ঢাকা ০৪:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজশাহীতে ব্যাটারী চালিত ভ্যানগাড়ীর সাথে মটরসাইকেলের সংঘর্ষে এক যুবকের-মৃত্যু কুমিল্লা মিডিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ১৬-তম আসরের উদ্বোধন তারেক রহমানের নেতৃত্বেই নিরাপদ আগামীর বাংলাদেশ: যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না জুলুম-অন্যায়কে বিএনপি প্রশ্রয় দেবে না নাগেশ্বরীতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ পছন্দের বিয়ের বিপক্ষে অধিকাংশ পাকিস্তানি সাংগঠনিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ঘোষণা উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের জরুরি সভা ডাকল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শাহজালাল বিমানবন্দরে ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ গ্রেফতার জেলা গোয়েন্দা শাখা, পাবনার অভিযানে ০৩(তিন) কেজি গাঁজা সহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।

ঝাড়ফুঁকের নামে ভন্ড আবু তালেবের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হচ্ছে সাধারণ জনগণ

চট্টগ্রামে আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অজস্র প্রতারক যারা প্রতারণা করে মানুষকে করছে সর্বশ্রান্ত এবং হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। অসহায় নিরুপায় মানুষ গুলো এদের ফাঁদে পড়ে সর্বোচ্চ হারিয়ে হয়েছে পথের ভিখারি। বর্তমানে এই সকল প্রতারকের সংখ্যা চট্টগ্রামে কম নয় এরা সর্বত্রে বিচরণ করছে প্রতারণার জাল বিছিয়ে মানুষকে সর্বশান্ত করাটাই যেন এদের পেশা ও নেশা।

এরা মূলত লক্ষ্য করে দুর্বল,সহজ সরল ,অজ্ঞ নিরীহ ও অশিক্ষিত প্রকৃতির মানুষদেরকে যাদেরকে খুব সহজে ফাঁদে ফেলে রাতারাতি হাতিয়ে নিতে পারে লক্ষ টাকা। এমনই এক প্রতারকের দেখা মিলেছে বাকলিয়া থানাধীন সৈয়দ শাহ্ রোডে। এই প্রতারকের নাম তালেব তিনি মূলত পেশায় একজন বৈদ্য ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে মানুষের যে কোন সমস্যা ও ভাগ্য পরিবর্তন করে দিতে পারেন নাকি তিনি।

এই ভুয়া বৈদ্য স্বামী স্ত্রীর অমিল,অবাধ্যকে বাধ্য করা,ঝগড়া বিবাদ,বান টোনা সহ যাবতীয় সকল জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা দিয়ে থাকার ১০০% চ্যালেঞ্জ দিয়ে মানুষ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতাচ্ছে। এ সকল ভুয়া বৈদ্যের বিরুদ্ধে প্রশাসন কেন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না এ বিষয়ে বৈদ্য তালেবকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,এলাকার রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও নাকি এখান থেকে ভাগ পান এজন্য প্রশাসন এখানে আসার কোন সুযোগ নেই আগে আওয়ামী লীগের নেতাদের ম্যানেজ করতাম এখন বিএনপি কে করি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় তার কাছে সেবা নিতে আসা কিছু রোগীদের ঝাড়ফুঁক করছে তালেব বৈদ্য ঘটনাস্থলে সাংবাদিকের উপস্থিততে মুহূর্তের মধ্যে ঘোর পাল্টে হয়ে যায় সাধু সন্ন্যাসী। যেনো সে কিছু জনেই না এই মাত্র সে ভিনগ্রহ থেকে পৃথিবীতে অবতরণ করেছে। সাংবাদিক দেখে চোখ দুটো যেন ছানাবড়া হয়ে যায় তালেব নামক এই নামক এই ভন্ড কবিরাজের। নিজেকে দাবি করেন একজন কোরআনে হাফেজ হিসেবে ইসলামিক লাইন থেকে পড়াশোনা করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।

তাকে প্রশ্ন করা হয় কোরআনের কোথায় বলা আছে তাবিজ কবজ দিয়ে মানুষকে সুস্থ করে তোলার বিষয়ে। আপনি নিজেকে একজন হাফেজ দাবী করছেন অথচ আপনি করছেন ভন্ডামি। এটা কি ইসলামিক শরীয়তের লোকের সাথে প্রতারনা করা নয়। এমন প্রশ্নে ভন্ড তালেব কবিরাজ
উত্তর দেন আমি কোন ঝাড়ফুঁক করি না মানুষকে।

