ঢাকা ০১:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমাকে সরকার আপনাদের সেবা দেওয়ার জন্য পাঠিয়েছেন সুষ্ট ভাবে যেনো সেবা করতে পারি

মহান বিজয় দিবস উদযাপন ২০২২ উপলক্ষে, জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের মূলমন্ত্রই ছিলো এবারের সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম,আর এই ডাকের মধ্যে দিয়েই বিজয়ের চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়া যায় ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের মাধ্যমে।

বঙ্গবন্ধুর এই যুদ্ধটা ছিলো একটা অসাম্প্রদায়িক চেতনার। একটি সুখী সম্বৃদ্ধ আত্বন্বেষী বাংলাদেশ তৈরা করার জন্য। কিন্তু বঙ্গবন্ধু যখনি এই পথে আগাচ্ছিলেন তখনই তাকে বাঁধাগ্রস্ত করার জন্য একদল বিপদগামী লোকের বুলেটের গুলিতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের কালরাত্রিতে স্ব- পরিবারে শাহাদাত বরণ করেন।কিন্তু, বঙ্গবন্ধুর কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাবার ইচ্ছে পূরনে এদেশের মানুষের জন্য সোনার বাংলা গড়ার কাজ করে যাচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিশন অনুযায়ী তা বাস্তবায়নে ইতিপূর্বে ২০২১ সালের ধাপ, ডিজিটাল বাংলাদেশ, ২০৩০ সালের লক্ষ্যমাত্রা, ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ তথা একটি স্মাট বাংলাদেশে পরিনত হবে।

আর সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ সরকার। দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী যুব উন্নয়নকে উদ্যেশ্য করে বলেন, নিজেকে উপযুক্ত করে তুলতে পারলে দেশকেও ভালো কিছু দেওয়া যাবে।যুব উন্নয়নে সরকার যুব নারী যুব পুরুষদের বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষনের ব্যবস্হা করে দিয়েছেন। শুধু তাই নয় তাদেরকে উদ্যেক্তা হওয়ার জন্য লোনের ব্যবস্হা করে দিচ্ছেন। যাতে করে একজন উদ্যেক্তা নিজেও আত্বকর্মী হয়ে স্বাবলম্বী হবে অন্যকেও স্বাবলম্বী করবে। পড়াশোনা করে সবাই চাকুরীর পিছনে না দৌড়ে উদ্যেক্তা হোন। এক্ষেত্রে আমরা বলবো যে,একসাথে সবাই কাজ করে একসাথেই স্বাবলম্বী হয়ে প্রতিষ্টিত হতে হবে।

শুধুমাত্র কিছু সংখ্যাক লোক যদি প্রতিষ্টিত হয় তাহলে দেশের উন্নয়নে সুষম হবেনা।সুষমো উন্নয়ন ও টেকসই উন্নয়ন করতে হলে অবশ্যই আমাদের সম্মিলিতভাবে সবাইকে প্রস্তুত হতে হবে।যদি আমরা প্রস্তুত হই তাহলে আগামীদিনে এ দেশকে একটি সুখী সম্বৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসাবে আমরা প্রতিষ্টিত করতে পারবো বিশ্বের দরবারে। এসময়ে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার, রিপন কুমার মুদক,জেলা তথ্য কর্মকর্তা, আব্দুস সাত্তার, জেলা সমাজসেবার উপপরিচালক সুচিত্রা রায়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক শাহনুর আলম,সঞ্চালনা করেন,যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কম্পিউটার প্রশিক্ষক, মোঃ আলমগীর কবির।

সভার শুরুতেই পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করেন, নতুন কোট জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা তাজুল ইসলাম, এবং গীতা পাঠ করেন, অর্পা তালুকদার। এসময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ জেলা মডেল মসজিদের পেশ ইমাম,হাফিজ মাওলানা, মফিজুর রহমান। হাফিজ মাওলানা, রফিকুল ইসলাম আলাল,হাফিজ মাওলানা তাজুল ইসলাম, মাওলানা গুলাম মওলা মানিক,হাফিজ হারুনুর রশিদ,মাওলানা আমিন উদ্দিন সহ বিভিন্ন ট্রেডের প্রশিক্ষণার্থী ও কর্মকর্তা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আমাকে সরকার আপনাদের সেবা দেওয়ার জন্য পাঠিয়েছেন সুষ্ট ভাবে যেনো সেবা করতে পারি

