আর্থিক অনিয়ম ও অসঙ্গতিতে বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ফিফা। সোহাগের নিষেধাজ্ঞার পর বাফুফে খানিকটা নড়েচড়ে বসেছিল। জরুরি নির্বাহী সভায় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিয়োগের পাশাপাশি ১০ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে।
সেই তদন্ত কমিটির প্রথম সভার আগেই বাফুফের দুই সহ-সভাপতি পদত্যাগপত্র দিয়েছেন বলে ফেডারেশনের নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে। বাফুফের অন্যতম সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক তদন্ত কমিটির চিঠি পাওয়ার পর খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যেই পদত্যাগপত্র দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে আরেক সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মহীও অতি সাম্প্রতিক আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের এই পদত্যাগপত্রের বিষয়টি আগামী ২ মে বাফুফে সাধারণ নির্বাহী সভায় আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
বাফুফের দুই সহ-সভাপতি পদত্যাগ করায় তদন্ত কমিটির ভবিষ্যৎ এখন প্রশ্নের সম্মুখীন। বাফুফের প্রভাবশালী ও সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাজন আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন বলে এক সূত্রে জানা গেছে। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করলেও ফুটবল ফেডারেশনের আরেক সূত্রের খবর, সর্বশেষ জরুরি সভায় তিনি ফিফা থেকে শোকজ পাওয়া দুই ফিন্যান্স এক্সিকিউটিভের অব্যাহতি চেয়েছিলেন।
তাদের অব্যাহতি না দিয়ে ফিফার সুদীর্ঘ রিপোর্টের পর আবার তদন্ত কমিটি গঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য মানিকের কাছে স্পষ্ট নয় বলে জানা গেছে ফেডারেশনের বিশ্বস্ত সূত্রে। কমিটি থেকে পদত্যাগ করার সুস্পষ্ট কারণ সম্পর্কে মানিকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। ব্যক্তিগত কাজে দেশের বাইরে (দুবাইয়ে) অবস্থান করছেন বাফুফের এই সহ-সভাপতি। অন্যদিকে আরেক সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মহীও এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চান না।
বাফুফে নির্বাহী কমিটি ২১ জনের। নির্বাহী সদস্য মুন পদত্যাগ করায় সেটি এখন ২০ জনের। বিশ জনের কমিটির দশ জন নিয়ে (একজন শুধু নির্বাহী কমিটির বাইরে) তদন্ত কমিটি গঠন হওয়ায় ফুটবলাঙ্গনে প্রশ্ন ওঠে। ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটি দ্বারা গঠিত তদন্ত কমিটির নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে নানা মহলে সমালোচনা হয়েছে। ফিফার রিপোর্টে আর্থিক বিষয় অসঙ্গতি রয়েছে। বাফুফের তদন্ত কমিটি বেতনভুক্ত স্টাফদের পাশাপাশি কর্মকর্তাদের দায় উদঘাটন করতে পারে কি না এই সংশয় রয়েছে ফুটবলাঙ্গনের অনেকের।