এমনি বাচ্চারা ভয় পেলে ঝেড়ে দেই অথবা কারো কোন সমস্যা হলে পানি পড়া দেই। কিন্তু তার ব্যবহৃত একটি ডাইরি থেকে তথ্য পাওয়া যায়,শত্রু দমন,বান টোনা, অবাধ্যকে বাধ্য করা, মনের মানুষকে কাছে এনে দেওয়া সহ অনেক চাঞ্চল্যকর বিষয়ের। এ ধরনের সেবায় করো থেকে কোন ধরনের টাকা নেওয়া হয় কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি কারো থেকে কোন টাকা নেই না কিন্তু তার ব্যবহৃত ডাইরিতে রোগীর নাম বাবার নাম মায়ের নাম সহ কত টাকা নিয়েছেন তারও তথ্য পাওয়া যায়।

তার বাসার ভিতরে রয়েছে একটি গোপন কক্ষ যেখানে আসন পেতে নারীদের নিয়ে বান টোনা কাটা সহ পরকীয়া আসক্তি, ভালোবাসার বন্ধন, স্বামীকে বাধ্য করার কাজ করে থাকেন তিনি। তার বাসায় একাধিক তাবিজ ও কিতাবের বই রয়েছে যে বইগুলো থেকে তিনি রোগীদের বিভিন্ন তাবিজ দিয়ে থাকেন। উপস্থিত তার সামনেই একটি কিতাবের বই ও তার ব্যক্তিগত ডায়েরির তথ্য থেকে অনেক কিছুর সত্যতা প্রমাণিত হয়। তারপরও এই বৈদ্য অত্যন্ত চতুর সত্য স্বীকার করতে নারাজ তিনি হাতে নাতে ধরার পরেও তিনি বলেন আমি কবিরাজ নয়।

পরে দীর্ঘ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন তিনি কবিরাজ বলে। এবং তিনি এটাও স্বীকার করেন তাবিজ কবজ দিয়ে কিছুই হয় না এটা মানুষ বিশ্বাস করে বিদায় তিনি মানুষের সাথে প্রতারণা করে থাকেন এবং এই প্রতারণা তিনি দীর্ঘ আট বছর ধরে করছেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কিছু রোগী গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে সেখান থেকে চটকে পড়েন। তারা চলে যাওয়ার কারণ তালেবের কাছে জানতে চাইলে তাহলে বলেন এরা কোন তদবির নিতে আসেনি তারা তালেব আগে যেখানে ভাড়া ছিলেন সেখানের প্রতিবেশী অসুস্থতার কথা শুনে দেখতে এসেছে কিন্তু এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায় তারা এখানে সেবা নিতে এসেছে সাংবাদিকের উপস্থিতি চটকে পড়েছেন।

তালেবের প্রতারণার বিষয়ে ভুক্তভোগী কিছু নারীর তথ্য মতে সাংবাদিকরা সরজমিনে গেলে তালেব নানাভাবে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। এবং যে সকল ভুক্তভোগীরা কাজ করে প্রতারিত হয়েছে এবং তার কাছে টাকা পাবে তিনি তা পরিশোধ করবেন বলে গণমাধ্যম কর্মীদের আশ্বস্ত প্রদান করেন। তারপরও যেহেতু এ বিষয়ে নিউজ করা না হয় এজন্য অনুরোধ করেন তালেব ও তার স্ত্রী জেসমিন। এ বিষয়ে নিউজ করলে তার সমস্যা হয়ে যাবে বলেও প্রতিবেদককে নানাভাবে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা চালানো হয়।

