ঢাকা ১০:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

চাচার হাতে ভাতিজা খুন

রংপুরের মিঠাপুকুরে জমি দখলকে কেন্দ্র চাচাদের হাতে ভাতিজা নিহত হয়েছেন। নিহত ভাতিজার নাম মোঃ আবু হোসেন (২৫), সে উপজেলার ০৬ নং-কাফ্রিখাল ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছোট ছেলে। এ ঘটনায় আহত অবস্থায় আরো দু’জন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের মধ্যে নুরনবী (৩৮) নামে একজনের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী।

এলাকাবাসী ও স্হানীয়রা জানান, ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল আনুমানিক ১১ ঘটিকার সময় আব্দুল জলিলের বিমাতা ভাই বুলু,বেলাল,হেলাল, মোলামের সঙ্গে পূর্বের চার শতাংশ জায়গা নিয়ে বিবাদের সূত্রধরে আব্দুল জলিলের আরেক ভাতিজা দেলোয়ারের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় উভয়ের মধ্যে মারামারি এবং হাতাহাতি শুরু হয়। এসময় আবু হোসেন পাশ্ববর্তী মাঠে গরুর ঘাস কাটা অবস্থায় চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে এগিয়ে আসলে তাকে পূর্ব পরিকল্পনা মতে আব্দুল লতিব,বেলাল,হেলাল,সফিকুল,উজ্বল,মোলাম,বুলুসহ ১০/১২ জন বাঁশের লাঠি দিয়ে মারপিট শুরু করেন। এতে ঘটনাস্থলেই আবু হোসেনের মাথা ফেটে নাক মুুুখ দিয়ে রক্ত বের হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন।

আবু হোসেনকে বাঁচাতে গিয়ে নুরনবী এবং লেবু মিয়া গুরুতর আহত হয়ে পড়লে স্হানীয়া আবু হোসেনসহ তাদের উদ্ধার করে প্রথমে মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল আনুমানিক ৫ ঘটিকার সময় আবু হোসেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। উল্লেখ্য নিহত আবু হোসেনের স্ত্রী নয় মাসের গর্ভবতী। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পোস্ট মর্টেম শেষে আবু হোসেনের মরদেহ রাত্রী ৭ ঘটিকার সময় তার নিজ বাড়ি সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে মিঠাপুকুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের পিতা-আব্দুল জলিল মিয়া।

এলাকাবাসীসহ আবু হোসেনের বাবা-মা জানান,নিহত আবু হোসেনের স্ত্রী সন্তান সম্ভবা। দু-একদিনের মধ্যেই তার একটি পুত্র সন্তান হওয়ার কথা। কিন্তু সামান্য চার শতাংশ জায়গার জন্য আবু হোসেন তার নবজাতক সন্তানের মুখে দেখে যেতে পারলেন না। এ ঘটনায় তারা দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবি জানান।

এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ  মোস্তাফিজার রহমান দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি কে জানান, আবু হোসেন মৃত্যুর ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। আসামি গ্রেফতারের জোড় চেষ্টা চলছে। কিন্তু আসামীরা ঘটনার পরপরই আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় তাদের গ্রেফতার করা এখনো সম্ভব হয়নি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

চাচার হাতে ভাতিজা খুন

আপডেট সময় ০৬:২৯:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

রংপুরের মিঠাপুকুরে জমি দখলকে কেন্দ্র চাচাদের হাতে ভাতিজা নিহত হয়েছেন। নিহত ভাতিজার নাম মোঃ আবু হোসেন (২৫), সে উপজেলার ০৬ নং-কাফ্রিখাল ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছোট ছেলে। এ ঘটনায় আহত অবস্থায় আরো দু’জন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের মধ্যে নুরনবী (৩৮) নামে একজনের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী।

এলাকাবাসী ও স্হানীয়রা জানান, ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল আনুমানিক ১১ ঘটিকার সময় আব্দুল জলিলের বিমাতা ভাই বুলু,বেলাল,হেলাল, মোলামের সঙ্গে পূর্বের চার শতাংশ জায়গা নিয়ে বিবাদের সূত্রধরে আব্দুল জলিলের আরেক ভাতিজা দেলোয়ারের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় উভয়ের মধ্যে মারামারি এবং হাতাহাতি শুরু হয়। এসময় আবু হোসেন পাশ্ববর্তী মাঠে গরুর ঘাস কাটা অবস্থায় চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে এগিয়ে আসলে তাকে পূর্ব পরিকল্পনা মতে আব্দুল লতিব,বেলাল,হেলাল,সফিকুল,উজ্বল,মোলাম,বুলুসহ ১০/১২ জন বাঁশের লাঠি দিয়ে মারপিট শুরু করেন। এতে ঘটনাস্থলেই আবু হোসেনের মাথা ফেটে নাক মুুুখ দিয়ে রক্ত বের হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন।

আবু হোসেনকে বাঁচাতে গিয়ে নুরনবী এবং লেবু মিয়া গুরুতর আহত হয়ে পড়লে স্হানীয়া আবু হোসেনসহ তাদের উদ্ধার করে প্রথমে মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল আনুমানিক ৫ ঘটিকার সময় আবু হোসেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। উল্লেখ্য নিহত আবু হোসেনের স্ত্রী নয় মাসের গর্ভবতী। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পোস্ট মর্টেম শেষে আবু হোসেনের মরদেহ রাত্রী ৭ ঘটিকার সময় তার নিজ বাড়ি সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে মিঠাপুকুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের পিতা-আব্দুল জলিল মিয়া।

এলাকাবাসীসহ আবু হোসেনের বাবা-মা জানান,নিহত আবু হোসেনের স্ত্রী সন্তান সম্ভবা। দু-একদিনের মধ্যেই তার একটি পুত্র সন্তান হওয়ার কথা। কিন্তু সামান্য চার শতাংশ জায়গার জন্য আবু হোসেন তার নবজাতক সন্তানের মুখে দেখে যেতে পারলেন না। এ ঘটনায় তারা দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবি জানান।

এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ  মোস্তাফিজার রহমান দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি কে জানান, আবু হোসেন মৃত্যুর ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। আসামি গ্রেফতারের জোড় চেষ্টা চলছে। কিন্তু আসামীরা ঘটনার পরপরই আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় তাদের গ্রেফতার করা এখনো সম্ভব হয়নি।