সম্প্রতি চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং মধ্য চীনে হুয়াং নদীর মাঝামাঝি অববাহিকায় অবস্থিত শানসি প্রদেশের ইয়ুন ছেং জাদুঘর পরিদর্শন করেছেন এবং বিস্তারিতভাবে ইয়ুন ছেং শহরে মানবজাতির উৎস এবং চীনা সভ্যতার ইতিহাস ও উন্নয়নের খোঁজ-খবর নিয়েছেন। তিনি বলেন, জাদুঘরে অনেক মূল্যবান ধ্বংসাবশেষ আছে এবং সেগুলো বাস্তবসম্মতভাবে চীনের পাঁচ হাজার বছরের বেশি প্রাচীন সভ্যতার ইতিহাস প্রমাণ করে। তাই সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষ সংরক্ষণ ও ব্যবহার করা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য লালন করার মান বাড়ানো উচিত বলে উল্লেখ করেন প্রেসিডেন্ট সি।
ইয়ুন ছেং মানুষের উৎপত্তি এবং চীনা সভ্যতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জন্মস্থান। প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ বছর আগে ‘এওসিমিয়াস সেন্টেননিকাসের’ জীবাশ্ম এখানে আবিষ্কৃত হয়েছে। ফলে, উচ্চতর প্রাইমেটদের উৎপত্তিকে ১ কোটি বছর এগিয়ে নেওয়া হয়েছিলো; এখানে ২৪.৩ লাখ বছর আগে মানুষের আগুন ব্যবহারের প্রথম প্রমাণ পাওয়া গেছে। তিনটি উপজাতি জোটের নেতা: ইয়াও, শুন ও ইউ। এগুলো হুয়াং নদী অববাহিকায় আবির্ভূত হয়েছিল এবং প্রাচীন চীনা নথিতে লিপিবদ্ধ প্রথম রাজবংশ অর্থাৎ সিয়া রাজবংশ ইয়ুনছেংয়ে রাজধানী স্থাপন করেছিল।
হুয়াং নদীর মাঝামাঝি অববাহিকায় অবস্থিত ইয়ুন ছেং চীনের প্রাচীনতম কৃষি সভ্যতার জন্ম দিয়েছে। হাজার বছরের সভ্যতা ইয়ুন ছেংয়ে সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক নিদর্শন রেখে গেছে। বর্তমানে ইয়ুন ছেং জাদুঘরে ৩০ হাজারেরও বেশি প্রাচীন পণ্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। এখানে প্রাচীন চীনা সভ্যতার উজ্জ্বলতা দেখা যায় এবং অন্তহীন চীনা সংস্কৃতিও স্পর্শও করা যায়। সূত্র: লিলি, চায়না মিডিয়া গ্রুপ ( সিএমজি)।
আমাদের মাতৃভূমি/মাজহারুল