এলাকাবাসীর তথ্য মতে জানা যায়,তালেব কবিরাজ দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় এ সকল ভন্ডামিতে লিপ্ত। তিনি কবিরাজির নামে মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা হাতিয়ে থাকেন,এলাকার মানুষ তার বিষয়ে প্রতিবাদ করলে তিনি তাদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে থাকেন। যেহেতু কবিরাজির মাধ্যমে ঝাড়ফুঁক করে বর্তমানে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক এই ভন্ড প্রতারক তালেব কবিরাজ। একই এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ ভণ্ডামি করে বর্তমানে দুই দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক এই তালের বৈদ্য। উল্লেখ্য যে তালেব বৈদ্য বোয়ালখালী এলাকার পোপাদিয়ার ৬ নং ইউনিয়ন ৪ নং ওয়ার্ডের চমদ মেম্বারের বাড়ির মৃত আবুল
কালাম এর পুত্র। এলাকায় তেমন একটা যাওয়া আসা নেই শহরে থেকেই ভন্ডামি করেই টাকা কামানো তার মূল পেশা।

তালেবের মত এ ধরনের ভন্ড কবিরাজদের কারণে আজ মানুষ বিভিন্নভাবে প্রতারিত হচ্ছে হারাচ্ছে তাদের সর্বোচ্চ।তালেব কবিরাজের মত এ ধরনের ভন্ডদের জন্য আজ নিঃস্ব হয়ে পড়েছে হাজারো শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষজন। এ তালেব কবিরাজ অনেক মানুষকে গুপ্তধন পাইয়ে দিবে বলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। কোন গণমাধ্যম কর্মী তার বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে তাদেরকে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে মিথ্যা মামলা দেওয়ার ভয় দেখান তালেব কবিরাজ।

এতে নাকি তাকে সহযোগিতা করেন খোদ বা বাড়ির জমিদার নিজেই যা তার মুখের ভাষ্য। বাড়ির জমিদার নাকি তাকে বলেছে কোন সাংবাদিক আসলে বা কেউ আসলে যেন তাকে জানানো হয় তিনি তাদের বেধে রাখবেন এবং চাঁদাবাজ বলে পুলিশে তুলে দিবেন। এই ধরনের ব্যক্তিদের কাছে আজ গণমাধ্যম কর্মীরাও হুমকির মুখে সংবাদ প্রচারের জন্য গেলেও হতে হয় চাঁদাবাজ। তালেব কবিরাজের মত এ ধরনের দুষ্ট প্রকৃতির মানুষদের কাছে কেউই নিরাপদ নয়,হোক সে সাংবাদিক বা প্রশাসন মিথ্যা মামলা সাজাতে

যেনো এক সেকেন্ডও সময় লাগে না এদের। তালেবের মত
এই ধরনের ভন্ড কবিরাজদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ও এলাকার সর্বত্রের জনসাধারণ না হলে তালেবের মত এসব ভন্ডদের কাছে প্রতিনিয়ত আরো মানুষ প্রতারিত হবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজশাহীতে ব্যাটারী চালিত ভ্যানগাড়ীর সাথে মটরসাইকেলের সংঘর্ষে এক যুবকের-মৃত্যু

ঝাড়ফুঁকের নামে ভন্ড আবু তালেবের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হচ্ছে সাধারণ জনগণ

আপডেট সময় ০৩:০৬:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

চট্টগ্রামে আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অজস্র প্রতারক যারা প্রতারণা করে মানুষকে করছে সর্বশ্রান্ত এবং হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। অসহায় নিরুপায় মানুষ গুলো এদের ফাঁদে পড়ে সর্বোচ্চ হারিয়ে হয়েছে পথের ভিখারি। বর্তমানে এই সকল প্রতারকের সংখ্যা চট্টগ্রামে কম নয় এরা সর্বত্রে বিচরণ করছে প্রতারণার জাল বিছিয়ে মানুষকে সর্বশান্ত করাটাই যেন এদের পেশা ও নেশা।

এরা মূলত লক্ষ্য করে দুর্বল,সহজ সরল ,অজ্ঞ নিরীহ ও অশিক্ষিত প্রকৃতির মানুষদেরকে যাদেরকে খুব সহজে ফাঁদে ফেলে রাতারাতি হাতিয়ে নিতে পারে লক্ষ টাকা। এমনই এক প্রতারকের দেখা মিলেছে বাকলিয়া থানাধীন সৈয়দ শাহ্ রোডে। এই প্রতারকের নাম তালেব তিনি মূলত পেশায় একজন বৈদ্য ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে মানুষের যে কোন সমস্যা ও ভাগ্য পরিবর্তন করে দিতে পারেন নাকি তিনি।

