৫৪টি দল আজ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের এই অবস্থানে কী হবে? ৫৪টি বিরোধী রাজনৈতিক দল ৫৪টি ঘোড়ার ডিম পাড়বে।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এ সভার আয়োজন করে। কাদের বলেন, খেলা হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে, খেলা হবে গণতন্ত্র হত্যার বিরুদ্ধে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুনর্বাসিত করে যারা দায় মুক্তি দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে।
বিএনপির আন্দোলন ভুয়া উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকের খবর জানেন, পল্টনে মোটামুটি একটা সমাবেশ হয়েছে। ১২ দলীয় জোট দেখলাম বিজয় নগরে সমাবেশ করছে, সব মিলিয়ে ২৪ দল। ৭ দলীয় জোট প্রেসক্লাবের সামনে চেয়ার পেতে বসে আছে, মঞ্চে ২০ জন সামনে সাংবাদিকসহ আরও ১৫ জন। দুপুর ১টা পর্যন্ত তিন দল উপস্থিত ছিল চার দল নেই। সাত দলীয় ঐক্যজোট তারপর সমমনা ১২ দল, বিএনপির সমমনাদের দেখলাম।
‘তারা বসে আছে ফুটপাতের ওপর, মঞ্চও সেটা শ্রোতাও সেখানেই, সবাই ফুটপাতকেন্দ্রিক। তারপরে এলডিপির দেখলাম সেই একই দৃশ্যপট, কয়েকজন হাতেগোনা বসে আছে। ৫৪ দল আজকে একজন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। কী হবে? ঘোড়ার ডিম পাড়বে। ৫৪টি ঘোড়ার ডিম পাড়বে, ৫৪টি বিরোধী রাজনৈতিক দল। ভুয়া…ভুয়া… ভুয়া… এটা গরুর হাট।’
বিএনপিকে বাংলার মাটিতে আর ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যেতে পারে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘রাষ্ট্রকে মেরামত করবে? রাষ্ট্রকে আবার ক্ষমতায় পেলে তারা ধ্বংস করবে। এই দেশের গণতন্ত্র বাঁচবে না, তারা ক্ষমতায় এলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাঁচবে না। তারা ক্ষমতায় এলে স্বাধীনতার আদর্শ বাঁচবে না। তারা ক্ষমতায় এলে গণতন্ত্রের বস্ত্রহানি ঘটবে। এই অপশক্তি জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক, সাম্প্রদায়িকতার পৃষ্ঠপোষক।’
এ সময় গণমাধ্যমের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এবং উত্তর বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা করছে। আমি কোনো কোনো অনলাইনে দেখলাম যে লেখা পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিয়েছে আওয়ামী লীগ। পাল্টাপাল্টি কেন? ১০ জানুয়ারি তো বিএনপির হৃদয়েও নেই চেতনাতেও নেই।’
‘গতকাল আমাদের কেন্দ্র সমাবেশ করেছে, আজকে মহানগর এবং অন্যান্য সংগঠন করছে। এটা আমাদের কর্মসূচি, এখানে পাল্টাপাল্টির কোনো বিষয় নেই। কার সঙ্গে পাল্টাপাল্টি করবো। কিসের পাল্টাপাল্টি করবো। ১০ জানুয়ারি তো এমনও কথা ছিল তারেক রহমান এসে নেতৃত্ব দেবে। ১০ ডিসেম্বর এমনও কথা ছিল খালেদা জিয়া জেল থেকে এসে বিজয় মিছিলের নেতৃত্ব দেবে, সরকারের পতন অনিবার্য। কী হলো? ১০ ডিসেম্বর ভুয়া, ৩০ ডিসেম্বর ভুয়া।’
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, অ্যাড. কামরুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জি. আব্দুসু সবুর, উপপ্রচার বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, কার্যনিবাহী সদস্য সানজিদা খানম।
এছাড়া কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মেসবাহুল হক সাচ্চু, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকীও বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।