কি এক অবিশ্বাস্য ইনিংস’ই না খেলেছেন। অর্ধশতক করেছেন মাত্র ১৫ বলে। নিকোলাস পুরানের এমন টর্নেডো ক্যামিওতেই রুদ্ধশ্বাস জয় পেয়েছে লখনৌ সুপার জায়ান্টস। আগের ম্যাচে অল্পতে গুটিয়ে যাওয়া এবার বড় লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েও হার ঠেকাতে পারেনি বিরাট কোহলি-ফাফ ডু প্লেসিদের রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। লখনৌর ম্যাচ জয়ের কৃতিত্ব পুরান নিজের সতীর্থ ও ব্যাটিং সহায়ক পিচকে দিয়েছেন। কিন্তু দুর্দান্ত অর্ধশতকের পর তার বিশেষ উদযাপন নিয়ে প্রশ্ন আসে মাথায়, কাকে উৎসর্গ করলেন তিনি!
ম্যাচসেরার পুরস্কার জয়ের পর সেই বিষয়ে কথা বলেছেন এই মারকুটে উইন্ডিজ ব্যাটার। তিনি বলছেন, ‘এই জয় উৎসর্গ করছি স্ত্রী ও নবজাতককে। এই জয়টা আমাদের খুব প্রয়োজন ছিল। তবে আমার আগে অধিনায়ক লোকেশ রাহুল এবং মার্কাস স্টয়নিসের জুটি জয়ের পথ তৈরি করে দিয়েছিল। আরও স্পষ্ট করে বললে, মার্কাসই আমাদের ম্যাচে ফিরিয়ে আনে।’
পুরান আরও বলেন, ‘চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের পিচ পুরোদস্তুর ব্যাটিং সহায়ক ছিল। দ্বিতীয় বলে ছয় মারার পরই বুঝে যাই যে, বড় রান পেয়ে যাব। নিজের ব্যাটিং নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করেছি। গত কয়েক বছর মোটেও ভাল যায়নি। একটা সময় খুব হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। এখন ভাল জায়গায় চলে এসেছি। যার কারণে ফের ক্রিকেট উপভোগ করছি।’
সোমবার (১০ এপ্রিল) চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ঘরের মাঠে খেলতে নামেন কোহলিরা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দলের তিন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটারই আলো ছড়িয়েছেন। ৪টি করে চার ও ছয়ের বাউন্ডারিতে কোহলি খেলেন ৪৪ বলে ৬১ রানের ইনিংস। ৪৬ বলে ৭৯ রানে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন অধিনায়ক ডু প্লেসি। তিনিও ৫টি করে চার ও ছয় মারেন। তবে এই দুজনের চেয়েও বিধ্বংসী ছিলেন অজি অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৩টি চার ও ৬টি ছয়ে তিনি ২৯ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন। তবে তিন ত্রয়ীর ঝলককে ব্যর্থ পরিণত করে রাহুলের লখনৌ।
রান তাড়ায় পুরান ছাড়াও ৩০ বলে ৬৫ রানের ইনিংস খেলেন লখনৌর অজি অলরাউন্ডার স্টয়নিস। কিন্তু ম্যাচ শেষপর্যন্ত নাটকীয় হয়ে উঠলেও জয় নিয়ে চারটির মধ্যে আসরের তৃতীয় জয় পেল তারা। সেই প্রসঙ্গে লখনৌ অধিনায়ক রাহুল জানালেন, ‘এমন একটা অবিশ্বাস্য জয় সবদিক থেকেই আমাদের কাছে বড় প্রাপ্তি। বিশেষ করে, চিন্নাস্বামী কিন্তু আমারও ঘরের মাঠ। আরসিবি হারলেও দর্শকরা নিশ্চয়ই ম্যাচ উপভোগ করেছেন।’
অন্যদিকে হতাশা ঝরেছে বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ডু প্লেসির কণ্ঠে, ‘খুব বিরক্তিকর অভিজ্ঞতা। ইনিংসের মাঝের দিকে আমরা যথেষ্ট ভাল খেলেছি। কিন্তু শেষ বলে এসে পরিস্থিতি পাল্টে গেল। নিজেদের হাতে যত ধরনের অস্ত্র ছিল, সব ক’টাই প্রয়োগ করেও ম্যাচ ধরে রাখতে পারিনি।’