মিডল অর্ডার ব্যর্থতার পর মুশফিক-মিরাজ জুটিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ। তাদের কল্যাণেই গতকাল শেষ বিকেলে রঙ ছড়িয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দিন শেষে রাতের বিরতিতেই যেন টাইগার শিবিরে লুট-পাট! আজ ১১ রান যোগ করতেই দুই স্বীকৃত ব্যাটার মুশফিক-মিরাজকে হারায় বাংলাদেশ। ডাক খেয়ে ফেরেন তাইজুলও। আজ সকালে আগের দিনের রানের সঙ্গে আর ২০ রান যোগ করতেই শেষ ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তাতে ৩৮২ রানে প্রথম ইনিংস শেষ হয় স্বাগতিকদের।
দিনের শুরুতে ৪৮ রানে বিদায় নেন অলরাউন্ডার মিরাজ। মিরাজের বিদায়ের পর একে একে ফেরেন মুশফিক, তাইজুল ও তাসকিন। মাত্র ৪ রানের ব্যববধানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মাসুদ-ইয়ামিন ২টি করে উইকেট নেন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের দ্বিতীয় দিন (বৃহস্পতিবার) ব্যাটিংয়ে নেমেছে বাংলাদেশ। ৫ উইকেটে ৩৬২ রান নিয়ে দিন শুরু করা বাংলাদেশের লক্ষ এখন বড় পুঁজি।
সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হোসেন শান্তর চাওয়া মুশফিক-মিরাজের জুটি বড় হবে, ‘এখন যে অবস্থায় আছি, আমরা প্রথম ইনিংস নিয়ে একটু চিন্তা করি। যেভাবে মিরাজ ও মুশফিক ভাই ব্যাটিং করছে, এই জুটিটা যদি বড় করতে পারি তাহলে আমাদের দল ভালো অবস্থায় যাবে’
একমাত্র টেস্টের প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৩৬২ রান। টেস্ট ক্রিকেটের প্রথম দিন এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। সর্বোচ্চ ৪ উইকেটে ৩৭৪ আসে চট্টগ্রামে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। প্রথম দিন ১১ ওভার কম খেলা হয়েছে। আর মিরপুরে প্রথম দিন দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর। ২০১২ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের করা ৩৬১ রান এত দিন ছিল সবার ওপরে। এই মাঠে স্বাগতিকদের আগের সর্বোচ্চ ৮ উইকেটে ৩৩০ রান, ২০১০ সালে করেছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
শান্তর শতক, জয়ের ফিফটির পর শেষ বিকেলে মুশফিক-মিরাজের দারুণ জুটিতে ম্যাচের নাটাই নিজেদের হাতে রেখে প্রথম দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। মুশফিক ৪১ ও মিরাজ ৪৩ রানে অপরাজিত আছেন। প্রথম দুই সেশনে একটি করে উইকেট হারালেও একমাত্র তৃতীয় সেশনে বাংলাদেশ ৩ উইকেট হারায়। শান্ত সর্বোচ্চ ১৪৩ রানের ইনিংস খেলেন। ৭৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন জয়। মুমিনুল ১৫ রান করলেও লিটন পেরোতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘর (৯)। বোলিং-ফিল্ডিংয়ে আফগানরা ছিল এলোমেলো। নো-বল হয়েছে ১৫টি। অভিষিক্ত নিজাত মাসুদ সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন।
বাংলাদেশ: ৩৮২ অলআউট (৮৬ ওভার)