মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে সাংবাদিকদের বহন করা একটি মাইক্রোবাসের ইঞ্জিনে আগুন লেগে গাড়িটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান গাড়িতে থাকা সবাই। শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জুড়ী- কুলাউড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের মানিক সিংহ বাজার এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, জুড়ী উপজেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান দেখার জন্য সাংবাদিকদের দুটি গাড়ি পরিবার সহ ঘুরতে আসে। ঘুরাঘুরি শেষ করে ফেরার পথে উপজেলার জুড়ী- কুলাউড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের মানিক সিংহ বাজার এলাকায় পৌঁছালে (ঢাকা মেট্রো-চ ১১-৬৪৫৭ ) গাড়িটির ইঞ্জিনে বিকট শব্দ করে আগুন লেগে যায়। আগুন লাগার সাথে সাথে গাড়ির চালকসহ গাড়িতে থাকা সবাই দ্রুত নেমে পড়েন।
মুহূর্তেই গাড়িটিতে দাউ দাউ করে আগুন লেগে যাওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে শ্রমিক নেতা ইসলাম উদ্দিন ও অজয় দাসসহ শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও আশপাশের লোকজন ছুটে এসে গাড়িটির আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। মুহূর্তের মধ্যে গাড়ির আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকায় তারা গাড়িটির আগুন নেভাতে পাশের খাদের পানিতে ফেলে দেয়। খবর পেয়ে কুলাউড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে আসার পূর্বেই আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়। গাড়িতে আগুন লাগার পর সড়কের উভয় পাশে প্রায় এক কিলোমিটার যানজট লেগে যায়।
এতে বেশ কিছু গাড়ি আটকা পরে। পরে খবর পেয়ে জুড়ী থানার এসআই খাইরুল ইসলাম বাদলের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন। গাড়িটি উদ্ধারকারী শ্রমিক নেতা ইসলাম উদ্দিন ও অজয় দাস বলেন, গাড়িতে আগুন লাগার সাথে সাথে আমরা প্রথমে নেভানোর চেষ্টা করি। কিন্তু মুহূর্তেই আগুন গাড়িটিতে ছড়িয়ে পড়লে আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য পাশের খাদের পানিতে ফেলে পানি ও কাদামাটি আগুন নেভাই। পরে সকলের সহায়তায় আগুন নেভানোসহ গাড়িটিকে উদ্ধার করা হয়।
দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িতে থাকা কালের কন্ঠের মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম জানান, কালের কন্ঠের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুর রহমান তাঁর স্ত্রী সন্তানসহ গাড়িটিতে ছিলেন। অন্য আরেকটি গাড়িতে ছিলেন যমুনা টেলিভিশনের সিলেট ব্যুরো অফিসের স্টাফ রিপোর্টার মাহবুব হোসেন রিপন। আগুন লেগে গাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হলেও প্রাণে বেঁচে যান তারা। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে শ্রমিক নেতা সহ আশেপাশের মানুষ যেভাবে সহায়তায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়।