রাজধানীর বাড্ডা এলাকার একটি বাসা থেকে সোনিয়া আক্তার (২০) নামে এক গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার (৯ জুলাই) ভোররাতে ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শনিবার (৮ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টার দিকে বাড্ডা থানার ময়নারবাগের একটি বাসা থেকে সোনিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সোনিয়া পিরোজপুরের নাজিরপুর থানা এলাকার জাহিদুল ইসলাম শেখের মেয়ে।
বাড্ডা থানার এসআই মেহেদী হাসান বলেন, আমরা মধ্যরাতের দিকে খবর পেয়ে ওই বাসায় যাই। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখি- গলায় ফাঁস নেওয়া অবস্থায় ওই তরুণীর লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে। এরপর মরদেহ উদ্ধার করে ভোররাতের দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এসআই মেহেদী হাসান জানান, ওই বাসার কর্তা দুটি বিয়ে করেছেন। যে বাসা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে সেটি হলো তার প্রথম স্ত্রীর বাসা। এই বাসায় তিনি কখনোই আসেন না, শুধু তার স্ত্রীর খরচ বহন করেন। এখানে আমাদের একটি সন্দেহ দূর হয়েছে। আমরা যখন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই, তখন ভেতর থেকে দরজার ছিটকিনি লাগানো পাই। পরে আমরা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকি।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, নিহত গৃহকর্মী সোনিয়ার আগে দুটি বিয়ে হয়েছিল। সেখানে তার বিচ্ছেদ হয়। এই বাসায় গত ৯ মাস ধরে সে কাজ করছিল। আমরা ওই গৃহকর্মীর মোবাইল ফোনটি জব্দ করেছি। তার মোবাইলে পাসওয়ার্ড দেওয়া থাকায়, সে সবশেষ কার সঙ্গে কথা বলেছে বা অন্য কোনো ঘটনা আছে কি না সে বিষয়টি জানতে পারিনি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।