ঢাকা ০৭:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছোট দারোগার হাট বাজার এলাকায় উল্টো পথে আসা ট্রাকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ বোরহানউদ্দিনে পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাফর মৃধা’র বসতবাড়িতে হামলা। বনানীর আবাসিক হোটেলে মিলল ৯৮৪ বোতল বিদেশি মদ গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন
বিমানবন্দরে রওশন এরশাদ

বিএনপি অত্যাচারী দল, বিএনপির সঙ্গে জোটের প্রশ্নই আসে না

জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ বলেন, জনগণ উন্নতি ও শান্তির জন্য পরিবর্তন চায়। জাতীয় পার্টিই দিতে পারে সেই শান্তি। অবশ্যই তা বিএনপি নয়। বিএনপি অত্যাচারী দল, বিএনপির সঙ্গে জোটের প্রশ্নই আসে না। তিনি বলেন, পার্টিকে দুর্বল করতে কিছু ষড়যন্ত্র হতে পারে। ভুল বোঝাবুঝি দূর করে ঐক্যবদ্ধভাবে শিগগির রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ফিরতে পারবো। আমরা সেসব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করবো এবং ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী জাতীয় পার্টি গড়ে তুলবো।

আজ রোববার দুপুরে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে পাঁচ মাস চিকিৎসার পর দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিক ও দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য তিনি এ সব কথা বলেন। এরআগে, রোববার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে রওশন এরশাদকে বহনকারী থাই এয়ারওয়েজের (টিজি-৩২১) বিমানটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

এসময় তার সঙ্গে ছিলেন, এরশাদপুত্র রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ ও পুত্রবধূ মাহিমা সাদ, বেগম রওশন এরশাদের মুখপ্রাপ্ত কাজী মামুনুর রশিদ, দলটির সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, মসিউর রহমান রাঁঙ্গা, গোলাম মসীহ, ইকবাল হোসেন রাজুসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সরকারের প্রতি আস্থা জানিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন বজায় রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

দুর্নীতি, অর্থনীতিতে অব্যবস্থাপনা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির মতো কিছু ক্রটি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এসব বিষয়ে অবগত আছেন। বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ বলেন, বর্তমান ভূ-রাজনীতি বিশেষ করে ইউক্রেনের যুদ্ধ গুরুতর অর্থনৈতিক সমস্যার সৃষ্টি করেছে। এর প্রভাব পড়েছে আমাদের দেশেও। তাই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের সবাইকে আরও সতর্ক হওয়া উচিত এবং সরকারকে সহযোগিতা করা উচিত।

বিএনপির সময়ে জাতীয় পার্টি খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানিয়ে রওশন এরশাদ বলেন, আমাদের নেতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবং আমি ও আমার সন্তানসহ দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী জেল খেটেছেন। তখন আমাদের জনসভাও করতে দেওয়া হয়নি। ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অনেক জনসভায় হামলা চালানো হয়। সেই দিনগুলো আমরা ভুলবো কী করে? তাছাড়া আমরা তাদের শাসনামলে হাওয়া ভবনের দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও অপতৎপরতা দেখেছি।

পার্টির ঐক্যের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষক বলেন, পার্টিকে বিভক্ত করার প্রশ্নই ওঠে না। বরং আমি জাতীয় পার্টির সব সদস্যকে খোলা মনে আহ্বান জানিয়েছি- যারা আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, নাজিউর রহমান, কাজী জাফর আহমদের সঙ্গে চলে গেছেন এবং নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছেন, তাদের ফিরে আসার জন্য। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত জাতীয় পার্টির কঠিন ও প্রতিকূল সময়ে যারা আমাদের সঙ্গে ছিলেন, তাদেরকে আমাদের অবশ্যই যথাযথ স্বীকৃতি দিতে হবে। জাতীয় পার্টি ঐক্য চায় মন্তব্য করে রওশন এরশাদ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য রওশন এরশাদ বলেন, ‘পার্টিকে বিভক্ত করতে চাই না।

আমি ঐক্য চাই, যারা দলের পেছনে গত ৩২ বছর সময় দিয়ে জাতীয় পার্টির জন্য কষ্ট করেছেন, জেল খেটেছেন এবং জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাদের সবার নিকট আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। রওশন বলেন, আমি ঢাকায় ফিরে এসেছি, আমি পার্টির সব এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং অন্যান্যদের সঙ্গে যেকোনো বিভ্রান্তি ও ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে বসবো।

