ঢাকা ০১:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অর্থের লোভ দেখিয়ে ‘গণঅভ্যুত্থানের’ ব্যর্থ চেষ্টা, নেপথ্যে কারা? দক্ষিণখানে পাষণ্ড স্বামী ও তার বন্ধুরা মিলে স্ত্রীকে ধর্ষণ! বিচারের আশায় ধর্ষিতা নারী কেন্দ্রীয় ব্যাংকে উত্তেজনার নেপথ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল হাসিনার শাসনামল ছিল ইতিহাসের কলঙ্ক: যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না বোরহানউদ্দিন বিএনপির কেউ চাঁদাবাজি করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যাবস্হা নেয়া হবে: মাফরুজা সুলতানা পাঁচবিবির ইউএনও জেলা প্রশাসককে গাছের চারা উপহার মঠবাড়িয়ায় মুদি মনোহরী দোকান থেকে নগদ টাকা সহ মালামাল চুরির অভিযোগ রাজবাড়ী সদরের আলীপুরে একই সময় দুই স্বামীর সঙ্গে সংসার জান্নাতুলের, এলাকায় চাঞ্চল্য শেখ হাসিনার পতন ও বিতর্কিত ঠিকাদার শাহ আলমের সখ্যতার নতুন খেলা” গুলশানে বেদখল হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি, জানা গেল বাড়িগুলোর নাম-ঠিকানা

মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় রামগঞ্জ ছাত্রলীগের তিন কমিটি বিলুপ্তি

মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ ছাত্রলীগের তিনটি শাখার কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। রামগঞ্জ উপজেলা, পৌর ও সরকারি কলেজ শাখা কমিটি বিলুপ্ত করেছে জেলা ছাত্রলীগ। এর একেকটি কমিটি সাড়ে চার থেকে সাড়ে ছয় বছর পর্যন্ত ছিল। এর মধ্যেই দুই নেতা হলেন পৌর কাউন্সিলর।

বিয়ে করে হয়েছেন সন্তানের বাবাও। শনিবার (২৬ নভেম্বর) রাতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রকি ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদত হোসেন ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে ওই তিন ইউনিট নতুন কমিটির গঠনের লক্ষ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থীদের কাছ থেকে জীবনবৃত্তান্ত আহ্বান করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জাহিদ আদনান, রিয়াজ হোসেন ও রাকিব হোসেন পদপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে জীবনবৃত্তান্ত জমা নেবেন।

দলীয় সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ১৯ মে কামরুল হাসান ফয়সাল মালকে সভাপতি ও মেহেদী হাসান শুভকে সাধারণ সম্পাদক করে রামগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়। পদে থেকেই নেতারা বিয়ে করেন। সন্তানও আছে তাদের। এর মধ্যে ফয়সাল মাল গত নির্বাচনে রামগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ও শুভ ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।

এক বছরের জন্য ওই কমিটির অনুমোদন দেওয়া হলেও তাদের কমিটি ছিল সাড়ে ছয় বছর। ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই মিলন আটিয়াকে আহ্বায়ক ও রবিউল জামাল অপু মালকে প্রথম যুগ্ম-আহ্বায়ক করে ১০ সদস্যবিশিষ্ট রামগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়। তিন মাসের জন্য এ কমিটি গঠন করা হলেও তারা দায়িত্বে ছিলেন চার বছর । অন্যদিকে ২০১৭ সালের ৬ জানুয়ারি মোরশেদুল আমিন বাবুকে সভাপতি ও রাকিবুল হাসান শান্তকে সাধারণ সম্পাদক করে রামগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়। পাঁচ বছর এ কমিটি স্থায়ী ছিল।

এর মধ্যে সভাপতি বাবু দল থেকে পদত্যাগ না করলেও কলেজ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে ছিলেন নিষ্ক্রিয়। তিনি নিজ এলাকা লামচর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নও চেয়েছিলেন। এজন্য এলাকায় কিছু প্রোগ্রাম করতেন। ছাত্রলীগের কমিটি পাওয়ার বছরখানেক পরই তিনি বিয়ে করেন। তার একটি ছেলেসন্তানও আছে।

