প্রথম ম্যাচে বড় লক্ষ্য দিয়েও জিততে পারেনি ফরচুন বরিশাল। দ্বিতীয় ম্যাচে এসেই সে আক্ষেপ ঘোচালো সাকিব আল হাসানের দল। নিয়ন্ত্রিত বোলিং ও ব্যাটিংয়ে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে দাপট দেখিয়ে এবারের বিপিএলে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিল বরিশালের দলটি।
মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রংপুরকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে সাকিবের বরিশাল। বল হাতে ২১ রানে ২ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে ৪৩ রানের মহাগুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে বরিশালের জয়ে বড়সড় অবদান রেখেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারায় রংপুর। নাঈম শেখকে গোল্ডেন ডাকে ফেরান সাকিব আল হাসান। এরপর অবশ্য সাময়িক সে চাপ সামলে নেন রনি তালুকদার। তবে সিকান্দার রাজা এবং শেখ মেহেদীকে ফিরিয়ে রংপুরকে চাপে ফেলে দেয় বরিশালের বোলাররা।
তবে রনি তালুকদারের ঝোড়ো ৪০ রান দলকে বড় সংগ্রহের আভাস দিলেও পরবর্তীতে নুরুল হাসান সোহান, হাসমতইল্লাহ ওমরজাই এবং বিনি হাওয়েলের দ্রুত পতনে রংপুরের বড় রানের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। তবে শেষ দিকে শোয়েব মালিকের অর্ধ-শতক এবং রবিউল হকের ১৮ রানে নির্ধারিত ওভার শেষে রংপুরের সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ১৫৮ রান।
দ্বিতীয় ইনিংস শুরু আগে ঘটে এক অদ্ভুত ঘটনা। প্রথম বল মাঠে গড়ানোর আগেই শুরু হয়ে যায় ঝামেলা। আরও একবার চিরচেনা আগ্রাসী ভূমিকায় দেখা যায় বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে। ব্যাটার ও বোলাররা প্রস্তুত হয়ে যাওয়ার পর মাঠের বাইরে থেকে সতীর্থদের কিছু একটা ইশারা করতে দেখা যায় সাকিবকে। শুরুতে ইশারায় ব্যাপারটা আটকে থাকলেও ধীরে ধীরে তা ঝামেলায় রূপ নিতে থাকে।
ঝামেলার এক পর্যায়ে স্যান্ডেল পড়েই মাঠে নেমে যান সাকিব। এসময় আম্পায়ারদের সঙ্গে কিছু উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করতে দেখা যায় টাইগারদের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ককে। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এরপর জানা যায় মূল ঘটনা।
মূলত প্রথম ওভার শুরুর আগে বোলিংয়ে ছিলেন রাকিবুল হাসান। স্ট্রাইক প্রান্তে ব্যাট করতে আসেন বরিশালের ওপেনার চতুরঙ্গ ডি সিলভা। কিন্তু তাকে দেখে মেহেদী হাসানের হাতে বল তুলে দেন রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। তাই সাকিবও চাচ্ছিলেন চতুরঙ্গর বদলে এনামুল হক বিজয়কে স্ট্রাইক প্রান্তে আনতে। কিন্তু আম্পায়ার সেটার অনুমতি দেননি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই ঝামেলার সূত্রপাত।
ঝামেলা শেষ হওয়ার পর শুরু হয় খেলা। কিন্তু ১৮ রানেই প্রথম দুই উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে বরিশাল। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও আফগানিস্তানের ব্যাটার ইব্রাহিম জাদরান। ৪৩ রান করে মিরাজ ফিরে গেলে কিছুটা চাপে পড়ে বরিশাল। তবে ফিফটি তুলে নিয়ে দলকে ভালোভাবেই জয়ের পথে রেখেছিলেন জাদরান।
৫২ রান করে জাদরান ফিরলে করিম জানাতকে নিয়ে বাকি পথটা উতরে যান পাকিস্তানি ইফতেখার আহমেদ। ১৮ বলে ২৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন ইফতেখার। ১৪ বলে ২১ রান নিয়ে মাঠ ছাড়েন জানাত।