আমি নিশ্চিত, সেই ভুল বোঝাবুঝি দূর করে ঐক্যবদ্ধভাবে শিগগির রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ফিরতে পারবো। বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই বিএনপির সঙ্গে জাতীয় পার্টির জোট গঠনের বিষয়ে রাজনৈতিক গুঞ্জন চলছে। তবে, বিষয়টিকে সরাসরি নাকচ করে দিয়ে রওশন বলেন, এসব ভুল বোঝাবুঝির জন্য এবং পার্টিকে দুর্বল করতে কিছু ষড়যন্ত্র হতে পারে। যেমনটি আমরা ১৯৯৬, ২০০১ এবং ২০১৪ সালে দেখেছি। আমরা সেসব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করবো এবং ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী জাতীয় পার্টি গড়ে তুলবো।

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে রওশন বলেন, মনে রাখবেন রংপুর জাতীয় পার্টি প্রাণ। এটা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বাড়ি। তাই আসনটি যেকোনো মূল্যে ধরে রাখতে হবে। জাতীয় পার্টির প্রতীক ‘লাঙল’ নিয়ে নির্বাচনে জয়ী হবে এমন যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দেবো, ইনশাআল্লাহ। এজন্য সব নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বেগম রওশন এরশাদ নিজের স্বাস্থ্য সর্ম্পকে বলেন, ‘আমি এখন ঠিক আছি। আমার পায়ে কিছু সমস্যা আছে এবং ফিজিওথেরাপি দিচ্ছি।

কোনো অসুবিধা নেই। আমার সুস্থতা কামনায় দোয়া করার জন্য পার্টির নেতাকর্মী এবং দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানাই।’ একইসঙ্গে ব্যাংককে চিকিৎসার সময় সহযোগিতা এবং খোঁজখবর নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান তিনি। এদিকে, দলীয় নেতার দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে বিমানবন্দরে জাতীয় পার্টির প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী ভিড় জমিয়েছেন। এসময় দলীয় নেতাকর্মীরা বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জের গেটে বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান দিতে দেখা গেছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা

বিমানবন্দরে রওশন এরশাদ

বিএনপি অত্যাচারী দল, বিএনপির সঙ্গে জোটের প্রশ্নই আসে না

আপডেট সময় ০৮:৫৫:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২২

জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ বলেন, জনগণ উন্নতি ও শান্তির জন্য পরিবর্তন চায়। জাতীয় পার্টিই দিতে পারে সেই শান্তি। অবশ্যই তা বিএনপি নয়। বিএনপি অত্যাচারী দল, বিএনপির সঙ্গে জোটের প্রশ্নই আসে না। তিনি বলেন, পার্টিকে দুর্বল করতে কিছু ষড়যন্ত্র হতে পারে। ভুল বোঝাবুঝি দূর করে ঐক্যবদ্ধভাবে শিগগির রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ফিরতে পারবো। আমরা সেসব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করবো এবং ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী জাতীয় পার্টি গড়ে তুলবো।

আজ রোববার দুপুরে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে পাঁচ মাস চিকিৎসার পর দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিক ও দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য তিনি এ সব কথা বলেন। এরআগে, রোববার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে রওশন এরশাদকে বহনকারী থাই এয়ারওয়েজের (টিজি-৩২১) বিমানটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

এসময় তার সঙ্গে ছিলেন, এরশাদপুত্র রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ ও পুত্রবধূ মাহিমা সাদ, বেগম রওশন এরশাদের মুখপ্রাপ্ত কাজী মামুনুর রশিদ, দলটির সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, মসিউর রহমান রাঁঙ্গা, গোলাম মসীহ, ইকবাল হোসেন রাজুসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সরকারের প্রতি আস্থা জানিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন বজায় রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

দুর্নীতি, অর্থনীতিতে অব্যবস্থাপনা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির মতো কিছু ক্রটি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এসব বিষয়ে অবগত আছেন। বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ বলেন, বর্তমান ভূ-রাজনীতি বিশেষ করে ইউক্রেনের যুদ্ধ গুরুতর অর্থনৈতিক সমস্যার সৃষ্টি করেছে। এর প্রভাব পড়েছে আমাদের দেশেও। তাই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের সবাইকে আরও সতর্ক হওয়া উচিত এবং সরকারকে সহযোগিতা করা উচিত।

