পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মমতাজ বেগম নামের এক নারীর অত্যাচারে আশ্রয়ন প্রকল্পে থাকা বসবাসরত মানুষ সহ এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের গোলবুনিয়া গ্রামে। অভিযুক্ত মমতাজ বেগম গোলবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত মোসলেম আকনের মেয়ে ও উপজেলার হলতা গুলিশাখালী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য বর্তমান দলিল লেখক বজলুর রহমানের স্ত্রী।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী থেকে পাওয়া গোলবুনিয়া গ্রামে হোগলপাতি মৌজায় অবস্থিত ৩৩ টি ঘরের মধ্যে মমতাজ নামের ওই নারী সহ একই পরিবারে ভাই হেলাল আকনের একটি ঘর, চাচা রত্তন আকনের একটি ঘর সহ কৌশলে ৩ টি ঘর নিয়ে নেন। তারই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় প্রভাব দেখিয়ে মানুষদের জিম্মি করে মমতাজ বেগম আশ্রয় প্রকল্পের মধ্যে একটি দোকানের স্যাম্পল দেখিয়ে বিভিন্ন ধরনের যেমন- বিভিন্ন জায়গা থেকে নারীদের এনে স্থানীয় ছেলেদের দিয়ে রঙ্গলিলা, ইয়াবা, গাঁজা, চুরি সহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। নারীদের দিয়ে অপকর্মের বিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী হাতে নাতে আটক করেন এবং মমতাজ বেগমকে অপকর্মের দায়ে এলাকা ছেড়ে দিতে বলেন।
বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগীরা মুখ খুলতে পারছেন না, যদিও কেউ কেউ মুখ খুলতে চায় তাদেরকে বিভিন্ন প্রকারের ভয়ভীতি দেখিয়ে থামিয়ে দেন মমতাজ বেগম। অপর দিকে মমতাজ বেগম আশ্রয়ন প্রকল্পে পাওয়া ঘরের মালিকগনকে টাকা দিয়ে একের ঘর অন্যের কাছে বিক্রয় করিয়ে দেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। বিক্রিত ঘর গুলো হচ্ছে ১৯, ২৫, ২৩ ও ২৯ নম্বর, যাদেরকে বসবাস করতে পাওয়া যায় তারা কেউ উক্ত ঘরের মালিক নন।
বিক্রেতা ঘরগুলোর বিষয়ে জানার জন্যে গণমাধ্যম কর্মীরা সরজমিন পরিদর্শণে গেলে মমতাজ বেগম বাঁধা প্রদান করেন এবং সকলকে তথ্য ও কাগজ পত্র প্রদর্শন করতে নিষেধ করেন। বিষয়টি নিয়ে মমতাজ বেগম আশ্রয়ণ প্রকল্পের সভাপতি হিসেবে নিজেকে দাবি করেন এবং গণমাধ্যম কর্মীদের আশ্রয়ন প্রকল্প থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। এমনকি মমতাজ বেগমের ভাই হেলাল আকনের ছেলে অলি আকনের বিরুদ্ধে ৯ বছরের একটি মেয়েকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগীরা জানান, স্থানীয় সবুজ নামের এক যুবককে নিয়ে মমতাজ বেগম গভীররাতে এলাকায় মহরা দিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করেন।
স্থানীয় হানিফা নামের এক লোকের হাঁস চুরি করার অপরাধ প্রমানিত হওয়ায় ২ হাজার টাকা জরিমানা দেন মমতাজ বেগম। আমরা বাংলাদেশ সরকার সহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে মমতাজ বেগমের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সঠিক বিচারের দাবি জানাই এবং তাকে আমাদের এলাকা থেকে অন্য এলাকায় বসবাস করার জন্যে ব্যবস্থা গ্রহনের জোর অনুরোধ করছি। এবিষয়ে জানার জন্যে অভিযুক্ত মমতাজ বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি সদুত্তর না দিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের হুমকি প্রদান করেন।