এই ভুয়া বৈদ্য স্বামী স্ত্রীর অমিল,অবাধ্যকে বাধ্য করা,ঝগড়া বিবাদ,বান টোনা সহ যাবতীয় সকল জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা দিয়ে থাকার ১০০% চ্যালেঞ্জ দিয়ে মানুষ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতাচ্ছে। এ সকল ভুয়া বৈদ্যের বিরুদ্ধে প্রশাসন কেন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না এ বিষয়ে বৈদ্য তালেবকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,এলাকার রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও নাকি এখান থেকে ভাগ পান এজন্য প্রশাসন এখানে আসার কোন সুযোগ নেই আগে আওয়ামী লীগের নেতাদের ম্যানেজ করতাম এখন বিএনপি কে করি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় তার কাছে সেবা নিতে আসা কিছু রোগীদের ঝাড়ফুঁক করছে তালেব বৈদ্য ঘটনাস্থলে সাংবাদিকের উপস্থিততে মুহূর্তের মধ্যে ঘোর পাল্টে হয়ে যায় সাধু সন্ন্যাসী। যেনো সে কিছু জনেই না এই মাত্র সে ভিনগ্রহ থেকে পৃথিবীতে অবতরণ করেছে। সাংবাদিক দেখে চোখ দুটো যেন ছানাবড়া হয়ে যায় তালেব নামক এই নামক এই ভন্ড কবিরাজের। নিজেকে দাবি করেন একজন কোরআনে হাফেজ হিসেবে ইসলামিক লাইন থেকে পড়াশোনা করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।

তাকে প্রশ্ন করা হয় কোরআনের কোথায় বলা আছে তাবিজ কবজ দিয়ে মানুষকে সুস্থ করে তোলার বিষয়ে। আপনি নিজেকে একজন হাফেজ দাবী করছেন অথচ আপনি করছেন ভন্ডামি। এটা কি ইসলামিক শরীয়তের লোকের সাথে প্রতারনা করা নয়। এমন প্রশ্নে ভন্ড তালেব কবিরাজ
উত্তর দেন আমি কোন ঝাড়ফুঁক করি না মানুষকে।

এমনি বাচ্চারা ভয় পেলে ঝেড়ে দেই অথবা কারো কোন সমস্যা হলে পানি পড়া দেই। কিন্তু তার ব্যবহৃত একটি ডাইরি থেকে তথ্য পাওয়া যায়,শত্রু দমন,বান টোনা, অবাধ্যকে বাধ্য করা, মনের মানুষকে কাছে এনে দেওয়া সহ অনেক চাঞ্চল্যকর বিষয়ের। এ ধরনের সেবায় করো থেকে কোন ধরনের টাকা নেওয়া হয় কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি কারো থেকে কোন টাকা নেই না কিন্তু তার ব্যবহৃত ডাইরিতে রোগীর নাম বাবার নাম মায়ের নাম সহ কত টাকা নিয়েছেন তারও তথ্য পাওয়া যায়।

তার বাসার ভিতরে রয়েছে একটি গোপন কক্ষ যেখানে আসন পেতে নারীদের নিয়ে বান টোনা কাটা সহ পরকীয়া আসক্তি, ভালোবাসার বন্ধন, স্বামীকে বাধ্য করার কাজ করে থাকেন তিনি। তার বাসায় একাধিক তাবিজ ও কিতাবের বই রয়েছে যে বইগুলো থেকে তিনি রোগীদের বিভিন্ন তাবিজ দিয়ে থাকেন। উপস্থিত তার সামনেই একটি কিতাবের বই ও তার ব্যক্তিগত ডায়েরির তথ্য থেকে অনেক কিছুর সত্যতা প্রমাণিত হয়। তারপরও এই বৈদ্য অত্যন্ত চতুর সত্য স্বীকার করতে নারাজ তিনি হাতে নাতে ধরার পরেও তিনি বলেন আমি কবিরাজ নয়।

পরে দীর্ঘ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন তিনি কবিরাজ বলে। এবং তিনি এটাও স্বীকার করেন তাবিজ কবজ দিয়ে কিছুই হয় না এটা মানুষ বিশ্বাস করে বিদায় তিনি মানুষের সাথে প্রতারণা করে থাকেন এবং এই প্রতারণা তিনি দীর্ঘ আট বছর ধরে করছেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কিছু রোগী গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে সেখান থেকে চটকে পড়েন। তারা চলে যাওয়ার কারণ তালেবের কাছে জানতে চাইলে তাহলে বলেন এরা কোন তদবির নিতে আসেনি তারা তালেব আগে যেখানে ভাড়া ছিলেন সেখানের প্রতিবেশী অসুস্থতার কথা শুনে দেখতে এসেছে কিন্তু এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায় তারা এখানে সেবা নিতে এসেছে সাংবাদিকের উপস্থিতি চটকে পড়েছেন।

