গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী’র মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে এক শোক বার্তায় জানান তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা সহ শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন ইসলামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসলামপুরের উন্নয়নের রূপকার আধুনিক ইসলামপুরের উন্নয়নের রুপকার গণমানুষের নেতা, সাবেক সফল এমপি, আলহাজ সুলতান মাহমুদ বাবু মহোদয় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ ও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রধান চিকিৎসক ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মামুন মোস্তাফী বলেন, ‘অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানাচ্ছি আমাদের সবার প্রিয় বড়ভাই (ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী) আর আমাদের মধ্যে নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
আপনাদের সকলে প্রতি আমার নিবেদন, আপনারা সবাই তার জন্য প্রাণভরে দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন তাকে বেহশত নসীব করেন।’ ৮২ বছর বয়সী জাফরুল্লাহ চৌধুরী বহুবছর ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন।
সম্প্রতি তার বার্ধক্যজনিত জটিলতাগুলো খারাপের দিকে যায়। এর মধ্যে সোমবার তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্ম ১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার কোয়েপাড়া গ্রামে। তার বাবা হুমায়ন মোর্শেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা আর মা হাছিনা বেগম চৌধুরী ছিলেন গৃহিনী। মা–বাবার ১০ সন্তানের মধ্যে জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন সবার বড়।
১৯৭১ সালে জাফরুল্লাহ চৌধুরী যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরে ভারতের আগরতলায় গেরিলা প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তিনি বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে তা পরিচালনা করেন। মুক্তিযুদ্ধের পর সেই হাসপাতালের নামেই একটি প্রতিষ্ঠান গড়তে চেয়েছিলেন। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে আলোচনা করে নাম ঠিক করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। হাসপাতালের পাশাপাশি ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানিও গড়েছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
১৯৮২ সালে দেশে প্রথমবারের মতো ঔষধ নীতি প্রণয়নেও তার ভূমিকা ছিল।