লালমনিরহাটে মায়ের ওয়ারিশ সুত্রে পাওয়া বসতভিটা রক্ষায় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ক্যাম্প কমান্ডার সেনা ক্যাম্প, অফিসার ইনচার্জ সদর থানা ও প্রেসক্লাব লালমনিরহাট বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী নাজমা বেগম।
অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, লালমনিরহাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম খুটামারা বানাভাষা মোড় কলোনির আলম মিয়ার স্ত্রী নাজমা বেগম তার মরহুম নানা হোসেন আলীর নামীয় রেলওয়ের সরকারি খাস জমি যার পৌরসভার হোল্ডিং নম্বর -১০৩১ -০০ ও আইডি নম্বর-০১-০২০-১০৩১-০০ তে বসতবাড়ি গড়ে দীর্ঘদিন যাবত তার মা রহিমা বেগমসহ বসবাস করে আসছেন। নাজমার নানার মৃত্যুর পর নাজমার মা রহিমা বেগমের ওয়ারিশ সুত্রে প্রাপ্ত ওই জমিতে স্বামী সন্তান নিয়ে বসবাস করেছেন। কিছু দিন থেকে নাজমার প্রতিবেশি নাসির উদ্দীন ও তার স্ত্রী ভাষানী বেগম ওই জমি জবরদখলের চেষ্টা শুরু করেন। একপর্যায়ে, ভারাটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনীদের যোগসাজশ করে জোর পুর্বক নাজমা বেগমের বাড়ির উঠানে ঘর উঠিয়ে বসবাস শুরু করে এবং নাজমা বেগমকে বাড়িছাড়া করতে নানান পায়তারা শুরু করে। নাজমা নিরুপায় হয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানিয়ে বিবাদীদ্বয়কে জমি ছেড়ে দিতে বললে অন্যায় ভাবে নাজমা বেগমকে মারপিট করে এবং বাড়ির আশেপাশে লাগানো গাছপালা ও টিনের বেড়া দখলে নিয়ে নেয় নাসির উদ্দীন ও ভাষানী দম্পতি। এমনকি বিবাদীগণ নাজমার শয়ন ঘরের সীমানায় ঘরের বেড়ার সাথে তাদের দরজার সিড়ি পুতে দেয়। অসহায় নাজমা বিবাদীদ্বয়ের এমন অন্যায় কার্যকলাপে বাধা দিতে গেলে আবারও বিভিন্ন প্রকার গালিগালাজ সহ মারপিট করার জন্য উদ্দত্ত হয়।
ইতিপুর্বেও নাজমার সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী তার স্বামী আলম মিয়াকে মারপিট করে পা পঙ্গু করে দিয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী নাজমা বেগমের। ওই জমি খেকো বিবাদীদ্বয়ের হাত থেকে বসতবাড়ি রক্ষায় সুবিচার চেয়ে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নাজমা বেগম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশি বলেন, আমরা ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি নাজমা তার মা-নানাসহ দীর্ঘদিন থেকে ওই বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। হটাৎ নাসির উদ্দিন ও তার স্ত্রী ভাষানী বেগম সেখানে ঘর উঠিয়ে বসবাস শুরু করেন। এ নিয়ে কয়েকদফা তাদের মাঝে হট্রগোলও হয়েছে।
অভিযুক্ত নাসির উদ্দীনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি বলেন ওই জায়গা খালি পড়ে ছিল একজনের পরামর্শে আমি সেখানে ঘর উঠিয়েছি। মারপিটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন স্থানীয় সাবেক কাউন্সিলর ঘটনাটি আপোষ মিমাংসা করে দিয়েছেন।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার এ বিষয়ে বলেন, অভিযোগ দেখে থানা পুলিশের মাধ্যমে তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।