ঢাকা ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

সিনিয়র পান্ডিয়া জেতালেন লক্ষ্ণৌকে

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের জার্সিতে একসময় একত্রে খেলেছিলেন দুই পান্ডিয়া। ক্রুনাল পান্ডিয়া ও হার্দিক পান্ডিয়া দুই ভাই এখন খেলছেন ভিন্ন দলের হয়ে। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কিংবা ফ্র্যাঞ্চাইজি আসর সর্বত্র বেশি নামডাক ছোটভাই হার্দিক পান্ডিয়ার। ক্রুনালও মাঝেমধ্যে চমক দেখান। তার তেমনই এক অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে এবারের আসরে দ্বিতীয় জয় লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। আগে ব্যাট করা সানরাইজার্স হায়দরাবাদের দেওয়া ১২২ রানের লক্ষ্যে লোকেশ রাহুলের দল সহজেই টপকে গেছে।

শুক্রবার (৭ এপ্রিল) লক্ষ্ণৌর অটল বিহারি বাজপেয়ী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিজেদের উভয় দলই নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নামে। বোলিং সহায়ক কন্ডিশন হওয়ায় ম্যাচও হয়েছে লো স্কোরিং। তবে শেষ পর্যন্ত লক্ষ্ণৌ ২৪ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে ম্যাচটি জিতে নেয়।

ম্যাচের প্রথমে ব্যাট করতে নেমে হায়দরাবাদের ব্যাটাররা শুরু থেকেই চাপে ছিলেন। দলীয় ২১ রানে মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে ফেরান ক্রুনাল পান্ডিয়া। এরপর আরেক ওপেনার অনমোলপ্রীত সিং ও অধিনায়ক মার্করামকেও আউট করেন এই বাঁহাতি। এ নিয়ে আইপিএলে টানা দুই ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন হ্যারি ব্রুক। দুই ম্যাচেই ফিরেছেন লেগ স্পিনারদের বলে। প্রথম ম্যাচে যুজবেন্দ্র চাহালের ফ্লিপারে কাট করতে গিয়ে ২১ বলে ১৩ রান করে ফিরেছিলেন। আজ আউট হয়েছেন রবি বিষ্ণুর রঙ-ওয়ান ডেলিভারিতে।

এরপর ওয়াশিংটন সুন্দর ও রাহুল ত্রিপাঠি জুটি গড়ার চেষ্টা করলেও রানের গতি বাড়াতে পারেননি। দুজন মিলে গড়েন ৫০ বলে ৩৯ রানের জুটি। ইনিংসের শেষ ওভারে জয়দেব উনাদকাটের বলে আবদুল সামাদ ২ ছক্কা মারাতেই হায়দরাবাদের রানটা ১২১ হয়েছে। সামাদ ১০ বলে ২১ রান করেন। ক্রুনাল নেন ৩ উইকেট, অমিত মিশ্রের উইকেট ২টি। আইপিএলে মিশ্রর উইকেট এখন ১৬৮টি। আইপিএলের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় এই লেগ স্পিনারের অবস্থান চতুর্থ।

১২২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করে রাহুল ও কাইল মায়ার্স। দুজনে গড়েন ২৭ বলে ৩৫ রানের জুটি। প্রোটিয়া উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি কক দলের সঙ্গে থাকলেও এদিন ছন্দে থাকা মায়ার্সের কারণে একাদশে সুযোগ পাননি। যদিও মায়ার্স এদিন ইনিংসটা বড় করতে পারেননি। হায়দরাবাদের ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটার ফজলহক ফারুকীর বলে ১৪ বলে ১৩ রান করে আউট হয়েছেন।

তিন নম্বরে ক্রিজে আসা দীপক হুদাকে আউট করেছেন ভুবনেশ্বর কুমার। তা সত্ত্বেও পাওয়ার প্লেতে ৪৫ রান তোলে রাহুলের দল। ক্রুনাল ও অধিনায়ক রাহুলের ৩৮ বলে ৫৫ রানের জুটি লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলে। তারা উভয়ই এরপর আউট হলেও জয় পেতে লক্ষ্ণৌর কোনো সমস্যা হয়নি। রাহুল ৩৫ এবং ক্রুনাল করেছেন ৩৪ রান। হায়দরাবাদের হয়ে আদিল রশিদ সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে

