসাবাদে আমরা অনেকের নাম পেয়েছি, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

ছাত্রদলের গ্রেপ্তার নেতারা কেন অস্ত্র কিনছে? এ প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান হারুন বলেন, ১১টা অস্ত্র তারা অনলাইনে বুকিং করেছে, তার ছবি আমরা পেয়েছি। এসব কাদের কাছ থেকে তারা সংগ্রহ করেছে, তাদের নামও আমরা জেনেছি। সেগুলো কোথায় এবং কি কাজে তারা ব্যবহার করবে, সেগুলো আমরা জেনেছি তবে তা আমরা এখনই বলছি না।

নির্বাচন সামনে রেখে সহিংসতার উদ্দেশ্যে রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা তো পরিষ্কার। নির্বাচনের অল্প কিছুদিন বাকি, এখন রাজনৈতিক দলগুলো তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছে। এ সময়ে ছাত্রদলের গ্রেপ্তার নেতারা ১১টি অস্ত্র সংগ্রহ করলেন, বোমা সংগ্রহ করলেন, মোবাইল ফোনে কথোপকথনে সেগুলো কোথায় ব্যবহার করবে সেটাও বললেন। নিজেদের মধ্যে অস্ত্রগুলো বণ্টন, এটা কিসের আলামত?

আলামত যাই হোক না কেন, আমরা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের স্বার্থে, অবৈধ অস্ত্রধারীরা যারাই হোক না কেন, তারা যে দলই করুক না কেন প্রত্যেককে আইনগত প্রক্রিয়ায় গ্রেপ্তার করা হবে। তাদের রিমান্ডে এনে তাদের গডফাদারদের আমরা খুঁজে বের করব ও আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করব। পুলিশকে দুর্বল মনে করে যদি ঢাকা শহরে কোনো অস্ত্র ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী ঢাকা শহরে ঘুরে বেড়াবে, আর ডিবি বসে থাকবে এটা হতে পারে না। আইনগত প্রক্রিয়া আমাদের যা যা করা দরকার আমরা তাই করব।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ আরও বলেন, কেউ যদি অস্ত্র ব্যবসায়ীকে ধরার পরে পুলিশকে হুমকি দেয়, তাদের মনে রাখা উচিত কারও হুমকিতে ডিবি পুলিশ ভয় পায় না। আমরা যাদের নাম পেয়েছি তাদের প্রত্যেককে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

কে ছাত্রলীগ বা ছাত্রদলের সেটি মুখ্য বিষয় না: হারুন

আপডেট সময় ০৩:৪৭:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩

ঢাকা: কে ছাত্রলীগ বা ছাত্রদলের সেটি মুখ্য বিষয় নয়, অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। অস্ত্রধারীরা কোনো দলের হতে পারে না।

সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিন্তে পুলিমের পক্ষ থেকে যেটি করা দরকার, করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ।

সোমবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

সম্প্রতি ছাত্রদলের সাত কেন্দ্রীয় নেতাকে ৪টি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ছাত্রদল নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে- সংগঠনটির পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে ডিবি প্রধান বলেন, অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার সাতজন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা বলে যদি কেউ এটাকে হয়রানির উদ্দেশ্যে অভিযান বলে এটা ঠিক না। ডিবি সত্যিকার অর্থে অস্ত্রধারী ও অস্ত্র ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে, এটি চলমান থাকবে।

অস্ত্রধারী কোনো দলের হতে পারে না। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় বরং ছাত্রদলের ওই সাত কেন্দ্রীয় নেতাকে দলীয়ভাবে বহিষ্কার করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

হারুন অর রশীদ বলেন, সম্প্রতি ডিবি গুলশান বিভাগ অস্ত্র-গোলাবারুদসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে। এরই ধারাবাহিকতায় কলাবাগান থানা এলাকা থেকে অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আবুল হাচান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের কাছ থেকে চারটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তারা ফেসবুকে অস্ত্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তাদের মোবাইল থেকে কথোপকথনের প্রমাণ আমার পেয়েছি। কোন কোন অস্ত্র কোথায় তারা ব্যবহার করবেন সেসবও তাদের কথোপকথনে উঠে এসেছে।

অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, কোনো দলের নেতা বা কর্মীকে গ্রেপ্তার করা আমাদের উদ্দেশ্য না। তবে যারা চোরাকারবারি, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসা, অস্ত্র ও মাদক ব্যবসা করবে তাদের বিরুদ্ধেই আমাদের অভিযান। যদিও অনেকেই বলার চেষ্টা করছেন, ইচ্ছাকৃতভাবে রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে, এটা রাজনৈতিক কথাবার্তা। আমরা আমাদের আইনগত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অভিযান পরিচালনা করেছি। ছাত্রদলের গ্রেপ্তার নেতারা যে ১১টি অস্ত্র কেনার জন্য অস্ত্র ব্যবসায়ীদের কাছে অর্ডার করেছে, সেটি প্রমাণিত।

ডিবি প্রধান আরও বলেন, সম্প্রতি গ্রেপ্তাররা হয়তো ছাত্রদলের নেতাকর্মী। কিন্তু এর আগে তো শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকে আমরা অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছি। বাড্ডা থানা অস্ত্র মামলায় নাসির, কাউসার, জীবনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি, তারা সবাই ছাত্রলীগের নেতা। কিছুদিন আগে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার হারুন ও রশিদ হত্যা মামলার আসামি আসাদুজ্জামানকে দুটি অস্ত্রসহ আমরা গ্রেপ্তার করেছি। তখন তো কেউ প্রশ্ন তোলেনি।

সম্প্রতি গ্রেপ্তাররা ছাত্রদলের বলে কেন তবে প্রশ্ন উঠছে? আমাদের উদ্দেশ্যটা রাজনৈতিক নয়। কে ছাত্রলীগ বা ছাত্রদলের সেটি আমাদের মুখ্য বিষয় নয়। মুখ্য বিষয় হচ্ছে, সে অস্ত্র ব্যবসায়ী, চোরাকারবারি। তাই সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিন্তে আমাদের পক্ষ থেকে যা যা করণীয় আমরা করবো। তারা যদি কোনো দলের ছত্র-ছায়ায় এসব করে তাহলেও আমরা ছাড় দেব না।

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার ছাত্রদলের সাত নেতাকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করে জেনেছি তারা ১১ টি অস্ত্র অর্ডার করেছে। এর মধ্যে আমরা মাত্র চারটি উদ্ধার করতে পেরেছি। আরও ৭টি অস্ত্র এখনো উদ্ধার বাকি রয়েছে। সেগুলো উদ্ধার করে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। জিজ্ঞাসাবাদে আমরা অনেকের নাম পেয়েছি, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

ছাত্রদলের গ্রেপ্তার নেতারা কেন অস্ত্র কিনছে? এ প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান হারুন বলেন, ১১টা অস্ত্র তারা অনলাইনে বুকিং করেছে, তার ছবি আমরা পেয়েছি। এসব কাদের কাছ থেকে তারা সংগ্রহ করেছে, তাদের নামও আমরা জেনেছি। সেগুলো কোথায় এবং কি কাজে তারা ব্যবহার করবে, সেগুলো আমরা জেনেছি তবে তা আমরা এখনই বলছি না।

নির্বাচন সামনে রেখে সহিংসতার উদ্দেশ্যে রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা তো পরিষ্কার। নির্বাচনের অল্প কিছুদিন বাকি, এখন রাজনৈতিক দলগুলো তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছে। এ সময়ে ছাত্রদলের গ্রেপ্তার নেতারা ১১টি অস্ত্র সংগ্রহ করলেন, বোমা সংগ্রহ করলেন, মোবাইল ফোনে কথোপকথনে সেগুলো কোথায় ব্যবহার করবে সেটাও বললেন। নিজেদের মধ্যে অস্ত্রগুলো বণ্টন, এটা কিসের আলামত?

আলামত যাই হোক না কেন, আমরা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের স্বার্থে, অবৈধ অস্ত্রধারীরা যারাই হোক না কেন, তারা যে দলই করুক না কেন প্রত্যেককে আইনগত প্রক্রিয়ায় গ্রেপ্তার করা হবে। তাদের রিমান্ডে এনে তাদের গডফাদারদের আমরা খুঁজে বের করব ও আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করব। পুলিশকে দুর্বল মনে করে যদি ঢাকা শহরে কোনো অস্ত্র ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী ঢাকা শহরে ঘুরে বেড়াবে, আর ডিবি বসে থাকবে এটা হতে পারে না। আইনগত প্রক্রিয়া আমাদের যা যা করা দরকার আমরা তাই করব।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ আরও বলেন, কেউ যদি অস্ত্র ব্যবসায়ীকে ধরার পরে পুলিশকে হুমকি দেয়, তাদের মনে রাখা উচিত কারও হুমকিতে ডিবি পুলিশ ভয় পায় না। আমরা যাদের নাম পেয়েছি তাদের প্রত্যেককে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।