রাজশাহীর দূর্গাপুরে আম্বিয়া খাতুন (৪০) নামের এক শারীরিক প্রতিবন্ধী নারীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। এদিকে, শারীরিক প্রতিবন্ধী নারীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পরেনি থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার(৩১ অক্টোবর) ভোররাতে উপজেলার দেলুয়াবাড়ি ইউনিয়নের বখতিয়ারপুর হাজীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। আম্বিয়া খাতুন ওই গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের কন্যা।
নিহত আম্বিয়ার মায়ের বরাত দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আফসার আলী জানান, জন্মগত ভাবেই আম্বিয়া খাতুন শারীরিক প্রতিবন্ধী। বুধবার দিনগত রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাড়ির বাইরে যায় আম্বিয়া। কিছুক্ষণ পর আম্বিয়ার চিৎকার শুনে তার মা গিয়ে দেখে আম্বিয়ার নিথর দেহ মাটিতে পড়ে আছে। এ সময় তাদের ডাক-চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। পরে থানা পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
পুলিশ জানায়, প্রতিবন্ধী আম্বিয়ার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি হাসোয়া বা কাঁচির কোপের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ২০০১ সালে একই গ্রামের রফিক নামের এক ব্যক্তিকে রাতের অন্ধকারে হত্যা করা হলেও বর্তমান পর্যন্ত কোন রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি দূর্গাপুর থানা পুলিশ। ২০০১ সাল থেকে এপর্যন্ত বখতিয়ারপুর হাজিপাড়ায় ৫ টি হত্যার ঘটনা ঘটলেও ১ টির রহস্য উদঘাটন করতে পারলেও অন্যগুলো অলৌকিক কারনে পরে নাই।
দূর্গাপুর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া হত্যাকান্ডের ঘটনাটি গোপনে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক ভাবে কাউকে আটক করা না হলেও পরিবারের স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে তাদের থানায় ডাকা হয়েছে।