ঢাকা ০৩:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

সাড়ে ৭ হাজার কোটা ফাঁকা রেখে শেষ হলো হজ নিবন্ধন

সাড়ে সাত হাজার কোটা ফাঁকা রেখে শেষ‌ হলো চলতি বছরের হজ নিবন্ধন। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের হজ নিবন্ধনের সমাপ্তি টেনেছে হজ মন্ত্রণালয়।

পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী, ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটার মধ্যে মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট এক লাখ ১৯ হাজার ৬৯৫ জন হজযাত্রী নিবন্ধিত হয়েছেন। এর মধ্যে সরকারিভাবে ১০ হাজার ৩৫ এবং বেসরকারিভাবে এক লাখ ৯ হাজার ৬৬০ জন নিবন্ধিত হয়েছেন। এখনও কোটা পূরণে ৭ হাজার ৫০৩ জন হজযাত্রীর নিবন্ধন বাকি আছে।

হজে যাওয়ার জন্য যারা চূড়ান্ত নিবন্ধন করেছেন তাদের সৌদি আরবের ভিসার জন্য বায়োমেট্রিক শুরু হবে আগামী ১৬ এপ্রিল। সারাদেশে একযোগে এই বায়োমেট্রিক ভিসা আবেদন নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

বুধবার (১২ এপ্রিল) ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হজ ২০২৩ এ অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধিত হজযাত্রীদের বায়োমেট্রিক ভিসা আবেদন আগামী ১৬ এপ্রিল থেকে দেশব্যাপী একযোগে শুরু হবে।

হজযাত্রীর নিবন্ধন শেষ হলেও কোটা পূরণ হয়নি। হজের খরচ অত্যাধিক বেড়ে যাওয়ায় এবার আটবার সময় বাড়িয়েও হজযাত্রীর কোটা পূরণ করতে পারেনি সরকার। সর্বশেষ নির্ধারিত সময় অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) হজের নিবন্ধনের সময় শেষ ছিল।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহ্জ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন ও অবশিষ্ট এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।

মঙ্গলবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে- হজ ২০২৩ এর নিবন্ধন কার্যক্রম ১১ এপ্রিল শেষ এবং নিবন্ধন সার্ভার বন্ধ রয়েছে। সেসব হজ এজেন্সির হজযাত্রীর সংখ্যা ৯৭-এর নিচে তারা আগামী ১৩ এপ্রিলের মধ্যে অবশ্যই লিড এজেন্সি নির্ধারণ করে সমন্বয় করবে। সমন্বয়ের পরে হজ এজেন্সির বিপরীতে প্রযোজ্য গাইড ও মোনাজ্জেম সংখ্যা যোগ করে চূড়ান্ত কোটা সৌদি আরবে ই-হজ সিস্টেমে এন্ট্রির জন্য প্রেরণ করা হবে।

হজ এজেন্সির চূড়ান্ত কোটা সৌদি আরবে পাঠানোর পর বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের পিলগ্রিম আইডি (পিআইডি) দেওয়ার জন্য সিস্টেমে উন্মুক্ত করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

চলতি বছর হজে যেতে হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয় গত ৮ ফেব্রুয়ারি। ২৩ ফেব্রুয়ারি নিবন্ধনের শেষ সময় থাকলেও তা বাড়িয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি করা হয়। তবে কোটার বিপরীতে খুবই কম সংখ্যক হজযাত্রী নিবন্ধিত হন। পরে নিবন্ধনের সময় ৭ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সেই সময়েও কোটার অর্ধেকেরও কম হজযাত্রী নিবন্ধিত হয়। এজন্য নিবন্ধনের সময় ১৬ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এ সময়ের মধ্যেও সাড়া পাওয়া যায়নি। তাই নিবন্ধনের সময় ২১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। পরে ২৭ মার্চ এবং ৩০ মার্চ দু-দফা সময় বাড়ে। ওই সময়ের মধ্যে কোটা পূরণ না হলে শেষে নিবন্ধনের সময় ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। শেষে আরও এক দফা ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হয়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে

সাড়ে ৭ হাজার কোটা ফাঁকা রেখে শেষ হলো হজ নিবন্ধন

আপডেট সময় ১২:১৫:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩

সাড়ে সাত হাজার কোটা ফাঁকা রেখে শেষ‌ হলো চলতি বছরের হজ নিবন্ধন। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের হজ নিবন্ধনের সমাপ্তি টেনেছে হজ মন্ত্রণালয়।

পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী, ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটার মধ্যে মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট এক লাখ ১৯ হাজার ৬৯৫ জন হজযাত্রী নিবন্ধিত হয়েছেন। এর মধ্যে সরকারিভাবে ১০ হাজার ৩৫ এবং বেসরকারিভাবে এক লাখ ৯ হাজার ৬৬০ জন নিবন্ধিত হয়েছেন। এখনও কোটা পূরণে ৭ হাজার ৫০৩ জন হজযাত্রীর নিবন্ধন বাকি আছে।

হজে যাওয়ার জন্য যারা চূড়ান্ত নিবন্ধন করেছেন তাদের সৌদি আরবের ভিসার জন্য বায়োমেট্রিক শুরু হবে আগামী ১৬ এপ্রিল। সারাদেশে একযোগে এই বায়োমেট্রিক ভিসা আবেদন নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

বুধবার (১২ এপ্রিল) ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হজ ২০২৩ এ অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধিত হজযাত্রীদের বায়োমেট্রিক ভিসা আবেদন আগামী ১৬ এপ্রিল থেকে দেশব্যাপী একযোগে শুরু হবে।

হজযাত্রীর নিবন্ধন শেষ হলেও কোটা পূরণ হয়নি। হজের খরচ অত্যাধিক বেড়ে যাওয়ায় এবার আটবার সময় বাড়িয়েও হজযাত্রীর কোটা পূরণ করতে পারেনি সরকার। সর্বশেষ নির্ধারিত সময় অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) হজের নিবন্ধনের সময় শেষ ছিল।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহ্জ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন ও অবশিষ্ট এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।

মঙ্গলবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে- হজ ২০২৩ এর নিবন্ধন কার্যক্রম ১১ এপ্রিল শেষ এবং নিবন্ধন সার্ভার বন্ধ রয়েছে। সেসব হজ এজেন্সির হজযাত্রীর সংখ্যা ৯৭-এর নিচে তারা আগামী ১৩ এপ্রিলের মধ্যে অবশ্যই লিড এজেন্সি নির্ধারণ করে সমন্বয় করবে। সমন্বয়ের পরে হজ এজেন্সির বিপরীতে প্রযোজ্য গাইড ও মোনাজ্জেম সংখ্যা যোগ করে চূড়ান্ত কোটা সৌদি আরবে ই-হজ সিস্টেমে এন্ট্রির জন্য প্রেরণ করা হবে।

হজ এজেন্সির চূড়ান্ত কোটা সৌদি আরবে পাঠানোর পর বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের পিলগ্রিম আইডি (পিআইডি) দেওয়ার জন্য সিস্টেমে উন্মুক্ত করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

চলতি বছর হজে যেতে হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয় গত ৮ ফেব্রুয়ারি। ২৩ ফেব্রুয়ারি নিবন্ধনের শেষ সময় থাকলেও তা বাড়িয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি করা হয়। তবে কোটার বিপরীতে খুবই কম সংখ্যক হজযাত্রী নিবন্ধিত হন। পরে নিবন্ধনের সময় ৭ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সেই সময়েও কোটার অর্ধেকেরও কম হজযাত্রী নিবন্ধিত হয়। এজন্য নিবন্ধনের সময় ১৬ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এ সময়ের মধ্যেও সাড়া পাওয়া যায়নি। তাই নিবন্ধনের সময় ২১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। পরে ২৭ মার্চ এবং ৩০ মার্চ দু-দফা সময় বাড়ে। ওই সময়ের মধ্যে কোটা পূরণ না হলে শেষে নিবন্ধনের সময় ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। শেষে আরও এক দফা ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হয়।