জীবন্ত কিংবদন্তীশিল্পী মুস্তাফা মনোয়ারের নামে নামকরণ করা হয় একটি স্টুডিওর। ২৪ শে ডিসেম্বর, চ্যানেল আই ভবনে স্টুডিওটি নামকরণ করা হয়েছে ‘মুস্তাফা মনোয়ার স্টুডিও’। শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার গুণী শিল্পী, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব এবং শিক্ষক।
বাংলাদেশ টেলিভিশনের বিকাশে রয়েছে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তিনি বাংলাদেশের পাপেট শিল্পকে দিয়েছেন নতুন মাত্রা। বাংলাদেশে এই প্রথম কোন টেলিভিশন স্টুডিও শিল্পীর নামে নামকরণ হলো। স্টুডিওর নামফলকটি নির্মাণ করেন শিল্পী আজাহারুল ইসলাম চঞ্চল। তিনি মিক্সমিডিয়ায় দেশীয় শিল্প, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের নানান বিষয়াদি তুলে ধরেছেন। হৃদয়ে বাংলাদেশকে ধারণ করা চ্যানেল আই বরাবরই দেশের শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশে ভূমিকা রেখে আসছে। পাশাপাশি শিল্পীদের পাশে থেকেছে কর্তব্যবোধ থেকে।
এ প্রসঙ্গে শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার চ্যানেল আই কর্তৃপক্ষকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘কী দিয়ে যে, শুরু করবো তা মাথায় আসছে না। এমন একটা বিরাট সম্মান আমাকে দেওয়া হলো আমি জানতামেইনা যে এটা আমি পেতে পারি। এ সম্মান আমাকে অদ্ভূতভাবে অনুপ্রাণিত করছে আবার। আবার যেন মনে হচ্ছে যে, আমি নতুন করে টেলিভিশনে গেছি। আজকের এই সম্মান আমার বাকী জীবনে পাথেয় হয়ে রইল।’ অনুষ্ঠানে চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর বলেন, চ্যানেল আই বাংলাদেশের চিরায়ত শিল্প-সংস্কৃতিকেই ধারণ করে।
যা আমরা শিখেছি বাংলাদেশ টেলিভিশন থেকে। সেখান থেকে পাওয়া শিক্ষা, আচার আমরা এখনও মেনে চলার চেষ্টা করি। যারা আমাদের টেলিভিশন শিখিয়েছেন তাদের একজন শিল্পী মুস্তফা মনোয়ার। বাংলাদেশ টেলিভিশনের ৫৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর প্রাক্কালে এই শিক্ষককে শ্রদ্ধা জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত। চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ বলেন, যাঁদের হাতে বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশ তাঁদের অন্যতম শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার। তিনি আমাদের মনন তৈরি করেছেন।
অনুষ্ঠানে তামান্না তিথি বলেন প্রামান্যচিত্র ও পাপেট শো ‘আগাছা’ দেখানো হয়। গ্রন্থনা ও পরিকল্পনা মুস্তাফা মনোয়ার । উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল আই পরিচালনা পর্ষদেও সদস্য জহির উদ্দ্নি মাহমুদ মামুন, মুকিত মজুমদার বাবু, শিল্পী কেরামত মাওলা, সাংবাদিক ইকবাল সোবহার চৌধুরী ও রেজানুর রহমান, চিত্রশিল্পী আবদুল মান্নান ও মনিরুল ইসলাম, অভিনেতা শামস সুমন, মেরী মনোয়ারসহ বিভিন্ন শিল্পী, সাংবাদিক, চ্যানেল আইয়ের কলাকুশলী এবং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা। ছবি সংগ্রহঃ মোস্তাফিজ মিন্টু।