ঢাকা ১১:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির অগ্রগতিকে স্বাগত জানাল জা‌তিসং‌ঘ

বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতিকে স্বাগত জানিয়েছে আদিবাসী সংক্রান্ত জাতিসংঘের স্থায়ী ফোরাম। 

নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ১৭ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ২২তম অধিবেশনের প্রতিবেদনে ফোরাম‌টি এমন পর্যবেক্ষণ করেছে ব‌লে বাংলা‌দেশ সময় শ‌নিবার (২৯ এপ্রিল) এ তথ‌্য জানায় জা‌তিসং‌ঘের বাংলা‌দেশ স্থায়ী মিশন।

স্থায়ী মিশন জানায়, অধিবেশন চলাকালে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ফোরামের বিভিন্ন সভায় তাদের প্রদত্ত বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারের অর্জনগুলোকে তুলে ধরে।

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকারী সুশীল সমাজের সদস্য এবং অন্যান্য ব্যক্তিরাও এ ফোরামের বিভিন্ন সভায় অংশগ্রহণ করেন।

অধিবেশন শেষে ফোরামটি এ চুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতির বিষয়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল কর্তৃক উপস্থাপিত বিভিন্ন তথ্যসমূহকে স্বাগত জানায়। একইসঙ্গে তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনা ও সহযোগিতার মাধ্যমে চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশকে আরও জোর প্রচেষ্টা চালানোর অনুরোধ করে।

স্থায়ী মিশন বল‌ছে, বাংলাদেশ সরকার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ তার সব জনগণের অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই উন্নয়ন অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৭ সালে স্বাক্ষরিত ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের উদ্দেশে কাজ করে যাচ্ছে।

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত ব‌লেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে গৃহীত আমাদের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অবিচ্ছেদ্য অংশ। চুক্তিটির বাস্তবায়নে সরকারের প্রচেষ্টা ইতোমধ্যে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনে দৃশ্যমান পরিবর্তন এনেছে এবং এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

রাষ্ট্রদূত এ ফোরামের বিভিন্ন সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের কার্যকর অংশগ্রহণে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

প্রতিনিধি দলটি ফোরামের বিভিন্ন সভায় বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এবং সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের অনন্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ভাষা ও বৈচিত্র্য রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে।

আদিবাসী সংক্রান্ত জাতিসংঘের স্থায়ী ফোরাম হলো অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের একটি কার্যকরী কমিশন, যা বিশ্বব্যাপী আদিবাসীদের অধিকার নিয়ে কাজ করে থাকে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির অগ্রগতিকে স্বাগত জানাল জা‌তিসং‌ঘ

আপডেট সময় ০১:৩৭:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩

বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতিকে স্বাগত জানিয়েছে আদিবাসী সংক্রান্ত জাতিসংঘের স্থায়ী ফোরাম। 

নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ১৭ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ২২তম অধিবেশনের প্রতিবেদনে ফোরাম‌টি এমন পর্যবেক্ষণ করেছে ব‌লে বাংলা‌দেশ সময় শ‌নিবার (২৯ এপ্রিল) এ তথ‌্য জানায় জা‌তিসং‌ঘের বাংলা‌দেশ স্থায়ী মিশন।

স্থায়ী মিশন জানায়, অধিবেশন চলাকালে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ফোরামের বিভিন্ন সভায় তাদের প্রদত্ত বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারের অর্জনগুলোকে তুলে ধরে।

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকারী সুশীল সমাজের সদস্য এবং অন্যান্য ব্যক্তিরাও এ ফোরামের বিভিন্ন সভায় অংশগ্রহণ করেন।

অধিবেশন শেষে ফোরামটি এ চুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতির বিষয়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল কর্তৃক উপস্থাপিত বিভিন্ন তথ্যসমূহকে স্বাগত জানায়। একইসঙ্গে তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনা ও সহযোগিতার মাধ্যমে চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশকে আরও জোর প্রচেষ্টা চালানোর অনুরোধ করে।

স্থায়ী মিশন বল‌ছে, বাংলাদেশ সরকার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ তার সব জনগণের অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই উন্নয়ন অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৭ সালে স্বাক্ষরিত ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের উদ্দেশে কাজ করে যাচ্ছে।

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত ব‌লেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে গৃহীত আমাদের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অবিচ্ছেদ্য অংশ। চুক্তিটির বাস্তবায়নে সরকারের প্রচেষ্টা ইতোমধ্যে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনে দৃশ্যমান পরিবর্তন এনেছে এবং এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

রাষ্ট্রদূত এ ফোরামের বিভিন্ন সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের কার্যকর অংশগ্রহণে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

প্রতিনিধি দলটি ফোরামের বিভিন্ন সভায় বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এবং সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের অনন্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ভাষা ও বৈচিত্র্য রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে।

আদিবাসী সংক্রান্ত জাতিসংঘের স্থায়ী ফোরাম হলো অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের একটি কার্যকরী কমিশন, যা বিশ্বব্যাপী আদিবাসীদের অধিকার নিয়ে কাজ করে থাকে।