ঢাকা ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

মেয়াদোত্তীর্ণ ৩৮২ কনটেইনার পণ্য ধ্বংস করা হবে

দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা ৩৮২ কনটেইনারে নিলাম অযোগ্য পণ্য ধ্বংসের উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) থেকে এসব পণ্য ধ্বংসের কাজ শুরু হবে। পণ্যগুলো সবই নিলাম অযোগ্য এবং মেয়াদোত্তীর্ণ বিধায় ধ্বংস করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাস্টম হাউস চট্টগ্রামের নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার সন্তোষ সরেন।

তিনি বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জারিকরা স্থায়ী আদেশ অনুযায়ী গঠিত ধ্বংস কমিটি ২৯ আগস্ট সভা করেছে। সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে বন্দরের রেফার্ড কনটেইনার ১৩৬টি, ড্রাই কনটেইনার ৩২টি ও বিভিন্ন অফডকে ড্রাই ২১৪টি কনটেইনারবাহী ধ্বংসযোগ্য (পঁচনশীল) পণ্যচালানের ধ্বংস কার্যক্রম ১১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে।

এজন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ডাম্পিং স্টেশনের পাশের একটি খালি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। জায়গাটি চট্টগ্রামের আউটার রিং রোড সংলগ্ন হালিশহরের আনন্দবাজারে অবস্থিত। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকেও অনুমোদন মিলেছে এ বিষয়ে। এর আগেও একই জায়গায় পণ্য ধ্বংস করেছিল চট্টগ্রাম কাস্টমস।

কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, ধ্বংসযোগ্য পণ্যচালানের মধ্যে রয়েছে পেঁয়াজ, আপেল, ড্রাগন ফ্রুটস,  কমলা, আদা, ডালিম, ধনে, আঙ্গুর, ফ্রোজেন লিজার্ড ফিসসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য।

কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিদিন ২৫-৩০ টি কনটেইনারের ধ্বংসযোগ্য পণ্য ধ্বংস করার পরিকল্পনা আছে। পর্যায়ক্রমে ৩৮২টি কনটেইনার নিরবচ্ছিন্নভাবে পরিবেশ সম্মত উপায়ে ধ্বংস করার পরিকল্পনা রয়েছে। ধ্বংস করা কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। এতে চট্টগ্রাম বন্দরের কিছু জায়গা খালি হবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

মেয়াদোত্তীর্ণ ৩৮২ কনটেইনার পণ্য ধ্বংস করা হবে

আপডেট সময় ০৬:২১:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২

দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা ৩৮২ কনটেইনারে নিলাম অযোগ্য পণ্য ধ্বংসের উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) থেকে এসব পণ্য ধ্বংসের কাজ শুরু হবে। পণ্যগুলো সবই নিলাম অযোগ্য এবং মেয়াদোত্তীর্ণ বিধায় ধ্বংস করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাস্টম হাউস চট্টগ্রামের নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার সন্তোষ সরেন।

তিনি বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জারিকরা স্থায়ী আদেশ অনুযায়ী গঠিত ধ্বংস কমিটি ২৯ আগস্ট সভা করেছে। সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে বন্দরের রেফার্ড কনটেইনার ১৩৬টি, ড্রাই কনটেইনার ৩২টি ও বিভিন্ন অফডকে ড্রাই ২১৪টি কনটেইনারবাহী ধ্বংসযোগ্য (পঁচনশীল) পণ্যচালানের ধ্বংস কার্যক্রম ১১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে।

এজন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ডাম্পিং স্টেশনের পাশের একটি খালি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। জায়গাটি চট্টগ্রামের আউটার রিং রোড সংলগ্ন হালিশহরের আনন্দবাজারে অবস্থিত। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকেও অনুমোদন মিলেছে এ বিষয়ে। এর আগেও একই জায়গায় পণ্য ধ্বংস করেছিল চট্টগ্রাম কাস্টমস।

কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, ধ্বংসযোগ্য পণ্যচালানের মধ্যে রয়েছে পেঁয়াজ, আপেল, ড্রাগন ফ্রুটস,  কমলা, আদা, ডালিম, ধনে, আঙ্গুর, ফ্রোজেন লিজার্ড ফিসসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য।

কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিদিন ২৫-৩০ টি কনটেইনারের ধ্বংসযোগ্য পণ্য ধ্বংস করার পরিকল্পনা আছে। পর্যায়ক্রমে ৩৮২টি কনটেইনার নিরবচ্ছিন্নভাবে পরিবেশ সম্মত উপায়ে ধ্বংস করার পরিকল্পনা রয়েছে। ধ্বংস করা কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। এতে চট্টগ্রাম বন্দরের কিছু জায়গা খালি হবে।