যশোর জেলার শার্শার উপজেলায় মুখীকচু চাষে লাভের আশা চাষিদের। অন্য ফসলের তুলনায় এই চাষে খরচ খুবই কম। আর রোগবালাই তেমন নেই বললেই চলে। এছাড়াও এর বাজারদর ভাল থাকায় কৃষকরা ভাল দামে বিক্রি করতে পারেন। তাই দিন দিন এই অঞ্চলে মুখীকচুর চাষ বাড়ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্র মতে, গত বছরের তুলনায় এবছর এই জেলায় ৫ হেক্টর বেশি জমিতে মুখীকচুর চাষ হয়েছে। শার্শার উপজেলার সব ইউনিয়নের মধ্যে নিজামপুর, কেরালখালী-বাসাবাড়ি, বসন্তপুর-পাড়িয়ারঘোপ, কন্দর্পপুর-ভায়না এলাকাতে বেশি চাষ হয়েছে। আর চলতি বছর শার্শা উপজেলায় ১১৫ হেক্টর জমিতে মুখীকচু চাষ হয়েছে।
পাড়িয়ারঘোপ গ্রামের চাষী সিদ্দিক বিশ্বাস বলেন, আমি এ বছর সাড়ে ৪ বিঘা জমিতে মুখীকচুর চাষ করেছি। এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভাল ফলন হয়েছে। এছাড়াও তেমন কোনো রোগবালাই হয়নি। আশা করছি বিঘাপ্রতি ৭০-৮০ মণ কচু উৎপাদন হবে। এতে সব খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ২ লাখ টাকা লাভের আশা করছি।
ভায়না গ্রামের গোলাম হোসেন বলেন, চলতি বছর আমি দেড় বিঘা জমিতে মুখীকচুর চাষ করেছি। ইতোমধ্যে আমি আগাম কচু তুলে বাজারে বিক্রি শুরু করেছি। প্রতি কেজি মুখি কচু ৮০-১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছি। কচুর ভাল ফলন ও দাম পেয়ে আমি অনেক খুশি।
পাইকারী আড়ৎদার শফিকুল ইসলাম বলেন, এখন স্থানীয় বাজারগুলোতে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কচু তুলতে শুরু করেছেন। প্রথম প্রথম কচু বাজারজাত হওয়ায় এখন দাম একটু বেশি। আর কিছু দিন পরে পুরোদমে পাইকারি বাজারে শত শত মণ কচু উঠতে শুরু করবে। তখন বাজারে কচু সরবরাহ বেশি হলে দামও কমে যাবে। এ সময় প্রতিদিন শত শত মণ কচু এখান থেকে ট্রাক যোগে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় সরবরাহ করা হয়।
নিজামপুর ইউনিয়নে দায়িত্বরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অসিত কুমার মন্ডল বলেন, মুখীকচু একটি লাভজনক ফসল। এ চাষে কচুর পাশাপাশি কচুর লতি বিক্রি করেও চাষীরা লাভবান হতে পারেন। আমরা এ চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করছি। এছাড়াও চাষীদের কচু চাষে পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে।