চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে গত ১১ আগস্ট চার বছরেরন কন্যাশিশুকে ধর্ষণ মামলার আসামি মোহাম্মদ কাউসার আলীকে (৩৯) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৫ ব্যাটালিয়নের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্প ও র্যাব-১ ব্যাটালিয়নের একটি যৌথ দল।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে ঢাকার বাড্ডা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত ১৩ আগস্ট এ ঘটনায় নাচোল থানায় পেশায় রাজমিস্ত্রিদের ঠিকাদার কাউসারকে একমাত্র অভিযুক্ত করে ধর্ষণ মামলা করেন শিশুর বাবা।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ র্যাব ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার বিবরণ দেন র্যাব-৫ ব্যাটালিয়ন রাজশাহীর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার।
তিনি বলেন, মেয়েটির আত্মীয় নাচোলের এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে বড় হয় মেয়েটি। ঘটনার রাতে মেয়েটি তাদের সঙ্গেই এক বিছানায় ঘুমিয়ে ছিল। এ সময় অভিযুক্তের বিকৃত মানসিকতার শিকার হয় সে। অভিযুক্তের স্ত্রী ঘুমিয়ে থাকায় কিছু টের পাননি।
পরে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শিশুর রক্তক্ষরণ ও ব্যথা শুরু হলে এবং অবস্থার অবনতি হলে তাকে নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে শিশুটি অভিযুক্ত কাউসারের স্ত্রীকে সব জানায়। ঘটনা শুনে স্ত্রী তার স্বামীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন।এদিকে শিশুর মেডিক্যাল পরীক্ষায়ও ধর্ষণের প্রমাণ মেলে। বর্তমানে শিশুটি তার বাবা-মায়ের হেফাজতে রয়েছে।
র্যাব-৫-এর অধিনায়ক আরো বলেন, চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার পর আসামি পালিয়ে যান। এলাকাবাসী ব্যাপক ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেন। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হয়।এ ঘটনা জানতে পেরে র্যাব এর ছায়াতদন্ত শুরু করে। প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে পলাতক কাউসারের অবস্থান শনাক্ত করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে নাচোল থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ বলেন, ঘটনাটি বর্তমান সামাজিক অবক্ষয়ের ভয়াবহতার চিত্র। এমন ঘৃণ্য অপরাধ কাম্য নয়। বিকৃত মানসিকতার মানুষদের প্রতি সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। তিনি সবাইকে শিশুদের প্রতি অধিক যত্নশীল হওয়ার আহ্বান জানান,