ঢাকা: জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ বিদেশিদের কোনো চাপ অনুভব করছে না জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন করা তো আমাদেরই অঙ্গীকার।
বৃহস্পতিবার (০৩ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নেতৃত্বে দলটির কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা অংশ নেন। বেলা সোয়া ১১টা থেকে শুরু হওয়া এ বৈঠক চলে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা চাপ অনুভব করব কেন? ফ্রি, ফেয়ার ইলেকশন করা আমাদের কমিটমেন্ট। এখানে চাপ অনুভব করব কেন? যদি বলেন চাপ, তাহলে বিবেকের চাপ।
বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কথা যেটি, আগামী নির্বাচন। নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে। আমরা সব সময় বলি, নির্বাচন নিয়ে আমাদের যে বক্তব্য- আমরা যার সঙ্গে আলাপ করি, আমাদের অঙ্গীকার ও বক্তব্য একটি। এটি অত্যন্ত ক্লিয়ার। আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আমরা সবার সঙ্গে বলছি। এটি আমাদের কমিটমেন্ট। দেশের জনগণের কাছে কমিটমেন্ট।
গণতন্ত্র আওয়ামী লীগের দীর্ঘ আনদোলনেরই সোনালী ফসল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্রকে রক্ষা করা এটি আমাদের পবিত্র দায়িত্ব। এ দায়িত্ব আমরা পালন করে যাচ্ছি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা কোনো কমপ্লেইন (অভিযোগ) নিয়ে কথা বলিনি। তার কথা সে বলেছে। আমরা আমাদের কথা বলেছি। মার্কিন অ্যাম্বাসাডর কোথাও তার কথায় কেয়ারটেকার সরকার, পার্লামেন্টের বিলুপ্তি, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ এ ধরনের কোনো কথা বলেনি। কথা হয়েছে- ফ্রি, ফেয়ার ও পিসফুল নির্বাচন নিয়ে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনো পরামর্শ দেওয়া হয়নি এবং সংলাপের বিষয়েও কোনো কথা হয়নি বলে জানান কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমেরিকার সঙ্গে আমাদের বিভিন্ন লেনদেন আছে, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজমান। আমেরিকার রাষ্ট্রদূত আমাদের পার্টি অফিসে এসেছিলেন। তারা আমাদের এ অফিসে আগে কখনো আসেননি। তিনি আসলেন, দেখে গেছেন।
ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্ব আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান, আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া ও কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে তাদের দূতাবাসের আরও একজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।