ঢাকা ০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

আমরা মানুষকে দিতে এসেছি, মানুষের জন্য কাজ করতে এসেছি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পদ্মা সেতু নিয়ে আমাদের ওপর দুর্নীতির অভিযোগ এসেছিল। আমরা তো দুর্নীতি করে টাকা বানাতে আসিনি। আমার বাবা রাষ্ট্রপতি ছিলেন, প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আমি চারবার প্রধানমন্ত্রী , আমাদের পরিবার দুর্নীতি যদি করতো তাহলে দেশের মানুষকে কিছু দিতে পারতাম না। আমরা দেশের মানুষকে দিতে এসেছি। মানুষের জন্য করতে এসেছি।

তিনি বলেন, কেউ বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে, আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে হয়ে, অন্তত এটা মেনে নিতে পারি না। চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলাম নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু করব। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলাদেশের মানুষদের, ধন্যবাদ জানাই আমার দেশের জনগণকে, তারাই আমাকে সাহস দিয়েছে, শক্তি দিয়েছে। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করেছি।

তিনি আরও বলেন, যেখানে বিএনপির আমলে মাথাপিছু আয় ছিল ৩৩৫ ডলার, সেখানে আমরা মাথাপিছু আয় নিয়ে গেছি ২৮২৪ ডলারে। বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় আমরা আনতে পেরেছি। আমাদের সমাজের নিরাপত্তায় আমরা ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছি। আজ ৮৪ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ বয়স্ক বিধবা ভাতা পান। যেখানে আমাদের খরচ হচ্ছে ৯৮১ কোটি ৫২ লাখ টাকা। কোনো মানুষ যেন কষ্টে না থাকে। সেজন্য আমাদের এই সামাজিক নিরাপত্তা। এর বাইরে প্রতিবন্ধীদের আমরা ভাতা দিই। দুই কোটি ৫৩ লক্ষ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিয়ে যাচ্ছি। করোনার সময়ও সেটা বন্ধ হয়নি বরং প্রতিটি শিক্ষার্থীকে ১০০০ টাকা করে আমরা প্রণোদনা দিয়েছি। আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের আমরা ভাতা দিচ্ছি। যে যেই দল করুক না কেন যারা মুক্তিযোদ্ধা তিনি সম্মানীয়, এটা আমরা বিশ্বাস করি।

বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। ছবি : পিআইডি। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ওয়াদা দিয়েছিলাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে বিদ্যুৎ দিয়ে প্রতিটি ঘর আলোকিত করবে। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে বিদ্যুৎ উৎপাদন ৩২০০  মেগাওয়াটে নামিয়ে এনেছিল। আমরা যখন সরকার গঠন করলাম সেই সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নিয়ে যাত্রা শুরু করে আজ আমরা ২৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হয়েছি। প্রতিটা ঘরে আমরা বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। দুর্ভাগ্যবশত করোনাকাল, ইউক্রেন যুদ্ধ, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এসব ধাক্কার মধ্যে আমাদের পড়তে হলো। আমাদের অনেক কিছুই আমদানি করতে হয়। ভোজ্য তেল, জ্বালানি তেল, গম, ভুট্টা, সার, চিনি আমাদের আমদানি করতে হয়। প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়ল, সে কারণে কিছুদিনের জন্য আমাদের এখানে লোডশেডিং দিতে হয়েছে। কিন্তু এখন ধীরে ধীরে আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছি। কিন্তু আমার অনুরোধ থাকবে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা গৃহহীনদের জন্য ঘর করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি সম্পূর্ণ করে যেতে পারেন নাই। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সাল থেকে আমরা আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীনদের ঘর করে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছি। আজ ৩৫ লক্ষ মানুষ বিনামূল্যে দুই কাঠা জমি-ঘর এবং জীবন-জীবিকার সুযোগ পাচ্ছে। এটা আমরা করে দিতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি আরও বলেন, কোভিড-১৯ এর সময় অনেক দেশ হিমশিম খেয়েছে । কিন্তু বাংলাদেশে আমরা যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে এই কোভিড মোকাবিলা করেছি। বিনামূল্যে টিকা দিয়েছি। বিনামূল্যে টেস্ট করাতে পেরেছি। পরবর্তীতে কিছু দেশ আমাদের ওপহার দিয়েছে, তাদের ধন্যবাদ জানাই। চিকিৎসা সেবাও বিনামূল্যে দিয়েছি। ১৫ হাজার সিট অতিরিক্ত করতে হয়েছে, অতিরিক্ত ডাক্তার-নার্স নিয়োগ দিতে হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২২ হাজার ডাক্তার, ৪০ হাজার নার্স আমরা নিয়োগ দিয়েছি। সেবা মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