সিনিয়র পান্ডিয়া জেতালেন লক্ষ্ণৌকে

আপডেট সময় ১২:০০:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০২৩

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের জার্সিতে একসময় একত্রে খেলেছিলেন দুই পান্ডিয়া। ক্রুনাল পান্ডিয়া ও হার্দিক পান্ডিয়া দুই ভাই এখন খেলছেন ভিন্ন দলের হয়ে। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কিংবা ফ্র্যাঞ্চাইজি আসর সর্বত্র বেশি নামডাক ছোটভাই হার্দিক পান্ডিয়ার। ক্রুনালও মাঝেমধ্যে চমক দেখান। তার তেমনই এক অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে এবারের আসরে দ্বিতীয় জয় লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। আগে ব্যাট করা সানরাইজার্স হায়দরাবাদের দেওয়া ১২২ রানের লক্ষ্যে লোকেশ রাহুলের দল সহজেই টপকে গেছে।

শুক্রবার (৭ এপ্রিল) লক্ষ্ণৌর অটল বিহারি বাজপেয়ী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিজেদের উভয় দলই নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নামে। বোলিং সহায়ক কন্ডিশন হওয়ায় ম্যাচও হয়েছে লো স্কোরিং। তবে শেষ পর্যন্ত লক্ষ্ণৌ ২৪ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে ম্যাচটি জিতে নেয়।

ম্যাচের প্রথমে ব্যাট করতে নেমে হায়দরাবাদের ব্যাটাররা শুরু থেকেই চাপে ছিলেন। দলীয় ২১ রানে মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে ফেরান ক্রুনাল পান্ডিয়া। এরপর আরেক ওপেনার অনমোলপ্রীত সিং ও অধিনায়ক মার্করামকেও আউট করেন এই বাঁহাতি। এ নিয়ে আইপিএলে টানা দুই ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন হ্যারি ব্রুক। দুই ম্যাচেই ফিরেছেন লেগ স্পিনারদের বলে। প্রথম ম্যাচে যুজবেন্দ্র চাহালের ফ্লিপারে কাট করতে গিয়ে ২১ বলে ১৩ রান করে ফিরেছিলেন। আজ আউট হয়েছেন রবি বিষ্ণুর রঙ-ওয়ান ডেলিভারিতে।

এরপর ওয়াশিংটন সুন্দর ও রাহুল ত্রিপাঠি জুটি গড়ার চেষ্টা করলেও রানের গতি বাড়াতে পারেননি। দুজন মিলে গড়েন ৫০ বলে ৩৯ রানের জুটি। ইনিংসের শেষ ওভারে জয়দেব উনাদকাটের বলে আবদুল সামাদ ২ ছক্কা মারাতেই হায়দরাবাদের রানটা ১২১ হয়েছে। সামাদ ১০ বলে ২১ রান করেন। ক্রুনাল নেন ৩ উইকেট, অমিত মিশ্রের উইকেট ২টি। আইপিএলে মিশ্রর উইকেট এখন ১৬৮টি। আইপিএলের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় এই লেগ স্পিনারের অবস্থান চতুর্থ।

১২২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করে রাহুল ও কাইল মায়ার্স। দুজনে গড়েন ২৭ বলে ৩৫ রানের জুটি। প্রোটিয়া উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি কক দলের সঙ্গে থাকলেও এদিন ছন্দে থাকা মায়ার্সের কারণে একাদশে সুযোগ পাননি। যদিও মায়ার্স এদিন ইনিংসটা বড় করতে পারেননি। হায়দরাবাদের ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটার ফজলহক ফারুকীর বলে ১৪ বলে ১৩ রান করে আউট হয়েছেন।

তিন নম্বরে ক্রিজে আসা দীপক হুদাকে আউট করেছেন ভুবনেশ্বর কুমার। তা সত্ত্বেও পাওয়ার প্লেতে ৪৫ রান তোলে রাহুলের দল। ক্রুনাল ও অধিনায়ক রাহুলের ৩৮ বলে ৫৫ রানের জুটি লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলে। তারা উভয়ই এরপর আউট হলেও জয় পেতে লক্ষ্ণৌর কোনো সমস্যা হয়নি। রাহুল ৩৫ এবং ক্রুনাল করেছেন ৩৪ রান। হায়দরাবাদের হয়ে আদিল রশিদ সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন।