জামালগঞ্জ উপজেলার বেহেলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুপ্তা রাণী দাস বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও অভিযোগ পাওয়া গেছে। কখনোই তিনি নিয়মিত স্কুলে আসেন না এবং পাঠদান করান না। স্কুলের দপ্তরি দিয়ে বছরের পর বছর পাঠদান করে আসছেন প্রধান শিক্ষিকা।
এ ছাড়াও তিনি স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিধান চন্দ্র দেবনাথকে না জানিয়ে বিভিন্ন ফান্ডের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, স্কুলের পুরাতন শতাধিক ঢেউটিন ও একাধিক আলমারিসহ পুরাতন বই বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে। স্কুল ম্যানেজিং পরিচালনা কমিটির নামে মাত্র থাকলেও তাদেরকে এড়িয়ে সব কিছু করছেন তিনি।
বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে অপর সহকারী শিক্ষকদের সাথে ও শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ আছরণের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের বিষয় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্ত করছেন।
এ বিষয় নিয়ে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য চন্ঠু কুমার দাস জানান, স্লিপিং ফান্ড, স্কুল মেরামতের ফান্ডসহ বিভিন্ন ফান্ডের লক্ষাধিক টাকা সুপ্তা রাণী তুলে আত্মসাৎ করেছেন।
অভিভাবক সদস্য দ্বীপক পিল বলেন, বেহেলী ইস্কুলটিতে দূর্নীতি অনিয়ম লেগেই আছে, সিন্ডিকেটের কারণে লেখা পড়া হচ্ছে না।আর টাকা পয়সার হিসাব যে যেভাবে পারে হরিলুট করে খাচ্ছে, বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিধান চন্দ্র দেবনাথ, বলেন আমাকে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিন মাস অতিবাহিত হলেও আজ পযর্ন্ত কোন মিটিংগে আমাকে ডাকা হয় নাই এভাবে তারা কাজ করে যাচ্ছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুপ্তা রাণী দাস জানান, আমার বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ এনেছে তা মিথ্যা তারা আমার শত্রু অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রে করছে। এ বিষয়টি নিয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিন বেহেলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার অনুপস্থিতি কেউ আমাকে বলে নাই। এই মাত্র আপনার কাছ থেকে জানতে পারলাম আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত করে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।