প্রায় প্রতি ম্যাচেই গোল করছেন আর্লিং হলান্ড। মাঝে এক ম্যাচ চোটের কারণে খেলতে পারেননি। এরপর নেমেই দলের জয়ে তিনি করেছেন জোড়া গোল। তবে তার সঙ্গে হয়তো শত্রুতা আছে কোচ পেপ গার্দিওলার! এই ম্যাচে তার হ্যাটট্রিকের ভালো সুযোগ ছিল। কিন্তু ম্যাচ শেষ হওয়ার অনেক আগেই তাকে তুলে নেওয়া হয়। এর আগে লাইপজিগের বিপক্ষে হলান্ড ৫ গোল করেছিলেন। ওই ম্যাচে ডাবল হ্যাটট্রিকের সুযোগ থাকলেও তুলে নেওয়া হয় তাকে। গার্দিওলা অবশ্য তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন।
তবে যাইহোক, চলতি মৌসুমে গোলের সংখ্যায় রেকর্ড বইয়ে নাম তুলেছেন হলান্ড। একইসঙ্গে ম্যানচেস্টার সিটি ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে সাউদাম্পটনকে হারায়।
শনিবার (৮ এপ্রিল) রাতে সাউদাম্পটন ঘরের মাঠে সিটিকে ৪৪ মিনিট গোল বঞ্চিত রেখেছিল। ৪৫ মিনিটে গিয়ে ভাঙে সাউদাম্পটনের প্রতিরোধ। জ্যাক গ্রিলিশের পা ঘুরে বল পেয়েছিলেন কেভিন ডি ব্রুইনা। বেলজিয়ান তারকার নিখুঁত ক্রস এরপর খুঁজে নেয় হলান্ডের মাথা। হেডেই চলতি মৌসুমে ৪৩তম গোল পেয়ে যান হলান্ড।
অ্যাসিস্টের কল্যাণে অন্যরকম এক সেঞ্চুরিও হয়ে যায় ডি ব্রুইনার। রায়ান গিগস, সেস্ক ফ্যাব্রেগাস, ওয়েইন রুনি ও ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের পর পঞ্চম খেলোয়াড় হিসেবে প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে ১০০ গোলে সহায়তা বা অ্যাসিস্টের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন ডি ব্রুইনা।
ম্যাচের দ্বিতীয় গোল করেন সিটির গ্রিলিশ। ৫৮ মিনিটে অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে সিটিকে তিনি দ্বিগুণ লিড এনে দেন। তিন বছর পর টানা দুই ম্যাচে গোল পেলেন এই ইংলিশ তারকা। ১০ মিনিট পর গ্রিলিশের মাপা এক ক্রস থেকেই দারুণ এক অ্যাক্রোবেটিক গোল পেয়ে যান হলান্ড। শূন্যে ভেসে বাঁ পায়ে নেওয়া ওভারহেড কিকেই অসাধারণ গোলটি পেয়ে যান হলান্ড। এবারের লিগে হলান্ডের এটি ৩০তম ও সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সিটির জার্সিতে ৪৪তম গোল। প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবের হয়ে এক মৌসুমে সব প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডে রুড ফন নিস্টলরুই ও মোহাম্মদ সালাহর পাশে বসে গেলেন হলান্ড।
গার্দিওলা উঠিয়ে না নিলে কে জানে আজই হয়তো রেকর্ডটা নতুন করে লিখে ফেলতেন আর্লিং ‘গোল মেশিন’ হলান্ড। এর আগে তাকে উঠিয়ে নেওয়ার যুক্তি হিসেবে সিটি কোচ বলেছিলেন, সব রেকর্ড করে ফেললে তো হল্যান্ডের জীবন একঘেয়ে হয়ে যাবে।
হলান্ড উঠে যাওয়ার পর সিটির হয়ে পেনাল্টিতে গোল করেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার জুলিয়ান আলভারেজে। এর আগে সাউদাম্পটনের একমাত্র গোলটি করেছেন ফরাসি ফরোয়ার্ড সেকু মারা। তার গোলটি কেবল ব্যবধানই কমিয়ে আনে, হার ঠেকাতে পারেনি। এই জয়ে ২৯ ম্যাচে শীর্ষে থাকা সিটির পয়েন্ট ৬৭। সমান ম্যাচে মিকেল আরতেতার আর্সেনালের পয়েন্ট ৭২।