গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, দীর্ঘ ১৭-১৮ মাস ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, দুদকসহ বিভিন্ন কার্যালয়ে আমার বিরুদ্ধে বানোয়াট তথ্য দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আমার নামে ভুয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দেখানো হয়েছে। আমার সিগনেচার ব্যতীত কে বা কারা ভুয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলেছে সেটা জানতে চাই, আমি ন্যায় বিচার চাই।
মঙ্গলবার (৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের তলবে হাজির হন তিনি। সেখানে থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এসব কথা বলেন জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি বলেন, কে বা কারা অভিযোগ করেছেন তাদের ঠিকানা বা হদিস নেই, কাগজের সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই। দুদক একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। গত ২১ মে তারা আমাকে ডেকেছিল। আজকেও তারা আমাকে উপস্থিত হওয়ার জন্য নোটিস দিয়েছিল। আমি দুদক ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে এখানে এসেছি।
তিনি বলেন, ৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাতের নাটক সাজানো হয়েছিল। মন্ত্রণালয় থেকে ৬ থেকে সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। সেই জায়গায় কাগজের মধ্যে লিখে দিয়েছে, সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ!
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দুদক আমাকে সার্বিক সহযোগিতা করেছে। তারা বলেছে, অভিযোগের সত্য-মিথ্যা জানি না, অভিযোগ এসেছে তা আমরা যাচাই-বাছাই করছি, জানতে চাই। আমি লিখিতভাবে জবাব দিয়েছি। আমি বলেছি, অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট। সর্বশেষ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভুয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে দেখানো হয়েছে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
আপনারা জানেন, একজন মেয়রের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করতে হলে সিইও ও মেয়রের যৌথ সিগনেচার লাগে। আর আমার সিগনেচার গোপনীয় কিছু নয়। আমার পাসপোর্ট আছে, ভোটার আইডি কার্ড আছে। তাছাড়া সরকারের কাছে ও সিটি কর্পোরেশনের জন্য আমার নির্ধারিত সিগনেচার আছে।