ক্যারিয়ার সায়াহ্নে এসে পৌঁছেছেন ভারতীয় ক্রিকেটের দুই কিংবদন্তি ক্রিকেটার রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। ক্যারিয়ারজুড়ে ভারতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে নানা ইতিহাস গড়া এই দুই ক্রিকেটারকেই কি-না এবার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে চিরতরে সরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছে ভারত!
দেশটির সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি জানাচ্ছে এই খবর। সেখানে বলা হয়েছে, বিসিসিআই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে রোহিত-কোহলির জায়গায় তরুণদের কথা ভাবছে। মূলত ২০২৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখেই এই পথে হাঁটতে চাইছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। এই দু’জনের অনুপস্থিতিতে ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতর ফরম্যাটে ভারতের অধিনায়ক থাকবেন হার্দিক পান্ডিয়া। এই পরিকল্পনাটা দীর্ঘমেয়াদীই হতে যাচ্ছে, জানাচ্ছে এনডিটিভি।
সবশেষ শ্রীলঙ্কা সিরিজে কোহলি কিংবা রোহিতের কেউই খেলেননি। তাদের অনুপস্থিতিতে এই সিরিজে যখন ভারতের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করা হলো পান্ডিয়ার নাম, তখনই ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে ধারণা ছিল, অধিনায়ক হিসেবে রোহিতের সময়টা বুঝি ফুরিয়েই এলো। এবার জানা যাচ্ছে, তাদের ছাড়াই টি-টোয়েন্টির ভবিষ্যৎ ভাবছে ভারত।
২০০৭ সালে ওয়ানডেতে অভিষেক হয় রোহিতের, সে বছর সেপ্টেম্বরে তিনি খেলেন তার প্রথম টি-টোয়েন্টি। কোহলির শুরুটাও হয়েছিল ওয়ানডে দিয়েই, ২০০৮ সালের আগস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেক হয় তার। প্রথম টি-টোয়েন্টিটা অবশ্য তিনি খেলেন দুই বছর পর, ২০১০ সালের জুনে।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের মালিক কোহলি। ১১৫ ম্যাচে ৫২.৭৩ গড়ে তিনি করেছেন ৪০০৮ রান। আর রোহিত আছেন তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। ১৪৮ ম্যাচে ৩১.৩২ গড়ে তিনি করেছেন ৩৮৫৩ রান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দু’জনেই ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তবে দলটিকে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ শিরোপার ছোঁয়া এনে দিতে পারেননি কেউই।
ভারত এই দুইজনকে ছাড়া ভবিষ্যৎ ভাবলেও রোহিত অবশ্য তার আগেই জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টিতে নিজের শেষ দেখে ফেলেননি তিনি। আইপিএলের আগ পর্যন্ত আরও তিন টি-টোয়েন্টি আছে, মনে করিয়ে দিলেন তিনি। বললেন, ‘আমাদের ছয়টা টি-টোয়েন্টি আছে কেবল, তিনটা শেষ হলো। আমরা বিষয়তা দেখব। ছেলেদের আইপিএলের আগ পর্যন্ত দেখে রাখার দায়িত্বটা সামলাতে হবে। এরপর আইপিএলে কী হবে তা দেখা যাবে। তবে এটা নিশ্চিত, টি-টোয়েন্টিতে হাল ছেড়ে দিচ্ছি না আমি।’
তাহলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কেন খেলেননি কোহলি আর তিনি? রোহিত জানালেন, যদি আপনি সূচিটা দেখেন, তাহলে দেখবেন আমাদের দম ফেলার ফুরসত নেই। তো আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি কিছু খেলোয়াড়ের ওয়ার্কলোডে নজর দেবো, আমরা এটা নিশ্চিত করতে চেয়েছি যেন তারা প্রয়োজনমাফিক বিরতিটা পান, নিজেদের দেখভাল করার সুযোগ পান। আমিও সেই ক্যাটাগরিতেই পড়েছি।’