ঢাকা ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

যেসব কারণে একদিন পিছিয়ে গেল দুই দলের সমাবেশ

ঢাকা: রাজধানীতে বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সমাবেশের ডাক দিয়েছিল বিএনপি। পাল্টা হিসেবে শান্তি সমাবেশের ডাক দিয়েছিল আওয়ামী লীগের দুই অঙ্গ সংগঠন- যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ।

কিন্তু ঢাকা মহানগর পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ দুই দলই একদিন পিছিয়ে শুক্রবার সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার কর্মদিবস হওয়ায় সেদিন যানজটের শঙ্কা, দুই দলের সমাবেশের সংঘাতের আশঙ্কা থাকায় কেউই পায়নি সমাবেশের অনুমতি। সমাবেশ একদিন পিছিয়ে শুক্রবারে নিলেও পুলিশের অনুমতি পায়নি এখনও কোনো দল।

বুধবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ঘোষণা দেন।

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে দলটি।

একই সঙ্গে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে তাদের সমাবেশ করার জন্য আওয়ামী লীগের অনুরোধও প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। তারপর আওয়ামী লীগও তাদের সমাবেশের সময়সূচি পিছিয়ে নিয়েছে শুক্রবারে।

কারণ হিসেবে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান বলেন, বৃহস্পতিবার কোনো মাঠ না পাওয়ায় এবং যে মাঠ পাওয়া গেছে, তা ব্যবহার উপযোগী না হওয়ায় যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ আগামীকালের পরিবর্তে শুক্রবার (২৮ জুলাই) দুপুর আড়াইটায় ঢাকার শেরে বাংলা নগরস্থ পুরাতন বাণিজ্যমেলা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তাদের পছন্দসই স্থানে সমাবেশ করার অনুমতি না দিলে উভয় পক্ষই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। নগরীর গোলাপবাগ এলাকায় বিএনপি সমাবেশ করার অনুমতি পেলেও দলটি তা নয়াপল্টনে স্থানান্তরের জন্য জোর দিয়েছিল।

সমাবেশের অনুমতি না দেওয়া প্রসঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। এ উৎকণ্ঠার কারণ হচ্ছে বিএনপি। যারা অনুমতি ছাড়া সমাবেশ করার চেষ্টা করবে, অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা করবে, তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে।

শুক্রবারের সমাবেশেও কেউ অনুমতি পায়নি জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা এখনো পর্যন্ত কোনো দলকেই সমাবেশ করার অনুমতি দিইনি। আমরা পরিবেশ পরিস্থিতি অবজার্ভ করছি। ঢাকায় অরাজকাতা, বিশৃঙ্খলা এড়াতে ডিএমপির পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

ডিএমপির অনুমতি ছাড়াই যদি কোনো দল সমাবেশ করলে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, অনুমতি ছাড়া কারো সমাবেশ করার সুযোগ এ মুহূর্তে নেই। এরপরও কেউ সেটার চেষ্টা করলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

একই সঙ্গে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, গণতন্ত্র মঞ্চসহ একাধিক দলের কর্মসূচির ডাক দেওয়া হলেও কেউই বৃহস্পতিবার সমাবেশের অনুমতি পায়নি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

যেসব কারণে একদিন পিছিয়ে গেল দুই দলের সমাবেশ

আপডেট সময় ১১:০১:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০২৩

ঢাকা: রাজধানীতে বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সমাবেশের ডাক দিয়েছিল বিএনপি। পাল্টা হিসেবে শান্তি সমাবেশের ডাক দিয়েছিল আওয়ামী লীগের দুই অঙ্গ সংগঠন- যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ।

কিন্তু ঢাকা মহানগর পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ দুই দলই একদিন পিছিয়ে শুক্রবার সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার কর্মদিবস হওয়ায় সেদিন যানজটের শঙ্কা, দুই দলের সমাবেশের সংঘাতের আশঙ্কা থাকায় কেউই পায়নি সমাবেশের অনুমতি। সমাবেশ একদিন পিছিয়ে শুক্রবারে নিলেও পুলিশের অনুমতি পায়নি এখনও কোনো দল।

বুধবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ঘোষণা দেন।

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে দলটি।

একই সঙ্গে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে তাদের সমাবেশ করার জন্য আওয়ামী লীগের অনুরোধও প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। তারপর আওয়ামী লীগও তাদের সমাবেশের সময়সূচি পিছিয়ে নিয়েছে শুক্রবারে।

কারণ হিসেবে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান বলেন, বৃহস্পতিবার কোনো মাঠ না পাওয়ায় এবং যে মাঠ পাওয়া গেছে, তা ব্যবহার উপযোগী না হওয়ায় যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ আগামীকালের পরিবর্তে শুক্রবার (২৮ জুলাই) দুপুর আড়াইটায় ঢাকার শেরে বাংলা নগরস্থ পুরাতন বাণিজ্যমেলা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তাদের পছন্দসই স্থানে সমাবেশ করার অনুমতি না দিলে উভয় পক্ষই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। নগরীর গোলাপবাগ এলাকায় বিএনপি সমাবেশ করার অনুমতি পেলেও দলটি তা নয়াপল্টনে স্থানান্তরের জন্য জোর দিয়েছিল।

সমাবেশের অনুমতি না দেওয়া প্রসঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। এ উৎকণ্ঠার কারণ হচ্ছে বিএনপি। যারা অনুমতি ছাড়া সমাবেশ করার চেষ্টা করবে, অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা করবে, তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে।

শুক্রবারের সমাবেশেও কেউ অনুমতি পায়নি জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা এখনো পর্যন্ত কোনো দলকেই সমাবেশ করার অনুমতি দিইনি। আমরা পরিবেশ পরিস্থিতি অবজার্ভ করছি। ঢাকায় অরাজকাতা, বিশৃঙ্খলা এড়াতে ডিএমপির পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

ডিএমপির অনুমতি ছাড়াই যদি কোনো দল সমাবেশ করলে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, অনুমতি ছাড়া কারো সমাবেশ করার সুযোগ এ মুহূর্তে নেই। এরপরও কেউ সেটার চেষ্টা করলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

একই সঙ্গে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, গণতন্ত্র মঞ্চসহ একাধিক দলের কর্মসূচির ডাক দেওয়া হলেও কেউই বৃহস্পতিবার সমাবেশের অনুমতি পায়নি।