আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে সিরিজ শেষে বাংলাদেশ জাতীয় দলের আন্তর্জাতিক বিরতি শুরু হয়েছে। আর এতেই দম ফেলার ফুরসত পেলেন টাইগার ওপেনার লিটন দাস। তবে বিশ্রামের জন্য নয়, তার এই স্বস্তি প্রথমবারের মতো আইপিএলে যোগদানের সুযোগ পাওয়ায়। সদ্য সমাপ্ত সিরিজের কারণে বারবারই লিটনের আইপিএল যাত্রা পিছিয়ে যায়। অবশেষে লিটনের সেই অপেক্ষার পালা ফুরিয়েছে। তবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আগে দেশের হয়ে একটি মাইলফলক স্পর্শ করেছেন এই ক্লাসিক ব্যাটার।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে লিটনের ব্যাটিং ছিল বেশ মারকুটে। পূর্ণাঙ্গ টি-টোয়েন্টি মেজাজেই ব্যাট করেছেন তিনি। তবে তার এই মনোভাব আইপিএলের জন্য নয়, দলের আক্রমণাত্মক মানসিকতা বজায় রাখতেই তিনি স্ট্রাইক করে খেলেছেন। টাইগারদের জয় পাওয়া এই টেস্টের প্রথম ইনিংসে লিটন করেছিলেন ৪৩ রান। সে সময় তিনি নামেন ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে। পরের ইনিংসে একই মনোভাব নিয়ে নামেন ওপেনিংয়ে। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি লিটন। ১৮ বলের সেই ইনিংসে তিনি ২৩ রান করেছেন।
ছোট এই ক্যামিও দিয়ে লিটন প্রবেশ করেছেন ৬ হাজারি রানের ক্লাবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন ফরম্যাট মিলিয়ে তার রান এখন ৬ হাজার ১। এই কীর্তি গড়তে তিনি খেলেছেন ১৭৫ ম্যাচ। এর মধ্যে ৩৮টি টেস্টে ২ হাজার ৩১৯, ৬৬টি ওয়ানডেতে ২ হাজার ৬৫ ও ৭১ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে লিটন এক হাজার ৬১৭ রান করেছেন। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে তার সেঞ্চুরি ও হাফসেঞ্চুরির সংখ্যা যথাক্রমে ৮ ও ৩৪। এছাড়া, টেস্টে ৩টি এবং ওয়ানডেতে ৫টি সেঞ্চুরি করেছেন টাইগারদের এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
জানা গেছে, আইপিএল খেলতে লিটনের ছুটি মিললেও তিনি ম্যাচ শেষে বিশ্রামে কাটিয়েছেন। সেক্ষেত্রে আজই তিনি কলকাতা টিমে যোগ দিতে পারেন। লিটন ছাড়াও কলকাতার হয়ে খেলার কথা ছিল সাকিব আল হাসানেরও। তবে পুরো মৌসুমে কলকাতার হয়ে সাকিব-লিটনকে না পাওয়ার শঙ্কায় তাদেরকে নাম প্রত্যাহারের অনুরোধ জানায় ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। সেই আহবানে সাড়া দিয়ে সাকিব আইপিএলের এবারের আসরে আর পা রাখছেন না। তবে প্রথমবারের ডাক পাওয়া লিটনের ব্যাপারটা ভিন্ন। আন্তর্জাতিক সূচির বাইরে অন্তত কয়েক ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলেও তিনি কলকাতার হয়ে নামতে চান।
এদিকে, ষষ্ঠ বাংলাদেশি হিসেবে লিটন ৬ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। তার আগে ৬ হাজারি ক্লাবে প্রবেশ করেছেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মোহাম্মদ আশরাফুল। এর মধ্যে প্রথম তিনজনই পেরিয়েছেন ১০ হাজারের বৈতরণী। তামিম তিন ফরম্যাটে ১৫ হাজার ৪৫, মুশফিক ১৪ হাজার ৪৩ ও সাকিব ১৩ হাজার ৮৮৫ রান করেছেন। বাকিদের মধ্যে মাহমুদউল্লাহ ৯ হাজার ৯৮৬ ও মোহাম্মদ আশরাফুল ৬ হাজার ৬৬৫ রান করেছেন।
শুধু টেস্টের হিসেবে লিটনের চেয়ে বেশি রান আছে ৭ বাংলাদেশির। তারা হলেন- মুশফিক, তামিম, সাকিব, মুমিনুল হক, হাবিবুল বাশার, মাহমুদউল্লাহ ও আশরাফুল। ওয়ানডের হিসেবে লিটনের চেয়ে বেশি রান আছে তামিম, সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, আশরাফুল, ইমরুল কায়েস, শাহরিয়ার নাফিস ও হাবিবুল বাশারের। এছাড়া টি-টোয়েন্টিতে সাকিব, রিয়াদ ও তামিম বেশি রান করেছেন লিটনের চেয়ে।