আমরা মানুষকে দিতে এসেছি, মানুষের জন্য কাজ করতে এসেছি

আপডেট সময় ০৩:১৫:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পদ্মা সেতু নিয়ে আমাদের ওপর দুর্নীতির অভিযোগ এসেছিল। আমরা তো দুর্নীতি করে টাকা বানাতে আসিনি। আমার বাবা রাষ্ট্রপতি ছিলেন, প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আমি চারবার প্রধানমন্ত্রী , আমাদের পরিবার দুর্নীতি যদি করতো তাহলে দেশের মানুষকে কিছু দিতে পারতাম না। আমরা দেশের মানুষকে দিতে এসেছি। মানুষের জন্য করতে এসেছি।

তিনি বলেন, কেউ বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে, আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে হয়ে, অন্তত এটা মেনে নিতে পারি না। চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলাম নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু করব। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলাদেশের মানুষদের, ধন্যবাদ জানাই আমার দেশের জনগণকে, তারাই আমাকে সাহস দিয়েছে, শক্তি দিয়েছে। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করেছি।

তিনি আরও বলেন, যেখানে বিএনপির আমলে মাথাপিছু আয় ছিল ৩৩৫ ডলার, সেখানে আমরা মাথাপিছু আয় নিয়ে গেছি ২৮২৪ ডলারে। বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় আমরা আনতে পেরেছি। আমাদের সমাজের নিরাপত্তায় আমরা ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছি। আজ ৮৪ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ বয়স্ক বিধবা ভাতা পান। যেখানে আমাদের খরচ হচ্ছে ৯৮১ কোটি ৫২ লাখ টাকা। কোনো মানুষ যেন কষ্টে না থাকে। সেজন্য আমাদের এই সামাজিক নিরাপত্তা। এর বাইরে প্রতিবন্ধীদের আমরা ভাতা দিই। দুই কোটি ৫৩ লক্ষ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিয়ে যাচ্ছি। করোনার সময়ও সেটা বন্ধ হয়নি বরং প্রতিটি শিক্ষার্থীকে ১০০০ টাকা করে আমরা প্রণোদনা দিয়েছি। আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের আমরা ভাতা দিচ্ছি। যে যেই দল করুক না কেন যারা মুক্তিযোদ্ধা তিনি সম্মানীয়, এটা আমরা বিশ্বাস করি।

বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। ছবি : পিআইডি। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ওয়াদা দিয়েছিলাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে বিদ্যুৎ দিয়ে প্রতিটি ঘর আলোকিত করবে। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে বিদ্যুৎ উৎপাদন ৩২০০  মেগাওয়াটে নামিয়ে এনেছিল। আমরা যখন সরকার গঠন করলাম সেই সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নিয়ে যাত্রা শুরু করে আজ আমরা ২৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হয়েছি। প্রতিটা ঘরে আমরা বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। দুর্ভাগ্যবশত করোনাকাল, ইউক্রেন যুদ্ধ, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এসব ধাক্কার মধ্যে আমাদের পড়তে হলো। আমাদের অনেক কিছুই আমদানি করতে হয়। ভোজ্য তেল, জ্বালানি তেল, গম, ভুট্টা, সার, চিনি আমাদের আমদানি করতে হয়। প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়ল, সে কারণে কিছুদিনের জন্য আমাদের এখানে লোডশেডিং দিতে হয়েছে। কিন্তু এখন ধীরে ধীরে আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছি। কিন্তু আমার অনুরোধ থাকবে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা গৃহহীনদের জন্য ঘর করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি সম্পূর্ণ করে যেতে পারেন নাই। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সাল থেকে আমরা আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীনদের ঘর করে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছি। আজ ৩৫ লক্ষ মানুষ বিনামূল্যে দুই কাঠা জমি-ঘর এবং জীবন-জীবিকার সুযোগ পাচ্ছে। এটা আমরা করে দিতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি আরও বলেন, কোভিড-১৯ এর সময় অনেক দেশ হিমশিম খেয়েছে । কিন্তু বাংলাদেশে আমরা যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে এই কোভিড মোকাবিলা করেছি। বিনামূল্যে টিকা দিয়েছি। বিনামূল্যে টেস্ট করাতে পেরেছি। পরবর্তীতে কিছু দেশ আমাদের ওপহার দিয়েছে, তাদের ধন্যবাদ জানাই। চিকিৎসা সেবাও বিনামূল্যে দিয়েছি। ১৫ হাজার সিট অতিরিক্ত করতে হয়েছে, অতিরিক্ত ডাক্তার-নার্স নিয়োগ দিতে হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২২ হাজার ডাক্তার, ৪০ হাজার নার্স আমরা নিয়োগ দিয়েছি। সেবা মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছি।