একদিন আগেই সৌদি আরবের মরুর বুকে সবুজ প্রকৃতির ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন লিওনেল মেসি। ওপরে নীল আকাশ আর নিচে সবুজ ঘাসে সারিবদ্ধ খেজুরগাছ- এমন দৃশ্যের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিখেছিলেন, কে ভেবেছিল সৌদি আরব এত সবুজ? যখনই পারি, আমি দেশটির অপ্রত্যাশিত সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য সেখানে যেতে চাই।
অবশেষে মরুর দেশে পা পড়ল কাতার বিশ্বকাপজয়ীর। পরিবারসহ মেসির সৌদিযাত্রার খবর এক টুইটবার্তায় নিশ্চিত করেছেন দেশটির পর্যটন বিষয়কমন্ত্রী আহমেদ আল খাতিব।
আগামী জুনে পিএসজির সঙ্গে মেসির বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে চললেও চুক্তি নবায়ন এখনো পর্যন্ত অনিশ্চিতই বলা চলে। প্যারিসে থাকা নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তার মধ্যেই আর্জেন্টাইন মহাতারকার সম্ভাব্য গন্তব্য হিসেবে অন্য অনেক নামের সঙ্গে ওঠে আসছে সৌদি আরবের নামও। এর মধ্যেই কি না আবার সৌদির প্রকৃতির প্রশংসা! অন্তত এই মুহূর্তে মেসির মুখে দেশটির নাম শুনলে যে কারোরই কিছুটা চমকে যাওয়ার কথা। দুয়ে দুয়ে চার মেলাতে বসে যাবেন অনেকেই। তবে আপাতত তেমন কিছু নয়।
মেসি সৌদি আরবের ফুটবলে পা না রেখেও দেশটির সঙ্গে ভিন্ন একটি ক্ষেত্রে জড়িয়ে আছেন। সাত বারের ব্যালন ডি অর জয়ী দেশটির পর্যটনবিষয়ক শুভেচ্ছাদূত। প্রচারণার মাধ্যমে আরব দেশটির পর্যটনশিল্পের প্রসারে মেসি ভূমিকা রাখতে চাইলে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। মেসির সাম্প্রতিক পোস্ট ও চলমান সফরও হয়তো সেটিরই অংশ।
সোমবার (০১ এপ্রিল) মেসিকে স্বাগত জানিয়ে একটি টুইট করেন দেশটির পর্যটনবিষয়ক মন্ত্রী আহমেদ আল খাতিব। লিখেছেন, সৌদি আরবের পর্যটন শুভেচ্ছাদূত মেসি ও তার পরিবারকে দেশটিতে দ্বিতীয়বারের মতো সফরে স্বাগত জানাতে পেরে আমি আনন্দিত। এ সময় হ্যাশট্যাগে ওয়েলকাম মেসি শব্দবন্ধটিও জুড়ে দেন তিনি।
এদিকে, পিএসজিতে মেসির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যেই পুরোনো ক্লাব বার্সেলোনা ছাড়াও নতুন গন্তব্য হিসেবে শোনা যাচ্ছে সৌদি আরবের ক্লাবের নামও।
আরেক বিশ্বতারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো আল নাসরে যোগ দেওয়ার পর দেশটির আরেক ক্লাব আল হিলাল নাকি আর্জেন্টাইন তারকাকে দলে ভেড়াতে আগ্রহী। এছাড়া সম্প্রতি আগ্রহী লিস্টে সৌদি প্রো লিগের আরেক শীর্ষ ক্লাব আল ইত্তিহাদের নামও শোনা যাচ্ছিল।