বিএনপির সময়ে জাতীয় পার্টি খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানিয়ে রওশন এরশাদ বলেন, আমাদের নেতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবং আমি ও আমার সন্তানসহ দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী জেল খেটেছেন। তখন আমাদের জনসভাও করতে দেওয়া হয়নি। ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অনেক জনসভায় হামলা চালানো হয়। সেই দিনগুলো আমরা ভুলবো কী করে? তাছাড়া আমরা তাদের শাসনামলে হাওয়া ভবনের দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও অপতৎপরতা দেখেছি।

পার্টির ঐক্যের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষক বলেন, পার্টিকে বিভক্ত করার প্রশ্নই ওঠে না। বরং আমি জাতীয় পার্টির সব সদস্যকে খোলা মনে আহ্বান জানিয়েছি- যারা আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, নাজিউর রহমান, কাজী জাফর আহমদের সঙ্গে চলে গেছেন এবং নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছেন, তাদের ফিরে আসার জন্য। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত জাতীয় পার্টির কঠিন ও প্রতিকূল সময়ে যারা আমাদের সঙ্গে ছিলেন, তাদেরকে আমাদের অবশ্যই যথাযথ স্বীকৃতি দিতে হবে। জাতীয় পার্টি ঐক্য চায় মন্তব্য করে রওশন এরশাদ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য রওশন এরশাদ বলেন, ‘পার্টিকে বিভক্ত করতে চাই না।

আমি ঐক্য চাই, যারা দলের পেছনে গত ৩২ বছর সময় দিয়ে জাতীয় পার্টির জন্য কষ্ট করেছেন, জেল খেটেছেন এবং জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাদের সবার নিকট আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। রওশন বলেন, আমি ঢাকায় ফিরে এসেছি, আমি পার্টির সব এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং অন্যান্যদের সঙ্গে যেকোনো বিভ্রান্তি ও ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে বসবো।

আমি নিশ্চিত, সেই ভুল বোঝাবুঝি দূর করে ঐক্যবদ্ধভাবে শিগগির রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ফিরতে পারবো। বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই বিএনপির সঙ্গে জাতীয় পার্টির জোট গঠনের বিষয়ে রাজনৈতিক গুঞ্জন চলছে। তবে, বিষয়টিকে সরাসরি নাকচ করে দিয়ে রওশন বলেন, এসব ভুল বোঝাবুঝির জন্য এবং পার্টিকে দুর্বল করতে কিছু ষড়যন্ত্র হতে পারে। যেমনটি আমরা ১৯৯৬, ২০০১ এবং ২০১৪ সালে দেখেছি। আমরা সেসব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করবো এবং ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী জাতীয় পার্টি গড়ে তুলবো।

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে রওশন বলেন, মনে রাখবেন রংপুর জাতীয় পার্টি প্রাণ। এটা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বাড়ি। তাই আসনটি যেকোনো মূল্যে ধরে রাখতে হবে। জাতীয় পার্টির প্রতীক ‘লাঙল’ নিয়ে নির্বাচনে জয়ী হবে এমন যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দেবো, ইনশাআল্লাহ। এজন্য সব নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বেগম রওশন এরশাদ নিজের স্বাস্থ্য সর্ম্পকে বলেন, ‘আমি এখন ঠিক আছি। আমার পায়ে কিছু সমস্যা আছে এবং ফিজিওথেরাপি দিচ্ছি।

কোনো অসুবিধা নেই। আমার সুস্থতা কামনায় দোয়া করার জন্য পার্টির নেতাকর্মী এবং দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানাই।’ একইসঙ্গে ব্যাংককে চিকিৎসার সময় সহযোগিতা এবং খোঁজখবর নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান তিনি। এদিকে, দলীয় নেতার দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে বিমানবন্দরে জাতীয় পার্টির প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী ভিড় জমিয়েছেন। এসময় দলীয় নেতাকর্মীরা বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জের গেটে বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান দিতে দেখা গেছে।