ঢাকা ০২:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পল্টনে ককটেল বিস্ফোরণ

 ৩ বিএনপি কর্মী গ্রেফতার : বিএনপির ৭৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে জনমনে আতংক সৃষ্টিসহ ব্যক্তি বা সম্পত্তির ক্ষতির উদ্দেশ্যে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বিএনপির তিন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পল্টন মডেল থানা পুলিশ। এঘটনায় বিএনপি ও তার সহযোগি অঙ্গ সংগঠনের ৭৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বিএনপি কর্মী তারিকুল ইসলাম (৩০), আবু ছায়েদ পাটোয়ারী (৪৫), শ্রমিক দলের কর্মী মো. আবু বকর (৫৪)। শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টন থানার নয়াপল্টনের বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আজ রোববার দুপুরে পল্টন মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সালাহউদ্দীন মিয়া মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বিএনপির ১৫ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৫০ থেকে ৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। এদিকে, ডিএমপির পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শামীম হোসেন জানান, শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপির তিন কর্মীকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে এঘটনায় গ্রেফতারকৃত তিনজনসহ নামধারী ১৫ জন ও অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনকে আসামি করে পুলিশ বাদি হয়ে বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, জনমনে আতংক সৃষ্টিসহ ব্যক্তি বা সম্পত্তির ক্ষতির উদ্দেশ্যে তারা ককটেল বিস্ফোরণ করেন। আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে নিজেদের শক্তিমত্তা প্রদর্শনের অপচেষ্টায় তারা লিপ্ত হন বলেও জানা গেছে। পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, এ ঘটনায় পলাতক আসামিরা হলেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম মওলা শাহিন, পল্টন থানা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লিয়ন হোসেন ওরফে লিয়ন হক, ১৩ নম্বর ওয়ার্ড (দক্ষিণ) বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সরফুদ্দিন খান মুন্না, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সেকেন্দার কাদির, পল্টন থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মওদুদ আহমেদ, পল্টন থানা ছাত্রদল, যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান ইমতিয়াজ, পল্টন থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. নোমান খান, বিএনপির শান্তিনগর বাজার ইউনিটের সভাপতি মো. জসিম, পল্টন থানার সেক্রেটারি মো. কাজী হাসিবুর রহমান শাকিল, পল্টন থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আরিফুল হক আরিফ, পল্টন থানা যুবদলের সভাপতি আসিফ ওমর ফারুক, ১৩ নম্বর ওয়ার্ড (উত্তর) বিএনপি সভাপতি মো. সালাউদ্দিন, পল্টন থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. নোমান খান, বিএনপির শান্তিনগর বাজার ইউনিটের সভাপতি মো. জসিম, পল্টন থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. কাজী হাসিবুর রহমান শাকিল, পল্টন থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আরিফুল হক আরিফ, পল্টন থানা যুবদলের সভাপতি আসিফ ওমর ফারুক, বিএনপির ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি মো. সালাহউদ্দিনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫০- ৬০ জন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে মামলা।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে নয়াপল্টনের বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক পলাতক আসামি গোলাম মওলা শাহীনের নেতৃত্বে পলাতক আসামি ও অজ্ঞাতনামা ৫০/৬০ জন আকস্মিকভাবে সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে থাকে।

এক পর্যায়ে জনমনে আতঙ্কসৃষ্টি, ব্যক্তি ও সম্পত্তির ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে পুলিশকে লক্ষ্য করে তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। ওইসময় ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। বাকী আসামিরা দৌঁড়ে বিভিন্ন দিকে পালিয়ে যান। এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়- ঘটনাস্থল থেকে একটি বিস্ফোরিত ককটেলের অংশবিশেষ উদ্ধার করা হয়। বিস্ফোরণের ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনের ৩/৬ ধারা মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পল্টনে ককটেল বিস্ফোরণ

 ৩ বিএনপি কর্মী গ্রেফতার : বিএনপির ৭৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট সময় ০৫:১৫:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২২

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে জনমনে আতংক সৃষ্টিসহ ব্যক্তি বা সম্পত্তির ক্ষতির উদ্দেশ্যে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বিএনপির তিন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পল্টন মডেল থানা পুলিশ। এঘটনায় বিএনপি ও তার সহযোগি অঙ্গ সংগঠনের ৭৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বিএনপি কর্মী তারিকুল ইসলাম (৩০), আবু ছায়েদ পাটোয়ারী (৪৫), শ্রমিক দলের কর্মী মো. আবু বকর (৫৪)। শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টন থানার নয়াপল্টনের বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আজ রোববার দুপুরে পল্টন মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সালাহউদ্দীন মিয়া মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বিএনপির ১৫ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৫০ থেকে ৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। এদিকে, ডিএমপির পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শামীম হোসেন জানান, শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপির তিন কর্মীকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে এঘটনায় গ্রেফতারকৃত তিনজনসহ নামধারী ১৫ জন ও অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনকে আসামি করে পুলিশ বাদি হয়ে বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, জনমনে আতংক সৃষ্টিসহ ব্যক্তি বা সম্পত্তির ক্ষতির উদ্দেশ্যে তারা ককটেল বিস্ফোরণ করেন। আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে নিজেদের শক্তিমত্তা প্রদর্শনের অপচেষ্টায় তারা লিপ্ত হন বলেও জানা গেছে। পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, এ ঘটনায় পলাতক আসামিরা হলেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম মওলা শাহিন, পল্টন থানা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লিয়ন হোসেন ওরফে লিয়ন হক, ১৩ নম্বর ওয়ার্ড (দক্ষিণ) বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সরফুদ্দিন খান মুন্না, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সেকেন্দার কাদির, পল্টন থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মওদুদ আহমেদ, পল্টন থানা ছাত্রদল, যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান ইমতিয়াজ, পল্টন থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. নোমান খান, বিএনপির শান্তিনগর বাজার ইউনিটের সভাপতি মো. জসিম, পল্টন থানার সেক্রেটারি মো. কাজী হাসিবুর রহমান শাকিল, পল্টন থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আরিফুল হক আরিফ, পল্টন থানা যুবদলের সভাপতি আসিফ ওমর ফারুক, ১৩ নম্বর ওয়ার্ড (উত্তর) বিএনপি সভাপতি মো. সালাউদ্দিন, পল্টন থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. নোমান খান, বিএনপির শান্তিনগর বাজার ইউনিটের সভাপতি মো. জসিম, পল্টন থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. কাজী হাসিবুর রহমান শাকিল, পল্টন থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আরিফুল হক আরিফ, পল্টন থানা যুবদলের সভাপতি আসিফ ওমর ফারুক, বিএনপির ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি মো. সালাহউদ্দিনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫০- ৬০ জন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে মামলা।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে নয়াপল্টনের বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক পলাতক আসামি গোলাম মওলা শাহীনের নেতৃত্বে পলাতক আসামি ও অজ্ঞাতনামা ৫০/৬০ জন আকস্মিকভাবে সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে থাকে।

এক পর্যায়ে জনমনে আতঙ্কসৃষ্টি, ব্যক্তি ও সম্পত্তির ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে পুলিশকে লক্ষ্য করে তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। ওইসময় ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। বাকী আসামিরা দৌঁড়ে বিভিন্ন দিকে পালিয়ে যান। এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়- ঘটনাস্থল থেকে একটি বিস্ফোরিত ককটেলের অংশবিশেষ উদ্ধার করা হয়। বিস্ফোরণের ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনের ৩/৬ ধারা মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।