বিএনপির চলমান আন্দোলনকে ব্যর্থ করে আওয়ামী লীগ আবারও বিজয় লাভ করে সরকার গঠন করবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ও মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান।
শনিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে শহরের সৈদারবালী এলাকায় ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি) মাঠে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্ধোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় শাজাহান খান বলেন, বিএনপির আন্দোলনের পালে যে হাওয়া লেগেছিল, এখন আর সেই হাওয়া লাগছে না। কারণ জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। আমরা এ নির্বাচনে বিজয় লাভ করবো, আর বিএনপির আন্দোলন ব্যর্থ হবে। কারণ জনগণ সঙ্গে না থাকলে কোনো আন্দোলন সফল হয় না। তার প্রমাণ বিগত অন্দোলনগুলোতে বিএনপি দেখেছে।
বিএনপির আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার কারণ উল্লেখ করে শাজাহান খান বলেন, আমি মনে করি, এবারের বিএনপি আন্দোলনের ব্যর্থ হওয়ার কারণ, ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে তারা যেভাবে মানুষকে পুড়িয়ে কুপিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। সে কথাগুলো বাংলার মানুষ এখনও ভুলে যায়নি। এ কারণে মানুষ বিএনপিকে ভোট দেবে না। তাদের আন্দোলন ব্যর্থ হতে বাধ্য।
শাজাহান খান বলেন, বিএনপি ও বিএনপির ঘরোয়া দলগুলো বারবার দাবি তুলেছেন যে, শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। তারা নেত্রীকে পদত্যাগ করার জন্য আহ্বান করতাছে। তা না হলে তিনি (শেখ হাসিনা) নাকি পালিয়েও যেতে পারবেন না, পালানোর পথও পাবেন না। তারা সবকিছুকে মামু বাড়ির আবদার মনে করেছে। ওনারা বললেন, আর শেখ হাসিনা পদত্যাগ করবেন। শেখ হাসিনাকে জনগণ ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনেছেন, এবং জনগণ তাকে রক্ষা করেছেন। যদি জনগণ রক্ষা না করতো তাহলে বিএনপির এ আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতন ঘটতো। কিন্তু তা না হয়ে শেখ হাসিনার পক্ষে ৭০ ভাগ মানুষ। এটি আমার নয়, একটি আমেরিকান এনজিও’র জরিপ। শেখ হাসিনার পক্ষে জনগণ আছে, তিনি জনগণকে নিয়ে কাজ করছেন এবং জনগণের সেবা করে চলেছেন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, বিএনপি বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়েছে, অথচ বিদেশিরা বলেনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে? তারা বলেছে, সংবিধান অনুযায়ী অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে। আর আমাদের দেশে সংবিধানে আছে, যে সরকার ক্ষমতায় আছে, সেই সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হবে। সব ষড়যন্ত্র চক্রান্তকে প্রতিহত করে বাংলার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কারও হুমকিতে, চোখ রাঙানিতে আওয়ামী লীগ ভয় পাবে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র নূরুল আলম চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ আবুল বাশার, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক এজাজুর রহমান আকনসহ অন্যরা।