রামগঞ্জের এ তিন কমিটি তখনকার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন লোটাস অনুমোদন দেন। এরপর শাহাদাত হোসেন শরীফ ও জিয়াউল করিম নিশানের নেতৃত্বাধীন জেলা কমিটি এলেও তারা রামগঞ্জ ছাত্রলীগকে গতিশীল করতে পারেননি। ৩১ জুলাই সাইফুল ইসলাম রকি ও শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া জেলা কমিটির দায়িত্ব পান। অবশেষে রামগঞ্জ ছাত্রলীগকে গতিশীল করতে তারাই মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলো বিলুপ্ত করেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অর্থের লোভ দেখিয়ে ‘গণঅভ্যুত্থানের’ ব্যর্থ চেষ্টা, নেপথ্যে কারা?

মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় রামগঞ্জ ছাত্রলীগের তিন কমিটি বিলুপ্তি

আপডেট সময় ০৮:৫৩:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২২

মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ ছাত্রলীগের তিনটি শাখার কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। রামগঞ্জ উপজেলা, পৌর ও সরকারি কলেজ শাখা কমিটি বিলুপ্ত করেছে জেলা ছাত্রলীগ। এর একেকটি কমিটি সাড়ে চার থেকে সাড়ে ছয় বছর পর্যন্ত ছিল। এর মধ্যেই দুই নেতা হলেন পৌর কাউন্সিলর।

বিয়ে করে হয়েছেন সন্তানের বাবাও। শনিবার (২৬ নভেম্বর) রাতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রকি ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদত হোসেন ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে ওই তিন ইউনিট নতুন কমিটির গঠনের লক্ষ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থীদের কাছ থেকে জীবনবৃত্তান্ত আহ্বান করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জাহিদ আদনান, রিয়াজ হোসেন ও রাকিব হোসেন পদপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে জীবনবৃত্তান্ত জমা নেবেন।

দলীয় সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ১৯ মে কামরুল হাসান ফয়সাল মালকে সভাপতি ও মেহেদী হাসান শুভকে সাধারণ সম্পাদক করে রামগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়। পদে থেকেই নেতারা বিয়ে করেন। সন্তানও আছে তাদের। এর মধ্যে ফয়সাল মাল গত নির্বাচনে রামগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ও শুভ ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।

এক বছরের জন্য ওই কমিটির অনুমোদন দেওয়া হলেও তাদের কমিটি ছিল সাড়ে ছয় বছর। ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই মিলন আটিয়াকে আহ্বায়ক ও রবিউল জামাল অপু মালকে প্রথম যুগ্ম-আহ্বায়ক করে ১০ সদস্যবিশিষ্ট রামগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়। তিন মাসের জন্য এ কমিটি গঠন করা হলেও তারা দায়িত্বে ছিলেন চার বছর । অন্যদিকে ২০১৭ সালের ৬ জানুয়ারি মোরশেদুল আমিন বাবুকে সভাপতি ও রাকিবুল হাসান শান্তকে সাধারণ সম্পাদক করে রামগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়। পাঁচ বছর এ কমিটি স্থায়ী ছিল।

এর মধ্যে সভাপতি বাবু দল থেকে পদত্যাগ না করলেও কলেজ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে ছিলেন নিষ্ক্রিয়। তিনি নিজ এলাকা লামচর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নও চেয়েছিলেন। এজন্য এলাকায় কিছু প্রোগ্রাম করতেন। ছাত্রলীগের কমিটি পাওয়ার বছরখানেক পরই তিনি বিয়ে করেন। তার একটি ছেলেসন্তানও আছে।

রামগঞ্জের এ তিন কমিটি তখনকার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন লোটাস অনুমোদন দেন। এরপর শাহাদাত হোসেন শরীফ ও জিয়াউল করিম নিশানের নেতৃত্বাধীন জেলা কমিটি এলেও তারা রামগঞ্জ ছাত্রলীগকে গতিশীল করতে পারেননি। ৩১ জুলাই সাইফুল ইসলাম রকি ও শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া জেলা কমিটির দায়িত্ব পান। অবশেষে রামগঞ্জ ছাত্রলীগকে গতিশীল করতে তারাই মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলো বিলুপ্ত করেন।