আপডেট সময় ০২:৪৭:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২২

মহান বিজয় দিবস উদযাপন ২০২২ উপলক্ষে, জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের মূলমন্ত্রই ছিলো এবারের সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম,আর এই ডাকের মধ্যে দিয়েই বিজয়ের চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়া যায় ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের মাধ্যমে।

বঙ্গবন্ধুর এই যুদ্ধটা ছিলো একটা অসাম্প্রদায়িক চেতনার। একটি সুখী সম্বৃদ্ধ আত্বন্বেষী বাংলাদেশ তৈরা করার জন্য। কিন্তু বঙ্গবন্ধু যখনি এই পথে আগাচ্ছিলেন তখনই তাকে বাঁধাগ্রস্ত করার জন্য একদল বিপদগামী লোকের বুলেটের গুলিতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের কালরাত্রিতে স্ব- পরিবারে শাহাদাত বরণ করেন।কিন্তু, বঙ্গবন্ধুর কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাবার ইচ্ছে পূরনে এদেশের মানুষের জন্য সোনার বাংলা গড়ার কাজ করে যাচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিশন অনুযায়ী তা বাস্তবায়নে ইতিপূর্বে ২০২১ সালের ধাপ, ডিজিটাল বাংলাদেশ, ২০৩০ সালের লক্ষ্যমাত্রা, ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ তথা একটি স্মাট বাংলাদেশে পরিনত হবে।

আর সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ সরকার। দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী যুব উন্নয়নকে উদ্যেশ্য করে বলেন, নিজেকে উপযুক্ত করে তুলতে পারলে দেশকেও ভালো কিছু দেওয়া যাবে।যুব উন্নয়নে সরকার যুব নারী যুব পুরুষদের বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষনের ব্যবস্হা করে দিয়েছেন। শুধু তাই নয় তাদেরকে উদ্যেক্তা হওয়ার জন্য লোনের ব্যবস্হা করে দিচ্ছেন। যাতে করে একজন উদ্যেক্তা নিজেও আত্বকর্মী হয়ে স্বাবলম্বী হবে অন্যকেও স্বাবলম্বী করবে। পড়াশোনা করে সবাই চাকুরীর পিছনে না দৌড়ে উদ্যেক্তা হোন। এক্ষেত্রে আমরা বলবো যে,একসাথে সবাই কাজ করে একসাথেই স্বাবলম্বী হয়ে প্রতিষ্টিত হতে হবে।

শুধুমাত্র কিছু সংখ্যাক লোক যদি প্রতিষ্টিত হয় তাহলে দেশের উন্নয়নে সুষম হবেনা।সুষমো উন্নয়ন ও টেকসই উন্নয়ন করতে হলে অবশ্যই আমাদের সম্মিলিতভাবে সবাইকে প্রস্তুত হতে হবে।যদি আমরা প্রস্তুত হই তাহলে আগামীদিনে এ দেশকে একটি সুখী সম্বৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসাবে আমরা প্রতিষ্টিত করতে পারবো বিশ্বের দরবারে। এসময়ে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার, রিপন কুমার মুদক,জেলা তথ্য কর্মকর্তা, আব্দুস সাত্তার, জেলা সমাজসেবার উপপরিচালক সুচিত্রা রায়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক শাহনুর আলম,সঞ্চালনা করেন,যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কম্পিউটার প্রশিক্ষক, মোঃ আলমগীর কবির।

সভার শুরুতেই পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করেন, নতুন কোট জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা তাজুল ইসলাম, এবং গীতা পাঠ করেন, অর্পা তালুকদার। এসময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ জেলা মডেল মসজিদের পেশ ইমাম,হাফিজ মাওলানা, মফিজুর রহমান। হাফিজ মাওলানা, রফিকুল ইসলাম আলাল,হাফিজ মাওলানা তাজুল ইসলাম, মাওলানা গুলাম মওলা মানিক,হাফিজ হারুনুর রশিদ,মাওলানা আমিন উদ্দিন সহ বিভিন্ন ট্রেডের প্রশিক্ষণার্থী ও কর্মকর্তা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।