তালেবের প্রতারণার বিষয়ে ভুক্তভোগী কিছু নারীর তথ্য মতে সাংবাদিকরা সরজমিনে গেলে তালেব নানাভাবে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। এবং যে সকল ভুক্তভোগীরা কাজ করে প্রতারিত হয়েছে এবং তার কাছে টাকা পাবে তিনি তা পরিশোধ করবেন বলে গণমাধ্যম কর্মীদের আশ্বস্ত প্রদান করেন। তারপরও যেহেতু এ বিষয়ে নিউজ করা না হয় এজন্য অনুরোধ করেন তালেব ও তার স্ত্রী জেসমিন। এ বিষয়ে নিউজ করলে তার সমস্যা হয়ে যাবে বলেও প্রতিবেদককে নানাভাবে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা চালানো হয়।

এলাকাবাসীর তথ্য মতে জানা যায়,তালেব কবিরাজ দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় এ সকল ভন্ডামিতে লিপ্ত। তিনি কবিরাজির নামে মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা হাতিয়ে থাকেন,এলাকার মানুষ তার বিষয়ে প্রতিবাদ করলে তিনি তাদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে থাকেন। যেহেতু কবিরাজির মাধ্যমে ঝাড়ফুঁক করে বর্তমানে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক এই ভন্ড প্রতারক তালেব কবিরাজ। একই এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ ভণ্ডামি করে বর্তমানে দুই দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক এই তালের বৈদ্য। উল্লেখ্য যে তালেব বৈদ্য বোয়ালখালী এলাকার পোপাদিয়ার ৬ নং ইউনিয়ন ৪ নং ওয়ার্ডের চমদ মেম্বারের বাড়ির মৃত আবুল
কালাম এর পুত্র। এলাকায় তেমন একটা যাওয়া আসা নেই শহরে থেকেই ভন্ডামি করেই টাকা কামানো তার মূল পেশা।

তালেবের মত এ ধরনের ভন্ড কবিরাজদের কারণে আজ মানুষ বিভিন্নভাবে প্রতারিত হচ্ছে হারাচ্ছে তাদের সর্বোচ্চ।তালেব কবিরাজের মত এ ধরনের ভন্ডদের জন্য আজ নিঃস্ব হয়ে পড়েছে হাজারো শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষজন। এ তালেব কবিরাজ অনেক মানুষকে গুপ্তধন পাইয়ে দিবে বলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। কোন গণমাধ্যম কর্মী তার বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে তাদেরকে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে মিথ্যা মামলা দেওয়ার ভয় দেখান তালেব কবিরাজ।

এতে নাকি তাকে সহযোগিতা করেন খোদ বা বাড়ির জমিদার নিজেই যা তার মুখের ভাষ্য। বাড়ির জমিদার নাকি তাকে বলেছে কোন সাংবাদিক আসলে বা কেউ আসলে যেন তাকে জানানো হয় তিনি তাদের বেধে রাখবেন এবং চাঁদাবাজ বলে পুলিশে তুলে দিবেন। এই ধরনের ব্যক্তিদের কাছে আজ গণমাধ্যম কর্মীরাও হুমকির মুখে সংবাদ প্রচারের জন্য গেলেও হতে হয় চাঁদাবাজ। তালেব কবিরাজের মত এ ধরনের দুষ্ট প্রকৃতির মানুষদের কাছে কেউই নিরাপদ নয়,হোক সে সাংবাদিক বা প্রশাসন মিথ্যা মামলা সাজাতে

যেনো এক সেকেন্ডও সময় লাগে না এদের। তালেবের মত
এই ধরনের ভন্ড কবিরাজদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ও এলাকার সর্বত্রের জনসাধারণ না হলে তালেবের মত এসব ভন্ডদের কাছে প্রতিনিয়ত আরো মানুষ প্রতারিত হবে।